সংকট উত্তরণ- বাংলাদেশ প্যারাডক্স by উইলিয়াম বি. মাইলাম
বাংলাদেশে আবার সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি
হয়েছে। পাঁচ বছর পর পর আসে এই রাজনৈতিক সংকট। ব্যাপারটা টের পাওয়া যায়
দেশটিতে বর্ষাকালের আগমনের মতোই, তবে অতটা একঘেয়েভাবে নয়।
এমনটা ঘটার কারণ, দেশটির সংবিধানে পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং সেই নির্বাচনই সংকট নিয়ে আসে।
কারণ, সংশ্লিষ্ট দলগুলো নির্বাচনে আবার জয়লাভের চেষ্টায় কোনো সুযোগই নষ্ট করে না, সেটা আইনি বা নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হোক আর না হোক। বিরোধী দলের ভূমিকাও কোনো অংশে কম নিন্দনীয় নয়। সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় তাদের জন্য যতই সীমাবদ্ধতা থাকুক, নিজেদের সুবিধা আদায় করে নিতে তারা সচেষ্ট থাকে। সহিংসতা এবং কখনো কখনো অতিমাত্রায় সহিংসতার বিষয়টি থাকে উভয় দলের জন্যই নির্বাচনী লড়াইয়ের কৌশল হিসেবে।
আর নির্বাচনী রাজনীতির যুগ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো দলই পুনর্নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় যেতে পারেনি। কারণ, প্রতিটি নির্বাচনেই ক্ষমতাসীন দলের কর্মকাণ্ড এমন ছিল যে ভোটাররা বিরোধী দলকে ক্ষমতায় গিয়ে ভালো কিছু করে দেখানোর একটি সুযোগ দিতে উন্মুখ হয়ে থাকেন। তবে ভোটাররা সব সময়ই হতাশ হন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর সব দেশের রাজনীতিতে যেমনটা হয়, আশা বরাবরই অভিজ্ঞতাকে ছাপিয়ে যায়। এ বছরও তা-ই: জনমত জরিপ বলছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিরোধী দলই ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে; আর সরকার তাদের ক্ষমতার পুরোটাই ব্যবহার করেছে এবং সম্ভবত যদি সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টকে আক্ষরিক অর্থেই দেখা হয়, ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার এমন অনেক কিছুই করেছে, যা আইনসিদ্ধ নয়।
সম্প্রতি নির্বাচন-প্রক্রিয়া নিয়ে অচলাবস্থার মতো পরিস্থিতি বিরোধী দলকে চালিত করেছে নির্বাচন বয়কটের হুমকি দিতে এবং ঢাকায় সহিংস অবরোধ পালনে। বিরোধী দলের অনুমান, রাজনৈতিক ব্যবস্থার অর্ধেকের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন হলে তা অন্তত অর্ধেক ভোটার ও বহির্বিশ্বের কাছে অবৈধ বলে গণ্য হবে। এদিকে সহিংসতায় প্রাণহানি বাড়ছেই, কেবল রাজনীতিসংশ্লিষ্ট লোকজনই নয়, নির্দোষ লোকজনও এর শিকার হচ্ছে। তবু সরকারের মধ্যে সমঝোতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
ব্যবসায়িক নেতারা, সুশীল সমাজের অধিকাংশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমঝোতার জন্য প্রধান দুই দলের নেতাদের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়ে আসছে। সুশীল সমাজের অনেকে রাজনীতি থেকে একটি ‘অবকাশ’ (রিসেস) চায়, যার উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১) পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত কয়েক মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিতকরণ;
২) একটি ‘পুনর্গঠনমূলক বিরতি’, যা একটি সামরিক হস্তক্ষেপ ও টেকনোক্র্যাট সরকারেরই অপর নাম। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কার বাস্তবায়ন করবে এই সরকার।
এ রকম ব্যবস্থা আগে সফল হয়নি, তাই এখন সেটা কেন কাজ করবে? সম্ভবত এর উত্তর রয়েছে ‘বাংলাদেশ প্যারাডক্স’ নামের একটি ধাঁধার মধ্যে। এই প্যারাডক্সটি হচ্ছে বাংলাদেশ আধুনিকায়ন তত্ত্বকে উপেক্ষা করে, যা অধিকাংশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বুদ্ধিবৃত্তিক ভিত্তি। সহজ কথায়, এই তত্ত্ব অনুযায়ী অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির উচ্চ হার বজায় রাখা, দারিদ্র্যের নিম্ন হার, শিক্ষা, সাক্ষরতা, গণস্বাস্থ্য প্রভৃতি সামাজিক সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির সঙ্গে রাজনৈতিক উন্নয়ন যুক্ত রয়েছে। অন্য কথায়, আয় ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান জোয়ার সব ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলেছে এবং মধ্যবিত্ত, গণতান্ত্রিক কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকাশ ও অগ্রগতির মধ্য দিয়ে সমৃদ্ধি অপরিহার্যভাবে আসবে এবং গণতন্ত্র নিজেও এগিয়ে যাবে।
এই উপসংহারের পক্ষে প্রায়োগিক প্রমাণ নেই, বরং বিপক্ষে অনেক প্রমাণ রয়েছে (চীন, মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশ)। বাংলাদেশ জিডিপিতে প্রায় ২০ বছরে ৫ থেকে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে; দেশটির বিভিন্ন সামাজিক সূচক ভারতের তুলনায় ভালো (এবং পাকিস্তানের চেয়ে সামগ্রিকভাবে ভালো) এবং দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র শ্রীলঙ্কাই এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
তাই কী কারণে দেশটি কর্তৃত্ববাদী/গণতান্ত্রিক পথ ধরে পেছনের দিকে হেঁটে আরও কর্তৃত্ববাদী একটি রাষ্ট্রব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে? নিশ্চিতভাবে প্রথম কারণটি হচ্ছে আনুষ্ঠানিক গণতন্ত্র, যাতে ভারসাম্য ও প্রকৃত গণতন্ত্রের ঘাটতি রয়েছে।
এই আনুষ্ঠানিক গণতন্ত্র দেশটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অন্তঃসারশূন্য করে দিয়েছে এবং সেগুলোকে ক্ষমতাসীন দলের (প্রধান দুটি দলের মধ্যে) কৌশল বাস্তবায়নের যন্ত্রে পরিণত করেছে সম্প্রসারণশীল অর্থনীতি থেকে নিজেদের আর্থিক সুবিধা আদায় করে নেওয়ার জন্য।
বর্তমান সংকট নিয়ে বিদেশিদের অধিকাংশেরই প্রতিক্রিয়া এ রকম যে, ঘটনাপ্রবাহ এবারও আগের বছরগুলোর মতোই হবে। বিগত সংকট মুহূর্তগুলোতে সরকারি দলটি সব সময়ই ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয় এবং বিরোধীরা ক্ষমতায় আসে। এর ফলে কার্যকর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না হলেও ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তবে ইতিহাস সব সময় নিজেকে পুনরাবৃত্ত করে না। সরকার যদি সত্যিই তার পরিকল্পিত একদলীয় নির্বাচনের পথে এগিয়ে যায়, এর ফলে সহিংসতার যে সূত্রপাত হবে তা সরকারের পতনঘটাতে পারে অথবা আরেকটি নির্বাচনের প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে পারে; যাতে বিরোধীদের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দুঃখজনকভাবে এটাই হবে সবচেয়ে ভালো পরিণতি। কারণ, বিকল্পটি আরও খারাপ—একটি সরকার—দেশটির প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকারগ্রস্ততার কারণে, এমন একটি অবস্থায় রয়েছে, যা বিরোধী দলকে বলপূর্বক দমন করে একটি একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে। এই নির্বাচন, আগে যা কিছু হয়েছে তার বদলে, উপমহাদেশে সম্পূর্ণ নতুন কিছুর ইঙ্গিত নিয়ে আসতে পারে।
ইংরেজি থেকে অনূদিত
উইলিয়াম বি. মাইলাম: বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত।
কারণ, সংশ্লিষ্ট দলগুলো নির্বাচনে আবার জয়লাভের চেষ্টায় কোনো সুযোগই নষ্ট করে না, সেটা আইনি বা নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হোক আর না হোক। বিরোধী দলের ভূমিকাও কোনো অংশে কম নিন্দনীয় নয়। সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় তাদের জন্য যতই সীমাবদ্ধতা থাকুক, নিজেদের সুবিধা আদায় করে নিতে তারা সচেষ্ট থাকে। সহিংসতা এবং কখনো কখনো অতিমাত্রায় সহিংসতার বিষয়টি থাকে উভয় দলের জন্যই নির্বাচনী লড়াইয়ের কৌশল হিসেবে।
আর নির্বাচনী রাজনীতির যুগ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো দলই পুনর্নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় যেতে পারেনি। কারণ, প্রতিটি নির্বাচনেই ক্ষমতাসীন দলের কর্মকাণ্ড এমন ছিল যে ভোটাররা বিরোধী দলকে ক্ষমতায় গিয়ে ভালো কিছু করে দেখানোর একটি সুযোগ দিতে উন্মুখ হয়ে থাকেন। তবে ভোটাররা সব সময়ই হতাশ হন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর সব দেশের রাজনীতিতে যেমনটা হয়, আশা বরাবরই অভিজ্ঞতাকে ছাপিয়ে যায়। এ বছরও তা-ই: জনমত জরিপ বলছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিরোধী দলই ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে; আর সরকার তাদের ক্ষমতার পুরোটাই ব্যবহার করেছে এবং সম্ভবত যদি সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টকে আক্ষরিক অর্থেই দেখা হয়, ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার এমন অনেক কিছুই করেছে, যা আইনসিদ্ধ নয়।
সম্প্রতি নির্বাচন-প্রক্রিয়া নিয়ে অচলাবস্থার মতো পরিস্থিতি বিরোধী দলকে চালিত করেছে নির্বাচন বয়কটের হুমকি দিতে এবং ঢাকায় সহিংস অবরোধ পালনে। বিরোধী দলের অনুমান, রাজনৈতিক ব্যবস্থার অর্ধেকের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন হলে তা অন্তত অর্ধেক ভোটার ও বহির্বিশ্বের কাছে অবৈধ বলে গণ্য হবে। এদিকে সহিংসতায় প্রাণহানি বাড়ছেই, কেবল রাজনীতিসংশ্লিষ্ট লোকজনই নয়, নির্দোষ লোকজনও এর শিকার হচ্ছে। তবু সরকারের মধ্যে সমঝোতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
ব্যবসায়িক নেতারা, সুশীল সমাজের অধিকাংশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমঝোতার জন্য প্রধান দুই দলের নেতাদের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়ে আসছে। সুশীল সমাজের অনেকে রাজনীতি থেকে একটি ‘অবকাশ’ (রিসেস) চায়, যার উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১) পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত কয়েক মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিতকরণ;
২) একটি ‘পুনর্গঠনমূলক বিরতি’, যা একটি সামরিক হস্তক্ষেপ ও টেকনোক্র্যাট সরকারেরই অপর নাম। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কার বাস্তবায়ন করবে এই সরকার।
এ রকম ব্যবস্থা আগে সফল হয়নি, তাই এখন সেটা কেন কাজ করবে? সম্ভবত এর উত্তর রয়েছে ‘বাংলাদেশ প্যারাডক্স’ নামের একটি ধাঁধার মধ্যে। এই প্যারাডক্সটি হচ্ছে বাংলাদেশ আধুনিকায়ন তত্ত্বকে উপেক্ষা করে, যা অধিকাংশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বুদ্ধিবৃত্তিক ভিত্তি। সহজ কথায়, এই তত্ত্ব অনুযায়ী অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির উচ্চ হার বজায় রাখা, দারিদ্র্যের নিম্ন হার, শিক্ষা, সাক্ষরতা, গণস্বাস্থ্য প্রভৃতি সামাজিক সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির সঙ্গে রাজনৈতিক উন্নয়ন যুক্ত রয়েছে। অন্য কথায়, আয় ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান জোয়ার সব ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলেছে এবং মধ্যবিত্ত, গণতান্ত্রিক কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকাশ ও অগ্রগতির মধ্য দিয়ে সমৃদ্ধি অপরিহার্যভাবে আসবে এবং গণতন্ত্র নিজেও এগিয়ে যাবে।
এই উপসংহারের পক্ষে প্রায়োগিক প্রমাণ নেই, বরং বিপক্ষে অনেক প্রমাণ রয়েছে (চীন, মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশ)। বাংলাদেশ জিডিপিতে প্রায় ২০ বছরে ৫ থেকে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে; দেশটির বিভিন্ন সামাজিক সূচক ভারতের তুলনায় ভালো (এবং পাকিস্তানের চেয়ে সামগ্রিকভাবে ভালো) এবং দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র শ্রীলঙ্কাই এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
তাই কী কারণে দেশটি কর্তৃত্ববাদী/গণতান্ত্রিক পথ ধরে পেছনের দিকে হেঁটে আরও কর্তৃত্ববাদী একটি রাষ্ট্রব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে? নিশ্চিতভাবে প্রথম কারণটি হচ্ছে আনুষ্ঠানিক গণতন্ত্র, যাতে ভারসাম্য ও প্রকৃত গণতন্ত্রের ঘাটতি রয়েছে।
এই আনুষ্ঠানিক গণতন্ত্র দেশটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অন্তঃসারশূন্য করে দিয়েছে এবং সেগুলোকে ক্ষমতাসীন দলের (প্রধান দুটি দলের মধ্যে) কৌশল বাস্তবায়নের যন্ত্রে পরিণত করেছে সম্প্রসারণশীল অর্থনীতি থেকে নিজেদের আর্থিক সুবিধা আদায় করে নেওয়ার জন্য।
বর্তমান সংকট নিয়ে বিদেশিদের অধিকাংশেরই প্রতিক্রিয়া এ রকম যে, ঘটনাপ্রবাহ এবারও আগের বছরগুলোর মতোই হবে। বিগত সংকট মুহূর্তগুলোতে সরকারি দলটি সব সময়ই ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয় এবং বিরোধীরা ক্ষমতায় আসে। এর ফলে কার্যকর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না হলেও ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তবে ইতিহাস সব সময় নিজেকে পুনরাবৃত্ত করে না। সরকার যদি সত্যিই তার পরিকল্পিত একদলীয় নির্বাচনের পথে এগিয়ে যায়, এর ফলে সহিংসতার যে সূত্রপাত হবে তা সরকারের পতনঘটাতে পারে অথবা আরেকটি নির্বাচনের প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে পারে; যাতে বিরোধীদের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দুঃখজনকভাবে এটাই হবে সবচেয়ে ভালো পরিণতি। কারণ, বিকল্পটি আরও খারাপ—একটি সরকার—দেশটির প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকারগ্রস্ততার কারণে, এমন একটি অবস্থায় রয়েছে, যা বিরোধী দলকে বলপূর্বক দমন করে একটি একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে। এই নির্বাচন, আগে যা কিছু হয়েছে তার বদলে, উপমহাদেশে সম্পূর্ণ নতুন কিছুর ইঙ্গিত নিয়ে আসতে পারে।
ইংরেজি থেকে অনূদিত
উইলিয়াম বি. মাইলাম: বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত।
No comments