ইসির অনুদান কমিয়েছে দাতারা -বোধোদয় নেই সরকার ও কমিশনের
বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে নির্বাচন কমিশনকে আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থাগুলো আর্থিক সহযোগিতা করে আসছে। জাতিসঙ্ঘ উন্নয়ন কর্মসূচি ইউএনডিপির সমন্বয়ে প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে। প্রকল্পের অর্থদাতা পক্ষগুলো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডি, যুক্তরাজ্যের সাহায্য সংস্থা ইউকেএআইডি ও ইউরোপীয় কমিশন। সম্প্রতি এ প্রকল্পে দাতা সংস্থা অর্থসহায়তা কমিয়ে দিয়েছে। এর পেছনে তাদের সুস্পষ্ট অভিযোগ হচ্ছে, দশম সংসদ নির্বাচন এবং চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি। দাতা সংস্থার সমন্বয়কারী ইউএনডিপির এ ধরনের অবস্থান মূলত পুরো পশ্চিমা বিশ্বের মনোভাবের পরিচয় বহন করে। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, বরাবরের মতো এসব বিষয়ে সরকার একেবারে নির্লিপ্ত ভাব দেখাতে চাচ্ছে। অন্য দিকে নির্বাচন কমিশন সরকারের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে গোঁড়ামি প্রদর্শন করে যাচ্ছে।
ইউএনডিপি নির্বাচন কমিশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, ২০১৬ সালে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত টাকা ছাড়ের পরিমাণ আরো কমে যাবে। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণসংক্রান্ত প্রকল্পটি নেয়া হয় ২০১১ সালে। প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয় ১৪১ কোটি টাকা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে নির্বাচনবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এ প্রকল্পের টাকায় গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ক্যামেরা, স্ক্যানার, ল্যাপটপসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য যন্ত্রপাতি এ প্রকল্পের অর্থ থেকে কেনা হয়। দশম জাতীয় সংসদে অর্ধেকের বেশি আসনে কোনো ভোট অনুষ্ঠান হয়নি। বাকি আসনে ভোটার উপস্থিতি ৫ শতাংশের কম ছিল। কার্যত এ প্রকল্পের তাই কোনো বাস্তবায়ন ছিল না। নির্বাচনবিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং কেনা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি কাজে আসেনি। পশ্চিমাদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত উদ্যোগ তাই অর্থহীন হয়ে পড়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে অনুদানদাতাদের পিছুটান দেয়াই স্বাভাবিক। ইউএনডিপি যেভাবে তাদের বার্তাটি প্রকাশ করেছে তা তাৎপর্যপূর্ণ। নির্বাচন ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে পরামর্শ দিতে একজন প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে অনুদান কমিয়ে আনার বিষয়টি উল্লিখিত হয়।
সহযোগী একটি দৈনিক এক প্রতিবেদনে বিষয়টি প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে নির্বাচন কমিশনের সচিবের মন্তব্য হতাশাব্যঞ্জক। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনে কমিশনের দুর্বলতা সবার কাছে স্পষ্ট। অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে তারা ব্যর্থ হয়েছে। এখন ইউএনডিপি যখন এ ধরনের বাস্তবচিত্রের ভিত্তিতে সাহায্য কমিয়ে দেয়া বা বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেবে, তখন তার সমালোচনা করার অধিকার নির্বাচন কমিশনের থাকে না। বরং নির্বাচন কমিশন দাতা সংস্থার সমালোচনা আমলে নিয়ে নিজেদের শুধরে নেয়ার উদ্যোগ নিতে পারে। কমিশনের সচিব মন্তব্য করেছেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থার সমালোচনা তারা করতে পারে না।’ ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচনকে তিনি সমালোচনার অযোগ্য বলতে চাচ্ছেন। এ ধরনের মন্তব্য দুঃখজনক। দশম জাতীয় সংসদের মতো নির্বাচন যদি সামনে অব্যাহত থাকে তাহলে অন্যান্য খাত থেকেও দাতাদের সরে যাওয়া স্বাভাবিক। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, দেশবাসীর পাশাপাশি দাতা সংস্থার সমালোচনাকে আমলে নেয়াই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের জন্য উত্তম হবে।
ইউএনডিপি নির্বাচন কমিশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, ২০১৬ সালে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত টাকা ছাড়ের পরিমাণ আরো কমে যাবে। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণসংক্রান্ত প্রকল্পটি নেয়া হয় ২০১১ সালে। প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয় ১৪১ কোটি টাকা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে নির্বাচনবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এ প্রকল্পের টাকায় গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ক্যামেরা, স্ক্যানার, ল্যাপটপসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য যন্ত্রপাতি এ প্রকল্পের অর্থ থেকে কেনা হয়। দশম জাতীয় সংসদে অর্ধেকের বেশি আসনে কোনো ভোট অনুষ্ঠান হয়নি। বাকি আসনে ভোটার উপস্থিতি ৫ শতাংশের কম ছিল। কার্যত এ প্রকল্পের তাই কোনো বাস্তবায়ন ছিল না। নির্বাচনবিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং কেনা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি কাজে আসেনি। পশ্চিমাদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত উদ্যোগ তাই অর্থহীন হয়ে পড়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে অনুদানদাতাদের পিছুটান দেয়াই স্বাভাবিক। ইউএনডিপি যেভাবে তাদের বার্তাটি প্রকাশ করেছে তা তাৎপর্যপূর্ণ। নির্বাচন ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে পরামর্শ দিতে একজন প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে অনুদান কমিয়ে আনার বিষয়টি উল্লিখিত হয়।
সহযোগী একটি দৈনিক এক প্রতিবেদনে বিষয়টি প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে নির্বাচন কমিশনের সচিবের মন্তব্য হতাশাব্যঞ্জক। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনে কমিশনের দুর্বলতা সবার কাছে স্পষ্ট। অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে তারা ব্যর্থ হয়েছে। এখন ইউএনডিপি যখন এ ধরনের বাস্তবচিত্রের ভিত্তিতে সাহায্য কমিয়ে দেয়া বা বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেবে, তখন তার সমালোচনা করার অধিকার নির্বাচন কমিশনের থাকে না। বরং নির্বাচন কমিশন দাতা সংস্থার সমালোচনা আমলে নিয়ে নিজেদের শুধরে নেয়ার উদ্যোগ নিতে পারে। কমিশনের সচিব মন্তব্য করেছেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থার সমালোচনা তারা করতে পারে না।’ ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচনকে তিনি সমালোচনার অযোগ্য বলতে চাচ্ছেন। এ ধরনের মন্তব্য দুঃখজনক। দশম জাতীয় সংসদের মতো নির্বাচন যদি সামনে অব্যাহত থাকে তাহলে অন্যান্য খাত থেকেও দাতাদের সরে যাওয়া স্বাভাবিক। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, দেশবাসীর পাশাপাশি দাতা সংস্থার সমালোচনাকে আমলে নেয়াই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের জন্য উত্তম হবে।
No comments