প্রতিবেশীদের তুলনায় বেশি উন্নতি করেছে বাংলাদেশ
অপুষ্টি ও ক্ষুধা হ্রাসের ক্ষেত্রে
প্রতিবেশী সব দেশের তুলনায় বেশি উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। গ্লোবাল হাঙ্গার
ইনডেক্স ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ক্ষুধা হ্রাস সূচকে উন্নতির ক্ষেত্রে ভারত,
পাকিস্তান ও নেপালকে পেছনে ফেলেছে। এ সূচকে সবচেয়ে বেশি যে সব দেশ উন্নতি
দেখিয়েছে তাদের মধ্যে রাখা হয়েছে বাংলাদেশকে। গতকাল এ সূচক প্রকাশিত হয়েছে
ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (আইএফপিআরআই) প্রতিবেদনে।
৫৬ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম: ‘২০১৪ গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেস্ক: দ্য
চ্যালেঞ্জ অব হিডেন হাঙ্গার’। এতে ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ ৫৭তম অবস্থানে
রয়েছে। ২০০৫ সালের ১৯.৮ এর পর বাংলাদেশের পয়েন্ট নেমে এসেছে ১৯.১-এ। এটি
একটি বড় অগ্রগতি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের
ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। গরিবদের মধ্যে শিশু পুষ্টিহীনতা কমাতে সহায়তা করেছে এ
দেশের সক্রিয় এনজিও খাত। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৯৯০ থেকে ২০১১ সালের
মধ্যে অপর্যাপ্ত ওজনের শিশুজন্মের হার ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সক্ষম হয়েছে
বাংলাদেশ। ১৯৯০ সালে যেখানে বাংলাদেশের ক্ষুধা সূচকে স্কোর ছিল ৩৬.৬,
সেখানে ২০১৪ সালে ১৭.৫ পয়েন্ট কমে তা দাঁড়িয়েছে ১৯.১-এ। এ অগ্রগতি
সার্কভুক্ত দেশগুলো সর্বোচ্চ। ১৯৯০ থেকে ২০১৪, এ সময়কালের মধ্যে নেপাল ১২
পয়েন্ট কমিয়ে দখল করেছে ৪৪তম স্থান, ভারত ১৩.৪ পয়েন্ট কমিয়ে দখল করেছে ৫৫তম
স্থান। পাকিস্তান অবস্থান করছে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে ৫৭তম স্থানে। তবে
১৯৯০ সাল থেকে তারা কমাতে সক্ষম হয়েছে মাত্র ৭.৬ পয়েন্ট। থাইল্যান্ড
বর্তমানে ক্ষুধা সূচকে মাত্র ৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে। তবে
পয়েন্ট কমানোর তালিকায় হেরে গেছে বাংলাদেশের কাছে। তবে আইএফপিআরআই
অপ্রকাশিত ক্ষুধা, ভিটামিন ও খনিজ স্বল্পতার ব্যাপারেও সতর্ক করে দিয়েছে।
প্রতিবেদনে আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলোর অবস্থাই বেশি শোচনীয় বলে জানানো
হয়েছে। এ মহাদেশের দু’টি রাষ্ট্র বুরুন্ডি ও ইরিত্রিয়াকে রাখা হয়েছে সবচেয়ে
বেশি সঙ্কটাপন্ন দেশের তালিকায়। এ ছাড়া সঙ্কটাপন্ন দেশের তালিকায় আফ্রিকা
মহাদেশের সংখ্যাই বেশি। প্রতিবেদন আরও বলা হয়েছে, পুষ্টিহীনতার ফলে প্রতি
বছর প্রায় ১১ লাখ থেকে ৩১ লাখ শিশুর মৃত্যু ঘটে। এ ছাড়া বিশ্বে প্রতি বছর
প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ শিশু আয়োডিন স্বল্পতার কারণে মস্তিষ্কে ক্ষতি নিয়ে
জন্মায়।
No comments