বিরোধী নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার- অভিযোগ সুনির্দিষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে
যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া যুবদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে ও হচ্ছে, তাতে এই প্রশ্ন খুবই স্বাভাবিক যে দেশে কি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে? আটক করার পর তাঁদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে, কিন্তু ‘নাশকতার পরিকল্পনা’ বা এ ধরনের কিছুর কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ এখনো দৃশ্যমান নয়। বিষয়টিকে বিরোধী দল ও এর নেতা-কর্মীদের ওপর দমনপীড়ন হিসেবেই বিবেচনা করতে হচ্ছে।
যুবদলের সভাপতি বা বিভিন্ন দলের এই পর্যায়ের নেতাদের বাসায় নেতা-কর্মীদের এ ধরনের সমাবেশ খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। সমাবেশ বা বৈঠকের ওপর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা থেকে না থাকলে এ বৈঠকে পুলিশের অভিযানের কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, পুলিশ বৈঠকের খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে সবাইকে আটক করেছে এবং পরে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে। বিরোধীপক্ষকে দমন করতে সরকারের এ ধরনের উদ্যোগ ও কৌশল বাংলাদেশে নতুন নয়। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশ সেই পুরোনো সংস্কৃতিতেই এখনো আটকে রয়েছে।
দেশকে নাশকতা বা এ ধরনের তৎপরতা থেকে মুক্ত রাখার দায় সরকারেরই। এ ক্ষেত্রে সরকার কঠোর অবস্থান নিক, সেটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু এর নাম করে যদি সরকারবিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে দমনের চেষ্টায় নামে, তবে গণতন্ত্রের নামে দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে চরম অগণতান্ত্রিক কাজটিই করা হয়। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি, যা গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয়। ‘নিয়মরক্ষার’ নির্বাচনের পর এখন যদি সরকার বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির ওপর খড়্গহস্ত হয়ে ওঠে, তবে গণতন্ত্রের বর্তমান ভঙ্গুর দশা আরও শোচনীয় হতে বাধ্য।
বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির ওপর কোনো ধরনের দমনমূলক আচরণ নয়, আবার নাশকতা বা এর ষড়যন্ত্রের ব্যাপারেও কোনো ছাড় নয়। আমরা চাই, সুনির্দিষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তদন্ত হোক স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য।
যুবদলের সভাপতি বা বিভিন্ন দলের এই পর্যায়ের নেতাদের বাসায় নেতা-কর্মীদের এ ধরনের সমাবেশ খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। সমাবেশ বা বৈঠকের ওপর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা থেকে না থাকলে এ বৈঠকে পুলিশের অভিযানের কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, পুলিশ বৈঠকের খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে সবাইকে আটক করেছে এবং পরে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে। বিরোধীপক্ষকে দমন করতে সরকারের এ ধরনের উদ্যোগ ও কৌশল বাংলাদেশে নতুন নয়। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশ সেই পুরোনো সংস্কৃতিতেই এখনো আটকে রয়েছে।
দেশকে নাশকতা বা এ ধরনের তৎপরতা থেকে মুক্ত রাখার দায় সরকারেরই। এ ক্ষেত্রে সরকার কঠোর অবস্থান নিক, সেটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু এর নাম করে যদি সরকারবিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে দমনের চেষ্টায় নামে, তবে গণতন্ত্রের নামে দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে চরম অগণতান্ত্রিক কাজটিই করা হয়। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি, যা গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয়। ‘নিয়মরক্ষার’ নির্বাচনের পর এখন যদি সরকার বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির ওপর খড়্গহস্ত হয়ে ওঠে, তবে গণতন্ত্রের বর্তমান ভঙ্গুর দশা আরও শোচনীয় হতে বাধ্য।
বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির ওপর কোনো ধরনের দমনমূলক আচরণ নয়, আবার নাশকতা বা এর ষড়যন্ত্রের ব্যাপারেও কোনো ছাড় নয়। আমরা চাই, সুনির্দিষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তদন্ত হোক স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য।
No comments