বিজেপির ‘একলা চলো’ নীতির পরীক্ষা হবে
সঙ্গী ছেড়ে ‘একলা চলো’ নীতি নিয়ে বিজেপি ঠিক না ভুল করেছে, আজ বুধবার তার পরীক্ষা। মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা বিধানসভার এই ভোট এটাও বুঝিয়ে দেবে, বিজেপিতে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ জুটির দুর্বার গতি অব্যাহত থাকবে কি না। মহারাষ্ট্রে ২৫ বছরের জোটসঙ্গী শিবসেনা ও হরিয়ানায় তিন বছরের বন্ধু হরিয়ানা জনহিত কংগ্রেসকে ছেড়ে বিজেপি এবার দুই রাজ্যেই একা লড়ছে। বস্তুত, দুই রাজ্যেই ভোট এবার বহুমুখী। প্রাক্-ভোট জরিপ অনুযায়ী কোনো দলেরই নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে বিজেপি উভয় রাজ্যেই একক গরিষ্ঠ দল হিসেবে উঠে আসবে। সে ক্ষেত্রে বিজেপিকে সরকার গড়তে ফের বন্ধুর খোঁজে নামতে হবে। যদিও দলটির দৃঢ় ধারণা, কারও সাহায্য ছাড়াই তারা একার শক্তিতে সরকার গড়বে। একা লড়ার এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবেই মোদি-শাহ জুটির নেওয়া। সে জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি। দুই রাজ্যে কম করে হলেও ৩০টি জনসভা করেছেন।
স্বয়ং মোদি আর শাহই ছিলেন প্রচারের মূল মুখ। নিছক বিধানসভার ভোট হলেও বিজেপি দুই রাজ্যেই ভোট চেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নামে। অন্য প্রতিটি দলই মোটামুটিভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে, ক্ষমতায় এলে কে হবেন তাদের মুখ্যমন্ত্রী। একমাত্র বিজেপিই মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গটি অনুচ্চারিত রেখেছে। তাদের প্রচারের মূল সুর ছিল মোদিকেন্দ্রিক। মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় বিজেপি কখনোই সেভাবে শক্তিশালী ছিল না। মহারাষ্ট্রে এই মুহূর্তে দলের তেমন কোনো গ্রহণযোগ্য নেতাও নেই। ছিলেন গোপীনাথ মুন্ডে। দিল্লিতে সড়ক দুর্ঘটনায় অপমৃত্যুর পর রাজ্যে বিজেপি নেতাহীন। হরিয়ানার হাল আরও খারাপ। কংগ্রেসের দলত্যাগীদের ওপর নির্ভর করে সেখানে তারা ভোট বৈতরণী পার হতে চায়। জরিপ অনুযায়ী বিজেপি দুই রাজ্যেই প্রথম দল হলে দেখার, নতুন সঙ্গীর হাত ধরে তারা সরকার গড়ে নাকি ফের পুরোনো বন্ধুদের শরণাপন্ন হয়।
No comments