উপজেলা নির্বাচনে যাবে বিএনপি by লোটন একরাম
জাতীয়
সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি।
কোনো অবস্থায় ক্ষমতাসীন দলকে 'খালি মাঠে' গোল করতে দেবে না তারা। মধ্যবর্তী
সংসদ নির্বাচন হবে_ এমনটি ভেবেই মাঠ দখলে রাখতে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে
'ওয়ার্মআপ' করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। নির্বাচনে সারাদেশের
প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী দেবে
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। শিগগির দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের
বৃহৎ স্বার্থে প্রতিটি উপজেলায় একক প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে মাঠ নেতাদের
কাছে নির্দেশনা পাঠাবেন। সর্বশেষ পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের মতো
উপজেলা নির্বাচনেও বিপুল বিজয় অর্জনের লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে ভোটযুদ্ধে
লিপ্ত হতে চায় তারা। ইতিমধ্যে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমও শুরু করেছে
জোটটি। দশম সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করতে না পেরে হতাশায় নিমজ্জিত
নেতাকর্মীরা এ নির্বাচনকে সামনে রেখে নড়েচড়ে বসতে শুরু করেছেন। শিগগির
কেন্দ্রীয় নেতারা জেলা সফরে গিয়ে মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের আন্দোলনের
পাশাপাশি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে 'গ্রিন সিগন্যাল' দিয়ে
আসবেন। একইসঙ্গে তফসিল ঘোষণার পরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার
ব্যাপারে দলীয় অবস্থান জানাবে বিএনপি। অবশ্য কেন্দ্রীয়ভাবে বর্জনের কথা বলে
নেপথ্যে মাঠ নেতাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়ার কৌশল নিতে
পারে দলটি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান
সমকালকে
বলেন, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। তবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে। বিএনপির সঙ্গে একমত পোষণ করে জনগণও ভোটকেন্দ্রে যায়নি। মাঠপর্যায়ের রাজনীতির ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইতিমধ্যে সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের মতো স্থানীয় সরকারের কয়েকটি নির্বাচনে বিএনপি নেতারা অংশ নিয়েছেন। বিপুল ভোটে বিজয়ীও হয়েছেন অনেকে। তবে তাদের মতে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের 'আজ্ঞাবাহী' ভূমিকায় তাদের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে দলীয় ফোরামে আলোচনার মাধ্যমে সার্বিক বিষয় হিসাব-নিকাশ করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া ও না নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবেদীন ফারুক সমকালকে বলেন, উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে এখনও তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাবে।
আগামী রোববার নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। তবে সব উপজেলায় একসঙ্গে নির্বাচন হবে না। মেয়াদোত্তীর্ণ সর্বোচ্চ একশ' উপজেলায় একসঙ্গে নির্বাচন হবে। সারাদেশে ৪৮৭টি উপজেলা রয়েছে। এর আগে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠনের পর ২২ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত নেতারা নির্বাচনে অংশ নিলেও বেশিরভাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সমর্থিতরাই বিপুলভাবে বিজয়ী হন। তবে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের মধ্যে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় বিএনপি জোটের প্রার্থীরা বেশি বিজয়ী হন। বিশেষ করে রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, সিলেট ও গাজীপুরের সবগুলোতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হন। এর আগে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা সিটি নির্বাচনেও মেয়র পদে নির্বাচিত হন বিএনপি নেতারা। শুধু নারায়ণগঞ্জ ও রংপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নেতারা মেয়র পদে জয়ী হন। এ ছাড়া ঢাকা সিটি করপোরেশনকে ভাগ করে দুটি করা হলেও নির্বাচন হয়নি। প্রশাসক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে করপোরেশন দুটির কার্যক্রম।
সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উপজেলা নির্বাচনকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন তিনি। যে কোনো মূল্যে নির্বাচনে একক প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি সমন্বয় করতে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে সমন্বয় ও মনিটরিং কমিটি গঠন করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের যুগ্ম মহাসচিব ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা সমন্বয় কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করবেন। কোথাও বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলে তাকে বুঝিয়ে প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হবে। তারপরও প্রত্যাহার না করলে দলের হাইকমান্ড হস্তক্ষেপ করবে অথবা বহিষ্কারের মতো কঠোর সিদ্ধান্তও নেবে তারা। শিগগির দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সমন্বয়ে একাধিক কমিটি সারাদেশ সফর করবে।
বিএনপি হাইকমান্ড মনে করে, তারা বর্তমান সরকারকে 'অবৈধ' হিসেবে আখ্যায়িত করলেও সারাদেশে রাজনীতির মাঠ দখলে রাখতে নির্বাচনে অংশ নেবেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর স্থানীয় সরকার নির্বাচন এক নয়। তাদের মতে, জাতীয় ইস্যুতে সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও উপজেলা নির্বাচন বর্জন করা সঠিক হবে না।
বিএনপি নেতারা জানান, বর্তমান আওয়ামী লীগের সমর্থন শূন্যের কোঠায়। এ পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে প্রায় সব উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত নেতারা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হবেন। আর বিএনপি সমর্থিতরা নির্বাচনে অংশ না নিলে সব জায়গায় সংসদ নির্বাচনের মতো একতরফাভাবে নির্বাচিত হবেন। আবার অনেক জায়গায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ও নির্বাচিত হয়ে যাবেন। এতে ওই এলাকায় আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বেন বিএনপি ও জোট নেতাকর্মীরা। তাই কোনোভাবেই আওয়ামী লীগকে খালি মাঠে গোল করতে না দেওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে বিএনপি হাইকমান্ড।
সূত্র জানায়, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতেও উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রয়োজন মনে করে বিএনপি হাইকমান্ড। তাদের মতে, হতাশ নেতাকর্মীদের নির্বাচনী যুদ্ধে নামিয়ে দিলে সবাই ঘর থেকে বেরিয়ে আসবেন। দল সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও নেতাকর্মীরাও চাঙ্গা হয়ে উঠবেন। সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে গিয়ে নেতাকর্মীরা দ্বন্দ্ব-কোন্দলে লিপ্ত হয়ে পড়লে কেউ আর 'নিষ্ক্রিয়' থাকতে পারবেন না। নির্বাচনের আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দলীয় নেতারা বিভিন্ন অঞ্চল সফরে নির্দলীয় সরকারের অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবির পাশাপাশি উপজেলা নির্বাচনের জন্য নেতাকর্মীদের কিছুটা চাঙ্গা করার চেষ্টা করবেন।
বলেন, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। তবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে। বিএনপির সঙ্গে একমত পোষণ করে জনগণও ভোটকেন্দ্রে যায়নি। মাঠপর্যায়ের রাজনীতির ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইতিমধ্যে সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের মতো স্থানীয় সরকারের কয়েকটি নির্বাচনে বিএনপি নেতারা অংশ নিয়েছেন। বিপুল ভোটে বিজয়ীও হয়েছেন অনেকে। তবে তাদের মতে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের 'আজ্ঞাবাহী' ভূমিকায় তাদের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে দলীয় ফোরামে আলোচনার মাধ্যমে সার্বিক বিষয় হিসাব-নিকাশ করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া ও না নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবেদীন ফারুক সমকালকে বলেন, উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে এখনও তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাবে।
আগামী রোববার নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। তবে সব উপজেলায় একসঙ্গে নির্বাচন হবে না। মেয়াদোত্তীর্ণ সর্বোচ্চ একশ' উপজেলায় একসঙ্গে নির্বাচন হবে। সারাদেশে ৪৮৭টি উপজেলা রয়েছে। এর আগে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠনের পর ২২ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত নেতারা নির্বাচনে অংশ নিলেও বেশিরভাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সমর্থিতরাই বিপুলভাবে বিজয়ী হন। তবে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের মধ্যে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় বিএনপি জোটের প্রার্থীরা বেশি বিজয়ী হন। বিশেষ করে রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, সিলেট ও গাজীপুরের সবগুলোতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হন। এর আগে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা সিটি নির্বাচনেও মেয়র পদে নির্বাচিত হন বিএনপি নেতারা। শুধু নারায়ণগঞ্জ ও রংপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নেতারা মেয়র পদে জয়ী হন। এ ছাড়া ঢাকা সিটি করপোরেশনকে ভাগ করে দুটি করা হলেও নির্বাচন হয়নি। প্রশাসক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে করপোরেশন দুটির কার্যক্রম।
সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উপজেলা নির্বাচনকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন তিনি। যে কোনো মূল্যে নির্বাচনে একক প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি সমন্বয় করতে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে সমন্বয় ও মনিটরিং কমিটি গঠন করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের যুগ্ম মহাসচিব ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা সমন্বয় কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করবেন। কোথাও বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলে তাকে বুঝিয়ে প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হবে। তারপরও প্রত্যাহার না করলে দলের হাইকমান্ড হস্তক্ষেপ করবে অথবা বহিষ্কারের মতো কঠোর সিদ্ধান্তও নেবে তারা। শিগগির দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সমন্বয়ে একাধিক কমিটি সারাদেশ সফর করবে।
বিএনপি হাইকমান্ড মনে করে, তারা বর্তমান সরকারকে 'অবৈধ' হিসেবে আখ্যায়িত করলেও সারাদেশে রাজনীতির মাঠ দখলে রাখতে নির্বাচনে অংশ নেবেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর স্থানীয় সরকার নির্বাচন এক নয়। তাদের মতে, জাতীয় ইস্যুতে সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও উপজেলা নির্বাচন বর্জন করা সঠিক হবে না।
বিএনপি নেতারা জানান, বর্তমান আওয়ামী লীগের সমর্থন শূন্যের কোঠায়। এ পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে প্রায় সব উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত নেতারা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হবেন। আর বিএনপি সমর্থিতরা নির্বাচনে অংশ না নিলে সব জায়গায় সংসদ নির্বাচনের মতো একতরফাভাবে নির্বাচিত হবেন। আবার অনেক জায়গায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ও নির্বাচিত হয়ে যাবেন। এতে ওই এলাকায় আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বেন বিএনপি ও জোট নেতাকর্মীরা। তাই কোনোভাবেই আওয়ামী লীগকে খালি মাঠে গোল করতে না দেওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে বিএনপি হাইকমান্ড।
সূত্র জানায়, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতেও উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রয়োজন মনে করে বিএনপি হাইকমান্ড। তাদের মতে, হতাশ নেতাকর্মীদের নির্বাচনী যুদ্ধে নামিয়ে দিলে সবাই ঘর থেকে বেরিয়ে আসবেন। দল সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও নেতাকর্মীরাও চাঙ্গা হয়ে উঠবেন। সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে গিয়ে নেতাকর্মীরা দ্বন্দ্ব-কোন্দলে লিপ্ত হয়ে পড়লে কেউ আর 'নিষ্ক্রিয়' থাকতে পারবেন না। নির্বাচনের আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দলীয় নেতারা বিভিন্ন অঞ্চল সফরে নির্দলীয় সরকারের অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবির পাশাপাশি উপজেলা নির্বাচনের জন্য নেতাকর্মীদের কিছুটা চাঙ্গা করার চেষ্টা করবেন।
No comments