রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করলেই রাষ্ট্রদ্রোহ হয়ে যায় -আদালতে ড. কামাল
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ফজলুর রহমানের পক্ষে দায়ের করা একটি রিট আবেদনের শুনানিতে সিনিয়র আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বলেছেন, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান একটি জনসভায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়েছে। বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এখন সব সমালোচনার ঊর্ধ্বে। তাদের সমালোচনা করলেই তা রাষ্ট্রদ্রোহ হয়ে যায়। আমাদের দেশে গণতন্ত্র এখন এই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবীও। এক সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন, এখন করেন না। একটি জনসভায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করায় এখন তিনি রাষ্ট্রদ্রোহী হয়ে গেলেন!
গতকাল বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চে ড. কামাল এ কথা বলেন। আদালত পরে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানকে গ্রেফতার বা হয়রানি না করতে নির্দেশ দেন। ফজলুর রহমান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। তিনি বাংলাদেশে আসার পর বিমানবন্দর থেকে কিশোরগঞ্জ জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত সময়ে তাকে গ্রেফতার বা হয়রানি না করতে এই নির্দেশ দেয়া হয়।
গত ১৯ মার্চ কিশোরগঞ্জে নিজ নির্বাচনী এলাকা ইটনার এক জনসভায় সরকারের সমালোচনা করায় মো: আলী হোসেন নামে সরকারদলীয় এক কর্মী ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করেন। সেই জিডির ওপর ভিত্তি করে ১৮ আগস্ট চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। সরকারের অনুমতিতে জিডিটি পরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় রূপান্তর হয়।
ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে গত ৩১ আগস্ট গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আগাম জামিন পেতে ফজলুর রহমানের পক্ষে ১৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করা হয়। সেই রিট শুনানি শেষে গতকাল আদেশ দেন আদালত।
জিডিতে বলা হয়, ওই দিন জনসভায় তিনি রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে বলেন- ‘আবদুল হামিদ খন্দকার মোস্তাকের দল করত যিনি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। এই কথা আমি কিশোরগঞ্জে হাজার হাজার লোকের সম্মুখে কইছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘এইটা শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগ না, হাসিনা লীগ ...।’
তিনি বলেন, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবীও। এক সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন, এখন করেন না। একটি জনসভায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করায় এখন তিনি রাষ্ট্রদ্রোহী হয়ে গেলেন!
গতকাল বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চে ড. কামাল এ কথা বলেন। আদালত পরে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানকে গ্রেফতার বা হয়রানি না করতে নির্দেশ দেন। ফজলুর রহমান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। তিনি বাংলাদেশে আসার পর বিমানবন্দর থেকে কিশোরগঞ্জ জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত সময়ে তাকে গ্রেফতার বা হয়রানি না করতে এই নির্দেশ দেয়া হয়।
গত ১৯ মার্চ কিশোরগঞ্জে নিজ নির্বাচনী এলাকা ইটনার এক জনসভায় সরকারের সমালোচনা করায় মো: আলী হোসেন নামে সরকারদলীয় এক কর্মী ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করেন। সেই জিডির ওপর ভিত্তি করে ১৮ আগস্ট চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। সরকারের অনুমতিতে জিডিটি পরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় রূপান্তর হয়।
ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে গত ৩১ আগস্ট গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আগাম জামিন পেতে ফজলুর রহমানের পক্ষে ১৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করা হয়। সেই রিট শুনানি শেষে গতকাল আদেশ দেন আদালত।
জিডিতে বলা হয়, ওই দিন জনসভায় তিনি রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে বলেন- ‘আবদুল হামিদ খন্দকার মোস্তাকের দল করত যিনি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। এই কথা আমি কিশোরগঞ্জে হাজার হাজার লোকের সম্মুখে কইছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘এইটা শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগ না, হাসিনা লীগ ...।’
No comments