গণজাগরণ মঞ্চের রোডমার্চে দফায় দফায় বোমা হামলা
শুক্রবার বিকেলে বগুড়ার সাতমাথায় গণজাগরণ মঞ্চ লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা ককটেল বিস্ফোরণ করে |
ঢাকা
থেকে ঠাকুরগাঁও অভিমুখে গণজাগরণ মঞ্চের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসবিরোধী
রোডমার্চের গাড়িবহরে দফায় দফায় হাতবোমা হামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বগুড়ার শেরপুরের শেরুয়া বটতলা এলাকায় বোমা হামলায়
ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক তানভীর রুসমতসহ তিনজন আহত হয়েছেন। পরে রাত ৮টা
২০ মিনিটের দিকে বগুড়ার বনানী এলাকায় রোডমার্চের গাড়িবহর লক্ষ্য করে আবারও
হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এসব হামলায় অর্ধশত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়
দুর্বৃত্তরা। অন্যদিকে বিকেলে বগুড়ার সাতমাথায় রোডমার্চের সমাবেশস্থলের
পাশে চারটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রুখে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে গতকাল সকালে ঠাকুরগাঁও অভিমুখে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর থেকে গণজাগরণ মঞ্চের তিনদিনের রোডমার্চ শুরু হয়। পথে বিভিন্ন স্থানে পথসভা করেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা। এ সময় পথসভায় বিভিন্ন এলাকার শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বগুড়ার সমাবেশস্থলে বিকেলে হামলার বিষয়ে সিরাজগঞ্জের সমাবেশে মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, বোমা মেরে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন থামানো যাবে না। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীকে প্রতিহত করব। বগুড়া ব্যুরো/শেরপুর প্রতিনিধি জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শেরপুরের শেরুয়া বটতলা এলাকায় মঞ্চের গাড়িবহর লক্ষ্য করে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। তবে শেরপুর থানার ওসি আবু হাশেম বলেছেন, ককটেল নয়, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
পরে রোডমার্চের গাড়িবহর রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে বগুড়ার বনানী এলাকায় পেঁৗছলে আবারও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় ২০/২৫টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে রোডমার্চের গাড়িবহর বগুড়া পেঁৗছায়। পরে শহরের সাতমাথায় এক সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চকে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ের মঞ্চ উল্লেখ করে ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, বোমা মেরে, হামলা করে, হত্যা করে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন কখনও স্তব্ধ করা যাবে না। তিনি বলেন, হেফাজত আর জামায়াত ধুলোয় মিশে গেছে। গণজাগরণ মঞ্চ সেই জায়গাতেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমরা যখন প্রতিবাদ করতে শিখেছি তখন দেশে আর অন্যায়, অবিচার ও সাম্প্রদায়িকতাও থাকবে না। গণজাগরণ মঞ্চের বগুড়ার সমন্বয়কারী মুক্তিযোদ্ধা মাসুদার রহমান হেলালের সভাপতিত্বে সমাবেশে লাকী আক্তারও বক্তৃতা করেন। ডা. ইমরান এইচ সরকার অভিযোগ করেন, বগুড়ায় পেঁৗছার আগে জেলার শেরপুর উপজেলার শেরুয়া বটতলা এবং শাজাহানপুর উপজেলার বনানী এলাকায় রোডমার্চের গাড়িবহর লক্ষ্য করে অর্ধশত ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। সমাবেশ শেষে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা রাতে বগুড়াতেই অবস্থান করেন এবং আজ শনিবার সকালে গাইবান্ধার উদ্দেশে রওনা হবেন। গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে সমাবেশস্থল সাতমাথার আশপাশের সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এ ছাড়া মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরাও নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলে।
এর আগে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বগুড়ায় সাতমাথায় গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশস্থলের দুটি প্রবেশমুখে চারটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে কেউ হতাহত না হলেও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের গণপিটুনিতে ৪ যুবক আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে পুলিশ আটক করেছে। হামলাকারীরা অবস্থান করছে সন্দেহে সমাবেশস্থলের পাশে 'টিআর ট্রাভেলস্' নামে একটি পরিবহন কাউন্টারেও ভাংচুর করেন মঞ্চের কর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিলে কর্মসূচি শুরু : রোডমার্চ শুরুর আগে শাহবাগ এলাকায় বিক্ষোভ করেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। এর আগে মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, গণজাগরণ মঞ্চ তিন দফা দাবিতে এ রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করছে। দাবিগুলো হচ্ছে_ সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস রোধে আলাদা আইন করা, এ পর্যন্ত সংঘটিত ঘটনায় দায়ীদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার করা এবং আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া।
তিনদিনের এ কর্মসূচিতে প্রথম দিনে শাহবাগ থেকে বের হয়ে আশুলিয়ায় ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে সকাল ১১টার দিকে প্রথম পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ পথসভায় ডা. ইমরান বলেন, 'উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়েছে। তাই আমরা নিপীড়িত সেই মানুষের পাশে দাঁড়াতে সেখানে ছুটে যাচ্ছি। যে রাজনৈতিক গোষ্ঠী নির্বাচনকে বয়কট করেছে, নির্বাচন বর্জন করতে বলেছে, তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এ সাম্প্রদায়িক হামলা চালিয়েছে এবং এখনও অব্যাহত রেখেছে।'
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি জানান, দুপুরে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ত্রিমোড়ে গণজাগরণ মঞ্চের রোডমার্চের পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। কালিয়াকৈর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ডা. শাহাবুদ্দিন আহসানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ডা. ইমরান এইচ সরকার, কালিয়াকৈর হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি অজিত কুমার সাহা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম রাসেল, গণজাগরণ মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম, আবুল কাশেম, এনায়েত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, ঊষারঞ্জন কোচ, ইসমাইল হোসেন, আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, ঠাকুরগাঁও অভিমুখে গণজাগরণ মঞ্চের রোডমার্চ বিকেল ৪টার দিকে টাঙ্গাইল অতিক্রম করে। গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার টাঙ্গাইলের জামুর্কি, রাবনা বাইপাস ও এলেঙ্গায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন। এর আগে রোডমার্চের গাড়িবহর টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রাবনা বাইপাসে এসে পেঁৗছলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এলেন মলি্লকসহ টাঙ্গাইল গণজাগরণ মঞ্চের নেতারা তাদের স্বাগত জানান। সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, গণজাগরণ মঞ্চের ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওমুখী রোডমার্চ বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু সেতু অতিক্রম করার পর সেতুর পশ্চিমপাড়ে রোডমার্চের গাড়িবহরকে স্বাগত জানায় এলাকাবাসী। পরে তাদের বহনকারী গাড়িবহর শহরের বাজার স্টেশন মুক্তির সোপান মঞ্চে উপস্থিত হয়। সেখানে ঘণ্টাব্যাপী সমাবেশ শেষে রোডমার্চ বগুড়ার উদ্দেশে সিরাজগঞ্জ ত্যাগ করে। সিরাজগঞ্জ গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক শেখ খালিদ সাইফুল্লাহ সাদির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ডা. ইমরান এইচ সরকার ছাড়াও বক্তব্য দেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ হাবিবে মিল্লাত মুন্না, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য, কেএম হোসেন আলী হাসান, নাজমুল হাসান মুকুল, নবকুমার কর্মকার, আসাদ উদ্দিন পবলু, আশরাফুল ইসলাম জগলু চৌধুরী, জিহাদ আল ইসলাম, জাকির হোসেন প্রমুখ ।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রুখে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে গতকাল সকালে ঠাকুরগাঁও অভিমুখে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর থেকে গণজাগরণ মঞ্চের তিনদিনের রোডমার্চ শুরু হয়। পথে বিভিন্ন স্থানে পথসভা করেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা। এ সময় পথসভায় বিভিন্ন এলাকার শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বগুড়ার সমাবেশস্থলে বিকেলে হামলার বিষয়ে সিরাজগঞ্জের সমাবেশে মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, বোমা মেরে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন থামানো যাবে না। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীকে প্রতিহত করব। বগুড়া ব্যুরো/শেরপুর প্রতিনিধি জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শেরপুরের শেরুয়া বটতলা এলাকায় মঞ্চের গাড়িবহর লক্ষ্য করে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। তবে শেরপুর থানার ওসি আবু হাশেম বলেছেন, ককটেল নয়, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
পরে রোডমার্চের গাড়িবহর রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে বগুড়ার বনানী এলাকায় পেঁৗছলে আবারও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় ২০/২৫টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে রোডমার্চের গাড়িবহর বগুড়া পেঁৗছায়। পরে শহরের সাতমাথায় এক সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চকে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ের মঞ্চ উল্লেখ করে ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, বোমা মেরে, হামলা করে, হত্যা করে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন কখনও স্তব্ধ করা যাবে না। তিনি বলেন, হেফাজত আর জামায়াত ধুলোয় মিশে গেছে। গণজাগরণ মঞ্চ সেই জায়গাতেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমরা যখন প্রতিবাদ করতে শিখেছি তখন দেশে আর অন্যায়, অবিচার ও সাম্প্রদায়িকতাও থাকবে না। গণজাগরণ মঞ্চের বগুড়ার সমন্বয়কারী মুক্তিযোদ্ধা মাসুদার রহমান হেলালের সভাপতিত্বে সমাবেশে লাকী আক্তারও বক্তৃতা করেন। ডা. ইমরান এইচ সরকার অভিযোগ করেন, বগুড়ায় পেঁৗছার আগে জেলার শেরপুর উপজেলার শেরুয়া বটতলা এবং শাজাহানপুর উপজেলার বনানী এলাকায় রোডমার্চের গাড়িবহর লক্ষ্য করে অর্ধশত ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। সমাবেশ শেষে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা রাতে বগুড়াতেই অবস্থান করেন এবং আজ শনিবার সকালে গাইবান্ধার উদ্দেশে রওনা হবেন। গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে সমাবেশস্থল সাতমাথার আশপাশের সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এ ছাড়া মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরাও নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলে।
এর আগে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বগুড়ায় সাতমাথায় গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশস্থলের দুটি প্রবেশমুখে চারটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে কেউ হতাহত না হলেও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের গণপিটুনিতে ৪ যুবক আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে পুলিশ আটক করেছে। হামলাকারীরা অবস্থান করছে সন্দেহে সমাবেশস্থলের পাশে 'টিআর ট্রাভেলস্' নামে একটি পরিবহন কাউন্টারেও ভাংচুর করেন মঞ্চের কর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিলে কর্মসূচি শুরু : রোডমার্চ শুরুর আগে শাহবাগ এলাকায় বিক্ষোভ করেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। এর আগে মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, গণজাগরণ মঞ্চ তিন দফা দাবিতে এ রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করছে। দাবিগুলো হচ্ছে_ সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস রোধে আলাদা আইন করা, এ পর্যন্ত সংঘটিত ঘটনায় দায়ীদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার করা এবং আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া।
তিনদিনের এ কর্মসূচিতে প্রথম দিনে শাহবাগ থেকে বের হয়ে আশুলিয়ায় ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে সকাল ১১টার দিকে প্রথম পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ পথসভায় ডা. ইমরান বলেন, 'উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়েছে। তাই আমরা নিপীড়িত সেই মানুষের পাশে দাঁড়াতে সেখানে ছুটে যাচ্ছি। যে রাজনৈতিক গোষ্ঠী নির্বাচনকে বয়কট করেছে, নির্বাচন বর্জন করতে বলেছে, তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এ সাম্প্রদায়িক হামলা চালিয়েছে এবং এখনও অব্যাহত রেখেছে।'
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি জানান, দুপুরে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ত্রিমোড়ে গণজাগরণ মঞ্চের রোডমার্চের পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। কালিয়াকৈর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ডা. শাহাবুদ্দিন আহসানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ডা. ইমরান এইচ সরকার, কালিয়াকৈর হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি অজিত কুমার সাহা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম রাসেল, গণজাগরণ মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম, আবুল কাশেম, এনায়েত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, ঊষারঞ্জন কোচ, ইসমাইল হোসেন, আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, ঠাকুরগাঁও অভিমুখে গণজাগরণ মঞ্চের রোডমার্চ বিকেল ৪টার দিকে টাঙ্গাইল অতিক্রম করে। গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার টাঙ্গাইলের জামুর্কি, রাবনা বাইপাস ও এলেঙ্গায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন। এর আগে রোডমার্চের গাড়িবহর টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রাবনা বাইপাসে এসে পেঁৗছলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এলেন মলি্লকসহ টাঙ্গাইল গণজাগরণ মঞ্চের নেতারা তাদের স্বাগত জানান। সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, গণজাগরণ মঞ্চের ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওমুখী রোডমার্চ বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু সেতু অতিক্রম করার পর সেতুর পশ্চিমপাড়ে রোডমার্চের গাড়িবহরকে স্বাগত জানায় এলাকাবাসী। পরে তাদের বহনকারী গাড়িবহর শহরের বাজার স্টেশন মুক্তির সোপান মঞ্চে উপস্থিত হয়। সেখানে ঘণ্টাব্যাপী সমাবেশ শেষে রোডমার্চ বগুড়ার উদ্দেশে সিরাজগঞ্জ ত্যাগ করে। সিরাজগঞ্জ গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক শেখ খালিদ সাইফুল্লাহ সাদির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ডা. ইমরান এইচ সরকার ছাড়াও বক্তব্য দেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ হাবিবে মিল্লাত মুন্না, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য, কেএম হোসেন আলী হাসান, নাজমুল হাসান মুকুল, নবকুমার কর্মকার, আসাদ উদ্দিন পবলু, আশরাফুল ইসলাম জগলু চৌধুরী, জিহাদ আল ইসলাম, জাকির হোসেন প্রমুখ ।
No comments