বন্দরে শুল্ক ফাঁকির মহোৎসব! by মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল শুধু নয়, দেশের সব স্থলবন্দর ও সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুল্ক ফাঁকি দেয়ার যেন মহোৎসব চলছে, তা দেখার কেউ নেই। অভিযোগ, যাদের দেখার কথা, তাদের বাসায় আগেই প্যাকেট বা বড় খাম হাজির হয়ে যায় বলেই তারাও নীরব-নির্বিকার। প্রায় প্রতিদিন বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে বিনা শুল্কে পার হয়ে যাচ্ছে মূল্যবান পণ্যসামগ্রী। কাস্টমসের একশ্রেণীর কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশে বন্দরটিতে শুল্ক ফাঁকির এক শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এই সিন্ডিকেটই বেনাপোল বন্দরের সব কিছু দেখভাল করে থাকে। এতে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হলো, বন্দরগুলোতে শুল্ক ফাঁকি দেয়ার প্রবণতা চরম আকারে দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, স্থানীয় ও জাতীয়পর্যায়ে সরকারদলীয় রাজনৈতিক নেতাদের অনেকের তদবির ও প্রশ্রয়ে অসৎ কাস্টমস কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বেআইনি এ কাজে লিপ্ত। বেনাপোল স্থলবন্দরের মাধ্যমে বছরে প্রায় পাঁচ-ছয় হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি-রফতানি হয়ে থাকে। রাজস্ব আদায়ে চট্টগ্রাম বন্দরের পরই এর অবস্থান। বৈধ পথে পণ্য আমদানি করে ব্যবসায়ীরা এখানে বছরে তিন-চার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব দেন সরকারি কোষাগারে। তবে এ বিপুল রাজস্ব জমা দেয়ার ক্ষেত্রে এখানে চলে বিভিন্ন অনিয়ম, চুরি, দুর্নীতি ও শুল্ক ফাঁকি দেয়ার মতো ঘটনা।
আরো অভিযোগ রয়েছে যে, শুল্ক ফাঁকি দিতে অসাধু কাস্টমস কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ব্যবসায়ীদের বাধ্য করে থাকেন। এমনকি বৈধভাবে পণ্য আনলেও বিভিন্ন অজুহাতে আমদানিকারকদের বিড়ম্বনা ও হয়রানি করা হয়ে থাকে এবং এ ক্ষেত্রে বিপুল টাকা কাস্টমস কর্তাব্যক্তিদের দিতে হয়। দীর্ঘ দিন যাবৎ এ ধরনের অনিয়ম চলছে দেশের সব বন্দরে। দুর্নীতিবাজ কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যাংক ব্যালান্স, ফ্যাট, জমাজমিসহ বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন, যা দুদকের তদন্তের মাধ্যমে বের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু কে করবে তাদের বিচার এবং কে দেবে তাদের শাস্তি? এনবিআর শুধু নয়, অর্থ মন্ত্রণালয় খুব ভালোভাবে এসব বিষয় জানে। এ দিকে, রাজনৈতিক প্রভাবে দেশ হারাচ্ছে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব। আমাদের দেশে বিমানবন্দর থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম বন্দর আমদানি-রফতানি পণ্যে শুল্ক ফাঁকি দেয়ার আরেক মহোৎসবের ঘাঁটি। এখানে বড় বড় চালানে কোটি কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দেয়া হয়, যা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা দুষ্কর। অথচ কাস্টমস বিভাগের কেউ কারো বিরুদ্ধে এ সব বিষয়ে কোনো অভিযোগ করে না। লোভী ব্যক্তিরা সরকারের শুল্ক কম দেখিয়ে বাকিটা নিজেদের পকেটে ভরছে। এ অবস্থা থেকে দেশবাসী পরিত্রাণ পেতে চান। অবিলম্বে স্থল ও নদীবন্দরগুলো থেকে লুণ্ঠনের দৌরাত্ম্য দূর করতে হলে কাস্টমসকে আরো বেশি যতœশীল হতে হবে। জনগণের টাকা এভাবে যারা পকেটে ভরে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আমাদের দেশের বন্দরগুলোতে সৎ ও নিষ্ঠাবান শুল্ক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নিয়োগ দানের জন্য সরকারের সচেষ্ট হওয়ার অনুরোধ জানাই।
আরো অভিযোগ রয়েছে যে, শুল্ক ফাঁকি দিতে অসাধু কাস্টমস কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ব্যবসায়ীদের বাধ্য করে থাকেন। এমনকি বৈধভাবে পণ্য আনলেও বিভিন্ন অজুহাতে আমদানিকারকদের বিড়ম্বনা ও হয়রানি করা হয়ে থাকে এবং এ ক্ষেত্রে বিপুল টাকা কাস্টমস কর্তাব্যক্তিদের দিতে হয়। দীর্ঘ দিন যাবৎ এ ধরনের অনিয়ম চলছে দেশের সব বন্দরে। দুর্নীতিবাজ কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যাংক ব্যালান্স, ফ্যাট, জমাজমিসহ বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন, যা দুদকের তদন্তের মাধ্যমে বের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু কে করবে তাদের বিচার এবং কে দেবে তাদের শাস্তি? এনবিআর শুধু নয়, অর্থ মন্ত্রণালয় খুব ভালোভাবে এসব বিষয় জানে। এ দিকে, রাজনৈতিক প্রভাবে দেশ হারাচ্ছে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব। আমাদের দেশে বিমানবন্দর থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম বন্দর আমদানি-রফতানি পণ্যে শুল্ক ফাঁকি দেয়ার আরেক মহোৎসবের ঘাঁটি। এখানে বড় বড় চালানে কোটি কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দেয়া হয়, যা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা দুষ্কর। অথচ কাস্টমস বিভাগের কেউ কারো বিরুদ্ধে এ সব বিষয়ে কোনো অভিযোগ করে না। লোভী ব্যক্তিরা সরকারের শুল্ক কম দেখিয়ে বাকিটা নিজেদের পকেটে ভরছে। এ অবস্থা থেকে দেশবাসী পরিত্রাণ পেতে চান। অবিলম্বে স্থল ও নদীবন্দরগুলো থেকে লুণ্ঠনের দৌরাত্ম্য দূর করতে হলে কাস্টমসকে আরো বেশি যতœশীল হতে হবে। জনগণের টাকা এভাবে যারা পকেটে ভরে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আমাদের দেশের বন্দরগুলোতে সৎ ও নিষ্ঠাবান শুল্ক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নিয়োগ দানের জন্য সরকারের সচেষ্ট হওয়ার অনুরোধ জানাই।
No comments