সংখ্যালঘু নয় নাগরিক by আইরিন সুলতানা
বারোয়ারি চ্যানেলের ভিড়ে বিটিভি এখন হয়তো
সবার দেখা হয় না। তথাপি বিটিভি নস্টালজিয়া জাগানিয়া। বিটিভির ৫০ বছর পূর্তি
একটি ইতিহাস তাই। ইন্টারনেটহীন আমলে বিটিভিই ছিল বিনোদন, জানা-অজানাকে
চেনার ভুবন। টেলিভিশন বাক্সটায় একমাত্র চ্যানেল বিটিভি ছিল অঞ্জন দত্তের
গানের মতো, 'একটুখানি চৌকো ছবি আঁকড়ে ধরে থাকি... আমার জানালা দিয়ে আমার
পৃথিবী।'
এই লেখার অবতারণা বিটিভি স্মৃতিচারণে নয়, বরং অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাষ্ট্রে সাম্প্রদায়িক আগ্রাসনে আমাদের দায় খুঁজতে। যদিও সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিয়ে সব শ্রেণী-পেশাজীবী জনতার প্রতিবাদে মুখরিত জনপদ, তবু হৃদকোণে উদ্বেগ কাটে না। যেমনটা হিন্দু, বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী সিঁদুরে মেঘের ছটা দেখে উপাসনালয়ে, ভিটেবাড়িতে আগুন লাগল ভেবে আঁতকে উঠছে। ১৯৭১ সালে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান জনগোষ্ঠী আক্রান্ত হয়েছিল পাকবাহিনী আর রাজাকার দ্বারা। 'সংখ্যালঘু'রূপে চিহ্নিত জনগোষ্ঠী আজকের দিনেও রাজনৈতিক স্বার্থ ও ধর্মের বলি হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের হিন্দু সম্পত্তি দখলের গ্রাম্য রাজনীতিও উদ্বাস্তু করছে হিন্দুদের। বিভিন্ন পত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হিন্দু জনগোষ্ঠী হ্রাস পাচ্ছে। বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান জনগোষ্ঠী '৭১-পরবর্তীকালে বৃদ্ধি পায়নি। ১৯৭৫-পরবর্তী থেকে আজ পর্যন্ত এই সম্প্রদায়গুলো একটি স্বাধীন দেশে 'সংখ্যাগরিষ্ঠ'দের করুণায় অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। নিয়ম রক্ষার মানববন্ধন, রোডমার্চ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেনি, বরং 'সংখ্যালঘু' শব্দটিকে নিয়ত কষ্টিপাথরে খোদাই করেছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আর নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট রাজনৈতিক সহিংসতার জের হিসেবে বৌদ্ধ আর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা মিডিয়া কাভারেজ পেয়েছে বড় মাত্রায়। টক শো থেকে রোড শো, সবখানেই সচেতন প্রতিবাদ। প্রতিবাদ উঠেছে অনলাইনেও। শঙ্কা হচ্ছে, এরপরও যদি এমন আরেকটা লজ্জাকর ঘটনা ঘটে? রাষ্ট্রের ব্যর্থতা হলো, এখন পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি, আইনি পদক্ষেপ হয়নি। সরকার জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থেই কঠোর হয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে সব সাম্প্রদায়িক ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি বিধান নিশ্চিত করলে সব ধর্মাবলম্বীই স্বস্তি পাবে।
সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো থেকে প্রতীয়মান হয়, আমরা একাত্তরের চেতনার ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে বিচ্যুত হচ্ছি ক্রমাগত। সংখ্যাগরিষ্ঠ আর সংখ্যালঘু_ এই দুইয়ের মুহুর্মুহু উচ্চারণ আস্থা নয়, শঙ্কার উদ্রেক ঘটায়। গুটিকয়েক ব্যক্তি ধর্মীয় উস্কানি দেয়, আর সবাই আমরা শান্তিকামী, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সহাবস্থানে বিশ্বাসী হলেও 'সংখ্যালঘু' জনগোষ্ঠী এ দেশে তাদের অধিকারবোধকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে একটি জনগোষ্ঠীকে ক্রমাগত 'সংখ্যালঘু' আখ্যায়িত করে তাদের মানসিক, সামাজিক অবস্থানকে দুর্বল করে দিচ্ছি আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠরা। হিন্দু-বৌদ্ধরা এ দেশের নাগরিক। নিরাপত্তা, নির্বিঘ্নে ধর্ম পালন তাদের সংখ্যালঘু অধিকার নয়, সুনির্দিষ্ট নাগরিক অধিকার। সংখ্যাগরিষ্ঠ আর সংখ্যালঘু শব্দচর্চা বলে দেয় সংখ্যালঘুরা বাস করে সংখ্যাগরিষ্ঠের কৃপায়। সংখ্যাগরিষ্ঠের এই অদ্ভুত আধিপত্যে 'সংখ্যালঘু'রা কি আদৌ এ দেশের নাগরিক হতে পেরেছে?
বিটিভির স্বর্ণযুগে প্রতিদিন একেক ধর্মের প্রার্থনা দিয়ে অনুষ্ঠান কার্যক্রম শুরু হতো। ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত ছিল সেকালে বিটিভির অনুষ্ঠানসূচি প্রারম্ভের এই ধর্মীয় বাণী পর্বটি। বড়রা ছাড়াও শিশুরাও এ সময় টিভির সামনে থাকত, কারণ ধর্মীয় বাণী শেষে কার্টুন। কার্টুনের লোভে বসে থাকা এই শিশুরা নিজের অজান্তেই সব ধর্মের শান্তির বাণী আয়ত্ত করে নিত। 'বুদ্ধং শরনাং গচ্ছামি' কিংবা 'জগতের সব প্রাণী সুখী হোক, সব প্রাণী মঙ্গল লাভ করুক'_ এ বাণী রাষ্ট্রে সব ধর্মের মানুষের কাছে জানান দিত, এ রাষ্ট্র সংখ্যাগুরু কিংবা সংখ্যালঘুতে বিভাজনের রাষ্ট্র নয়, এ রাষ্ট্র হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান তথা নাগরিকের রাষ্ট্র।
বিটিভির কাছে কৃতজ্ঞতা। দুঃখ হলো, হালে অগুনতি চ্যানেল সত্ত্বেও সব চ্যানেলে কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মের অনুসারীদের জন্য নিয়মিতভাবে আবশ্যিক অনুষ্ঠান থাকে। বাণিজ্যিক চ্যানেলের টিআরপি রক্ষার দৌড়ে 'সংখ্যালঘু'দের ধর্ম নিয়ে অনুষ্ঠান কি অলাভজনক? পত্রিকাতেও কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্ম নিয়ে নিয়মিত ফিচার পাতার বরাদ্দ থাকে। হয় কেবল ধর্ম নিয়ে একটি ফিচার পাতা হতে পারে, যেখানে সব ধর্মীয় নিবন্ধ থাকবে। অথবা প্রতিটি ধর্মের জন্য আলাদা করেই সমগুরুত্বের ফিচার পাতা হতে পারে। বলতে দ্বিধা নেই যে সমাজে, যে মানবাধিকারে, যে চিন্তায়, যে বিবেকে, যে চেতনায়, যে আইনে, যে রাষ্ট্রে 'অমুসলিম' এবং 'বিধর্মী' শব্দ দুটির আভিধানিক, ব্যবহারিক চর্চা ও প্রয়োগ আছে, সেখানে রামু, অভয়নগর এলাকাগুলো কখনোই সুরক্ষিত নয়। আমরা সংখ্যাগুরুরা কি অহিন্দু কিংবা অবৌদ্ধ পরিচয়ে পরিচিত হই? সহিংস রাজনীতি, স্বার্থান্বেষী মহল, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতাকে চিহ্নিত করলেই সমাধান হবে না। সংখ্যাগুরু আধিপত্যে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান জনগোষ্ঠী নিজেদের প্রকৃত নাগরিক অধিকারবোধ বিস্মৃত হয়ে সংখ্যালঘু থেকে বিলুপ্তপ্রায় জনগোষ্ঠী হয়ে ওঠার আগেই আমাদের ভেতরের সুপ্ত সাম্প্রদায়িকতাকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। বলতে হবে সবাই নাগরিক। আসুন, হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান একত্রে সাম্প্রদায়িকতা হটানোর পদযাত্রায় শামিল হই নাগরিক অধিকারে।
আইরিন সুলতানা :ব্লগার
এই লেখার অবতারণা বিটিভি স্মৃতিচারণে নয়, বরং অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাষ্ট্রে সাম্প্রদায়িক আগ্রাসনে আমাদের দায় খুঁজতে। যদিও সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিয়ে সব শ্রেণী-পেশাজীবী জনতার প্রতিবাদে মুখরিত জনপদ, তবু হৃদকোণে উদ্বেগ কাটে না। যেমনটা হিন্দু, বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী সিঁদুরে মেঘের ছটা দেখে উপাসনালয়ে, ভিটেবাড়িতে আগুন লাগল ভেবে আঁতকে উঠছে। ১৯৭১ সালে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান জনগোষ্ঠী আক্রান্ত হয়েছিল পাকবাহিনী আর রাজাকার দ্বারা। 'সংখ্যালঘু'রূপে চিহ্নিত জনগোষ্ঠী আজকের দিনেও রাজনৈতিক স্বার্থ ও ধর্মের বলি হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের হিন্দু সম্পত্তি দখলের গ্রাম্য রাজনীতিও উদ্বাস্তু করছে হিন্দুদের। বিভিন্ন পত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হিন্দু জনগোষ্ঠী হ্রাস পাচ্ছে। বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান জনগোষ্ঠী '৭১-পরবর্তীকালে বৃদ্ধি পায়নি। ১৯৭৫-পরবর্তী থেকে আজ পর্যন্ত এই সম্প্রদায়গুলো একটি স্বাধীন দেশে 'সংখ্যাগরিষ্ঠ'দের করুণায় অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। নিয়ম রক্ষার মানববন্ধন, রোডমার্চ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেনি, বরং 'সংখ্যালঘু' শব্দটিকে নিয়ত কষ্টিপাথরে খোদাই করেছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আর নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট রাজনৈতিক সহিংসতার জের হিসেবে বৌদ্ধ আর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা মিডিয়া কাভারেজ পেয়েছে বড় মাত্রায়। টক শো থেকে রোড শো, সবখানেই সচেতন প্রতিবাদ। প্রতিবাদ উঠেছে অনলাইনেও। শঙ্কা হচ্ছে, এরপরও যদি এমন আরেকটা লজ্জাকর ঘটনা ঘটে? রাষ্ট্রের ব্যর্থতা হলো, এখন পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি, আইনি পদক্ষেপ হয়নি। সরকার জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থেই কঠোর হয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে সব সাম্প্রদায়িক ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি বিধান নিশ্চিত করলে সব ধর্মাবলম্বীই স্বস্তি পাবে।
সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো থেকে প্রতীয়মান হয়, আমরা একাত্তরের চেতনার ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে বিচ্যুত হচ্ছি ক্রমাগত। সংখ্যাগরিষ্ঠ আর সংখ্যালঘু_ এই দুইয়ের মুহুর্মুহু উচ্চারণ আস্থা নয়, শঙ্কার উদ্রেক ঘটায়। গুটিকয়েক ব্যক্তি ধর্মীয় উস্কানি দেয়, আর সবাই আমরা শান্তিকামী, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সহাবস্থানে বিশ্বাসী হলেও 'সংখ্যালঘু' জনগোষ্ঠী এ দেশে তাদের অধিকারবোধকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে একটি জনগোষ্ঠীকে ক্রমাগত 'সংখ্যালঘু' আখ্যায়িত করে তাদের মানসিক, সামাজিক অবস্থানকে দুর্বল করে দিচ্ছি আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠরা। হিন্দু-বৌদ্ধরা এ দেশের নাগরিক। নিরাপত্তা, নির্বিঘ্নে ধর্ম পালন তাদের সংখ্যালঘু অধিকার নয়, সুনির্দিষ্ট নাগরিক অধিকার। সংখ্যাগরিষ্ঠ আর সংখ্যালঘু শব্দচর্চা বলে দেয় সংখ্যালঘুরা বাস করে সংখ্যাগরিষ্ঠের কৃপায়। সংখ্যাগরিষ্ঠের এই অদ্ভুত আধিপত্যে 'সংখ্যালঘু'রা কি আদৌ এ দেশের নাগরিক হতে পেরেছে?
বিটিভির স্বর্ণযুগে প্রতিদিন একেক ধর্মের প্রার্থনা দিয়ে অনুষ্ঠান কার্যক্রম শুরু হতো। ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত ছিল সেকালে বিটিভির অনুষ্ঠানসূচি প্রারম্ভের এই ধর্মীয় বাণী পর্বটি। বড়রা ছাড়াও শিশুরাও এ সময় টিভির সামনে থাকত, কারণ ধর্মীয় বাণী শেষে কার্টুন। কার্টুনের লোভে বসে থাকা এই শিশুরা নিজের অজান্তেই সব ধর্মের শান্তির বাণী আয়ত্ত করে নিত। 'বুদ্ধং শরনাং গচ্ছামি' কিংবা 'জগতের সব প্রাণী সুখী হোক, সব প্রাণী মঙ্গল লাভ করুক'_ এ বাণী রাষ্ট্রে সব ধর্মের মানুষের কাছে জানান দিত, এ রাষ্ট্র সংখ্যাগুরু কিংবা সংখ্যালঘুতে বিভাজনের রাষ্ট্র নয়, এ রাষ্ট্র হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান তথা নাগরিকের রাষ্ট্র।
বিটিভির কাছে কৃতজ্ঞতা। দুঃখ হলো, হালে অগুনতি চ্যানেল সত্ত্বেও সব চ্যানেলে কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মের অনুসারীদের জন্য নিয়মিতভাবে আবশ্যিক অনুষ্ঠান থাকে। বাণিজ্যিক চ্যানেলের টিআরপি রক্ষার দৌড়ে 'সংখ্যালঘু'দের ধর্ম নিয়ে অনুষ্ঠান কি অলাভজনক? পত্রিকাতেও কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্ম নিয়ে নিয়মিত ফিচার পাতার বরাদ্দ থাকে। হয় কেবল ধর্ম নিয়ে একটি ফিচার পাতা হতে পারে, যেখানে সব ধর্মীয় নিবন্ধ থাকবে। অথবা প্রতিটি ধর্মের জন্য আলাদা করেই সমগুরুত্বের ফিচার পাতা হতে পারে। বলতে দ্বিধা নেই যে সমাজে, যে মানবাধিকারে, যে চিন্তায়, যে বিবেকে, যে চেতনায়, যে আইনে, যে রাষ্ট্রে 'অমুসলিম' এবং 'বিধর্মী' শব্দ দুটির আভিধানিক, ব্যবহারিক চর্চা ও প্রয়োগ আছে, সেখানে রামু, অভয়নগর এলাকাগুলো কখনোই সুরক্ষিত নয়। আমরা সংখ্যাগুরুরা কি অহিন্দু কিংবা অবৌদ্ধ পরিচয়ে পরিচিত হই? সহিংস রাজনীতি, স্বার্থান্বেষী মহল, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতাকে চিহ্নিত করলেই সমাধান হবে না। সংখ্যাগুরু আধিপত্যে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান জনগোষ্ঠী নিজেদের প্রকৃত নাগরিক অধিকারবোধ বিস্মৃত হয়ে সংখ্যালঘু থেকে বিলুপ্তপ্রায় জনগোষ্ঠী হয়ে ওঠার আগেই আমাদের ভেতরের সুপ্ত সাম্প্রদায়িকতাকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। বলতে হবে সবাই নাগরিক। আসুন, হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান একত্রে সাম্প্রদায়িকতা হটানোর পদযাত্রায় শামিল হই নাগরিক অধিকারে।
আইরিন সুলতানা :ব্লগার
No comments