এরশাদের বিকল্প খুঁজছে জাপা by শেখ সাবিহা আলম @প্রথম আলো
দলে 'গণতন্ত্র' আনতে সাবেক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিকল্প খুঁজছে জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশ। দলের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ৩৯-এর ক ধারায় দলের যেকোনো বিষয়ে চেয়ারম্যানকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দেওয়া আছে। ডিসেম্বরে জাতীয় পার্টির কাউন্সিলে এ ধারাটি পরিবর্তনের একটি উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। এতে চেয়ারম্যানের ক্ষমতাও খর্ব হবে। দলের সভাপতিমণ্ডলীর একাধিক সদস্য বলেছেন, তাঁরা মনে করেন জাতীয় পার্টিতে চেয়ারম্যান পদে এরশাদ থাকায় দলটি সংগঠিত হতে পারছে না। এরশাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা আছে। এরশাদ যখনই সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে যান, তখন তাঁকে মামলার ভয় দেখানো হয়। তিনিও এতে 'বিচলিত' হয়ে পড়েন। দলের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মনে করেন, এরশাদের জায়গায় আর কেউ দলীয় প্রধানের দায়িত্ব নিলে জাতীয় পার্টি স্বাধীনভাবে চলতে পারবে। এ ছাড়া সম্প্রতি জাপার সভাপতিমণ্ডলী ও সাংসদদের যৌথসভায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর জ্যেষ্ঠ সদস্য ও এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ প্রকাশ্যে নিজের ইচ্ছামতো দল চালানোর জন্য এরশাদকে গালমন্দ করেন। ওই দিনই দলটি থেকে ঘোষণা আসে এখন থেকে জাতীয় পার্টি গণতন্ত্রের পথে নতুন যাত্রা শুরু করবে।
জাতীয় পার্টির সাংসদ ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর দলটির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু অবশ্য চেয়ারম্যান পদে কোনো পরিবর্তন হবে কি না অথবা গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আসছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান। তবে তিনি বলেন, দেশের কোনো বড় দলেই গণতন্ত্র নেই। জাতীয় পার্টি দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায়। ডিসেম্বরে দলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সেই কাউন্সিলেই গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত আসবে। এর আগে জাতীয় যুবসংহতির কাউন্সিলে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি গ্রহণের পর কাউন্সিলের দিন এরশাদ ঠিক করে দেন যুবসংহতির সভাপতি কে হবেন। তবে জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু বলেছেন, সে সময় তিনি মহাসচিব ছিলেন না। এখন থেকে যা কিছু হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হবে। নয় বছর 'সফল'ভাবে দেশ পরিচালনার পরও কেন জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসছে না, সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। যেখানে ত্রুটি আছে, সেই ত্রুটি দূর করতে হবে।
পানিসম্পদমন্ত্রী, সাংসদ ও জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদও বলেছেন, জাতীয় পার্টি এখন থেকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলবে। তবে দলে রদবদল এনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে কি না, সে বিষয়ে তিনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি। তিনি বলেন, জাপা এখন থেকে জনগণের সমস্যা নিয়ে কথা বলবে, রাস্তায় নামবে। এভাবে দলও সংগঠিত হবে, জনসম্পৃক্ততাও বাড়বে। তবে, 'নতুন' জাতীয় পার্টির হাল ধরবেন কে, সে ব্যাপারে পরিষ্কারভাবে কেউ কিছু বলছেন না। সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, দলের দায়িত্ব এরশাদের স্বজনদের হাতে থাকার সম্ভাবনাই বেশি। এ ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের পছন্দ তাঁর ভাই জি এম কাদের। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় পার্টির নিয়ন্ত্রণ এরশাদের হাতের বাইরে চলে গেছে। রওশন এরশাদের নেতৃত্বে দলটি নির্বাচনে অংশ নেয়। দলের একটি অংশ চায় রওশন এরশাদ দলের হাল ধরুন। অন্য অংশটি চায় জাতীয় পার্টির সরকারপন্থী অংশটির নেতৃত্ব যাঁরা দিচ্ছেন, তাঁরাই দলের নেতৃত্বে আসুন। আবার জাতীয় পার্টির কিছু সদস্য চান এরশাদের ভাই জি এম কাদের দলের নেতৃত্ব দিন। প্রায় পাঁচ মাস লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা জি এম কাদের হঠাত্ গত ১ মে জাতীয় শ্রমিক পার্টির সমাবেশে হাজির হন। তবে উত্তরাঞ্চলীয় জেলা থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সাবেক এক সাংসদ প্রথম আলোকে বলেন, চেয়ারম্যানকে সরানোর জন্য একটি চক্র তত্পর রয়েছে। কিন্তু জাতীয় পার্টিকে মানুষ চেনে এরশাদের নামেই। এখানে আর কেউ এলে দল সংগঠিত হবে—এ ভাবনা অমূলক।
এ বিষয়ে এরশাদ কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি পদত্যাগ করেছেন—এমন গুজব রটার পর এরশাদ পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন, 'কার কাছে পদত্যাগ করব, সেই বীরপুরুষটা কে?' এর আগে এরশাদ তাঁর অবর্তমানে দলের চেয়ারম্যান কে হবেন, সে নিয়ে 'গোটা জাতিই গোলকধাঁধার মধ্যে' শিরোনামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে। তবে ওই প্রবন্ধে তিনি তাঁর ভাই জি এম কাদেরের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি লেখেন, 'উকিলের ছেলে উকিল, ডাক্তারের ছেলে ডাক্তার, ব্যবসায়ীর ছেলে ব্যবসায়ী হতে পারলে রাজনীতিকের সন্তান বা তার আত্মীয়স্বজন রাজনীতি করতে পারবে না কেন? সেখানে অবশ্য দেখতে হবে নেতৃত্ব গঠনটা কি উত্তরাধিকারসূত্রে হয়েছে, না যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়েছে? জি এম কাদের রাজনীতিতে এসেছেন, নির্বাচন করেছেন। দুইবার এমপি হিসেবে অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছেন। দল যদি মনে করে জি এম কাদের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য উপযুক্ত তাহলে তা-ই হবে।' এরশাদের ইঙ্গিত এখানে খুব পরিষ্কার।
জাতীয় পার্টির সাংসদ ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর দলটির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু অবশ্য চেয়ারম্যান পদে কোনো পরিবর্তন হবে কি না অথবা গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আসছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান। তবে তিনি বলেন, দেশের কোনো বড় দলেই গণতন্ত্র নেই। জাতীয় পার্টি দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায়। ডিসেম্বরে দলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সেই কাউন্সিলেই গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত আসবে। এর আগে জাতীয় যুবসংহতির কাউন্সিলে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি গ্রহণের পর কাউন্সিলের দিন এরশাদ ঠিক করে দেন যুবসংহতির সভাপতি কে হবেন। তবে জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু বলেছেন, সে সময় তিনি মহাসচিব ছিলেন না। এখন থেকে যা কিছু হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হবে। নয় বছর 'সফল'ভাবে দেশ পরিচালনার পরও কেন জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসছে না, সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। যেখানে ত্রুটি আছে, সেই ত্রুটি দূর করতে হবে।
পানিসম্পদমন্ত্রী, সাংসদ ও জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদও বলেছেন, জাতীয় পার্টি এখন থেকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলবে। তবে দলে রদবদল এনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে কি না, সে বিষয়ে তিনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি। তিনি বলেন, জাপা এখন থেকে জনগণের সমস্যা নিয়ে কথা বলবে, রাস্তায় নামবে। এভাবে দলও সংগঠিত হবে, জনসম্পৃক্ততাও বাড়বে। তবে, 'নতুন' জাতীয় পার্টির হাল ধরবেন কে, সে ব্যাপারে পরিষ্কারভাবে কেউ কিছু বলছেন না। সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, দলের দায়িত্ব এরশাদের স্বজনদের হাতে থাকার সম্ভাবনাই বেশি। এ ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের পছন্দ তাঁর ভাই জি এম কাদের। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় পার্টির নিয়ন্ত্রণ এরশাদের হাতের বাইরে চলে গেছে। রওশন এরশাদের নেতৃত্বে দলটি নির্বাচনে অংশ নেয়। দলের একটি অংশ চায় রওশন এরশাদ দলের হাল ধরুন। অন্য অংশটি চায় জাতীয় পার্টির সরকারপন্থী অংশটির নেতৃত্ব যাঁরা দিচ্ছেন, তাঁরাই দলের নেতৃত্বে আসুন। আবার জাতীয় পার্টির কিছু সদস্য চান এরশাদের ভাই জি এম কাদের দলের নেতৃত্ব দিন। প্রায় পাঁচ মাস লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা জি এম কাদের হঠাত্ গত ১ মে জাতীয় শ্রমিক পার্টির সমাবেশে হাজির হন। তবে উত্তরাঞ্চলীয় জেলা থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সাবেক এক সাংসদ প্রথম আলোকে বলেন, চেয়ারম্যানকে সরানোর জন্য একটি চক্র তত্পর রয়েছে। কিন্তু জাতীয় পার্টিকে মানুষ চেনে এরশাদের নামেই। এখানে আর কেউ এলে দল সংগঠিত হবে—এ ভাবনা অমূলক।
এ বিষয়ে এরশাদ কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি পদত্যাগ করেছেন—এমন গুজব রটার পর এরশাদ পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন, 'কার কাছে পদত্যাগ করব, সেই বীরপুরুষটা কে?' এর আগে এরশাদ তাঁর অবর্তমানে দলের চেয়ারম্যান কে হবেন, সে নিয়ে 'গোটা জাতিই গোলকধাঁধার মধ্যে' শিরোনামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে। তবে ওই প্রবন্ধে তিনি তাঁর ভাই জি এম কাদেরের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি লেখেন, 'উকিলের ছেলে উকিল, ডাক্তারের ছেলে ডাক্তার, ব্যবসায়ীর ছেলে ব্যবসায়ী হতে পারলে রাজনীতিকের সন্তান বা তার আত্মীয়স্বজন রাজনীতি করতে পারবে না কেন? সেখানে অবশ্য দেখতে হবে নেতৃত্ব গঠনটা কি উত্তরাধিকারসূত্রে হয়েছে, না যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়েছে? জি এম কাদের রাজনীতিতে এসেছেন, নির্বাচন করেছেন। দুইবার এমপি হিসেবে অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছেন। দল যদি মনে করে জি এম কাদের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য উপযুক্ত তাহলে তা-ই হবে।' এরশাদের ইঙ্গিত এখানে খুব পরিষ্কার।
No comments