পদ্মা সেতু মামলায় দায়মুক্তি- সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এখন রাজনীতির হাতিয়ার
দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় এনে দুর্নীতি দমনের জন্য স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠান মনে হচ্ছে কাজের পরিধি বদলে ফেলেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন এখন সরকারের লোকজনকে দায়মুক্তির প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। দুদক ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য কিংবা আমলাদের একের পর এক দুর্নীতির দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে চলেছে। সর্বশেষ দুর্নীতি দমন কমিশন পদ্মা সেতু মামলার সব অভিযুক্তকে অব্যাহতি দিয়েছে। বলা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায়নি কমিশন।
বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ব্যাপারে যখন অভিযোগ তোলা হয়, তখন সরকারের মন্ত্রীরা তা উড়িয়ে দিয়েছিলেন। পরে বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে যখন বিভিন্ন ধরনের তথ্যপ্রমাণ দিয়ে সরকারকে চাপ দেয়া হয়, তখন দুর্নীতি দমন কমিশন তা তদন্ত শুরু করে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ কয়েকজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। সে সময় দুর্নীতির গন্ধও খুঁজে পেয়েছিল দুদক। শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগের কারণে বিশ্বব্যাংকসহ অপর দাতা সংস্থাগুলো পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। এরপর এই মামলা নিয়ে দুদকের অবস্থানের পরিবর্তন হতে থাকে। সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনকে আগেই অব্যাহতি দেয়া হয়। ধীরে ধীরে অন্যরাও অব্যাহতি পান।
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে এই মামলার সমাপ্তি হলেও পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএনসি নাভালিনের বিরুদ্ধে কানাডার আদালতে মামলা চলছে। সেই মামলায় বাংলাদেশের অনেকের নাম বেরিয়ে আসতে পারে। দুর্নীতি দমন কমিশন নিজেরা তদন্ত করে যদি দুর্নীতির কোনো তথ্য-প্রমাণ না পেয়েই থাকে তবুও কমিশনের উচিত ছিল অন্তত কানাডার আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করা। অভিযুক্ত সবাইকে দায়মুক্তি দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আরেক দফা প্রশ্নবিদ্ধ হলো।
দুর্নীতি দমন কমিশন ক্ষমতাসীন দলের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য না পেলেও বিরোধী দলের রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে তথ্য পাচ্ছে এবং মামলা চালিয়ে নিচ্ছে। এমনকি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চূড়ান্তপর্যায়ে আছে। আমরা লক্ষ করছি, বিরোধী রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট একজনকেও দুদক কিন সার্টিফিকেট দেয়নি। এমনকি ভিন্নমতাবলম্বী ব্যক্তিরাও দুদকের মামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের একাধিক মন্ত্রী, তাদের পুত্র ও সংসদ সদস্যরা কিন সার্টিফিকেট পেয়ে গেছেন।
একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রশ্নবিদ্ধ মামলা প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাসযোগ্যতা মারাত্মকভাবে ক্ষুণœ করছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ধারণা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের দমনের হাতিয়ার হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন ব্যবহার হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি এভাবে চললে বাংলাদেশ দুর্নীতিবাজদের দমনের নয়, বরং লালনের ক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ব্যাপারে যখন অভিযোগ তোলা হয়, তখন সরকারের মন্ত্রীরা তা উড়িয়ে দিয়েছিলেন। পরে বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে যখন বিভিন্ন ধরনের তথ্যপ্রমাণ দিয়ে সরকারকে চাপ দেয়া হয়, তখন দুর্নীতি দমন কমিশন তা তদন্ত শুরু করে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ কয়েকজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। সে সময় দুর্নীতির গন্ধও খুঁজে পেয়েছিল দুদক। শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগের কারণে বিশ্বব্যাংকসহ অপর দাতা সংস্থাগুলো পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। এরপর এই মামলা নিয়ে দুদকের অবস্থানের পরিবর্তন হতে থাকে। সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনকে আগেই অব্যাহতি দেয়া হয়। ধীরে ধীরে অন্যরাও অব্যাহতি পান।
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে এই মামলার সমাপ্তি হলেও পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএনসি নাভালিনের বিরুদ্ধে কানাডার আদালতে মামলা চলছে। সেই মামলায় বাংলাদেশের অনেকের নাম বেরিয়ে আসতে পারে। দুর্নীতি দমন কমিশন নিজেরা তদন্ত করে যদি দুর্নীতির কোনো তথ্য-প্রমাণ না পেয়েই থাকে তবুও কমিশনের উচিত ছিল অন্তত কানাডার আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করা। অভিযুক্ত সবাইকে দায়মুক্তি দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আরেক দফা প্রশ্নবিদ্ধ হলো।
দুর্নীতি দমন কমিশন ক্ষমতাসীন দলের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য না পেলেও বিরোধী দলের রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে তথ্য পাচ্ছে এবং মামলা চালিয়ে নিচ্ছে। এমনকি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চূড়ান্তপর্যায়ে আছে। আমরা লক্ষ করছি, বিরোধী রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট একজনকেও দুদক কিন সার্টিফিকেট দেয়নি। এমনকি ভিন্নমতাবলম্বী ব্যক্তিরাও দুদকের মামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের একাধিক মন্ত্রী, তাদের পুত্র ও সংসদ সদস্যরা কিন সার্টিফিকেট পেয়ে গেছেন।
একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রশ্নবিদ্ধ মামলা প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাসযোগ্যতা মারাত্মকভাবে ক্ষুণœ করছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ধারণা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের দমনের হাতিয়ার হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন ব্যবহার হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি এভাবে চললে বাংলাদেশ দুর্নীতিবাজদের দমনের নয়, বরং লালনের ক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে।
No comments