পাঁচ বছরের অর্থনৈতিক কৌশলপত্র তৈরি হচ্ছে by আবু কাওসার
অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে পাঁচ বছর
মেয়াদি 'কৌশলপত্র' তৈরির কাজ শুরু করেছে নতুন সরকার। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল
আবদুল মুহিত এ কৌশলপত্র প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়কে।
নির্দেশ অনুযায়ী কাজ শুরু করেছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। শীর্ষ
অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, রাজনৈতিক সহিংসতায় হুমকির মুখে পড়া 'অর্থনীতি
পুনরুদ্ধার' করাই হবে নতুন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। এর জন্য রাজনৈতিক
স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তারা। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পিআরইর
নির্বাহী পরিচালক ও আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা ড. আহসান এইচ মনসুর সমকালকে
বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুুনরুদ্ধারে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি কিছু পদক্ষেপ
নিতে হবে অর্থমন্ত্রীকে। স্বল্প মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত বেসরকারি খাতকে উৎসাহ
প্রদানের নীতি গ্রহণ এবং মধ্য মেয়াদে বড় বিনিয়োগ প্রকল্প নিয়ে তার যথাযথ
বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। একই মন্তব্য বাংলাদেশ উন্নয়ন
গবেষণা সংস্থা বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক ড. জায়েদ বখতেরও।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ৫ বছর মেয়াদি অর্থনৈতিক কৌশলপত্র তৈরির জন্য মন্ত্রণালয়ের তিন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। তাদের খসড়া কৌশলপত্র অর্থমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। মন্ত্রী দেখার পর তা চূড়ান্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিকভাবে চারটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে পাঁচ বছরের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন অর্থমন্ত্রী। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কৌশলপত্র প্রণয়নের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। সে সঙ্গে নতুন সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ও বিগত মহাজোট সরকারের বাজেটের অর্জনগুলো বিবেচনা করে কৌশলপত্র তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারক এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, নতুন অর্থনৈতিক কৌশলপত্রে বিগত সময়ের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার সূচকগুলো তুলে ধরা হবে। এ ছাড়া আগের যেসব অঙ্গীকার পূরণ সম্ভব হয়নি, তা কেন সম্ভব হয়নি, তার কারণ ব্যাখ্যা করা হবে। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় জিডিপির প্রবৃদ্ধি উচ্চতর সোপানে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিনিয়োগ বাড়ানোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার দিনই অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ওই বৈঠকেই পরবর্তী পাঁচ বছরের অর্থনৈতিক কৌশলপত্র প্রণয়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার অর্থ সচিব ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কৌশলপত্র প্রণয়নের লক্ষ্যে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। জিডিপি সংশোধন :রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি অর্থবছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বা জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা কমানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, বর্তমান বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে। ফেব্রুয়ারি মাসে তা সংশোধন করা হবে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও এডিবি আগেই জানিয়ে দিয়েছে এ বছর কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের সম্ভাবনা নেই।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ৫ বছর মেয়াদি অর্থনৈতিক কৌশলপত্র তৈরির জন্য মন্ত্রণালয়ের তিন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। তাদের খসড়া কৌশলপত্র অর্থমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। মন্ত্রী দেখার পর তা চূড়ান্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিকভাবে চারটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে পাঁচ বছরের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন অর্থমন্ত্রী। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কৌশলপত্র প্রণয়নের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। সে সঙ্গে নতুন সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ও বিগত মহাজোট সরকারের বাজেটের অর্জনগুলো বিবেচনা করে কৌশলপত্র তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারক এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, নতুন অর্থনৈতিক কৌশলপত্রে বিগত সময়ের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার সূচকগুলো তুলে ধরা হবে। এ ছাড়া আগের যেসব অঙ্গীকার পূরণ সম্ভব হয়নি, তা কেন সম্ভব হয়নি, তার কারণ ব্যাখ্যা করা হবে। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় জিডিপির প্রবৃদ্ধি উচ্চতর সোপানে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিনিয়োগ বাড়ানোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার দিনই অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ওই বৈঠকেই পরবর্তী পাঁচ বছরের অর্থনৈতিক কৌশলপত্র প্রণয়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার অর্থ সচিব ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কৌশলপত্র প্রণয়নের লক্ষ্যে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। জিডিপি সংশোধন :রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি অর্থবছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বা জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা কমানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, বর্তমান বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে। ফেব্রুয়ারি মাসে তা সংশোধন করা হবে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও এডিবি আগেই জানিয়ে দিয়েছে এ বছর কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের সম্ভাবনা নেই।
No comments