‘লুটপাটতন্ত্র বন্ধ করলে মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র পূর্ণতা পাবে’
গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বাস্তবায়নের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে মাত্র।
কিন্তু এটাই শেষ নয়। মূল মর্মটা তখনই বাস্তবায়ন হবে, যখন দেশের সার্বভৌমত্ব নিরাপদ হবে। কিন্তু এখন আমাদের সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়। সার্বভৌমত্বের উপর এখন নানামুখী আক্রমণ হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র পূর্ণতা পাবে যদি লুটপাটের রাজনীতি বন্ধ করে উৎপাদনশীল অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা যায়। কিন্তু তা হচ্ছে না। মানবজমিন অনলাইনকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ৭২ সাল থেকে নির্বাচিত কিংবা অনির্বাচিত কায়দায় স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামোতেই চলেছে সরকারগুলো। ফলে, আমরা কাঙ্খিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ পাইনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আনুষ্ঠানিকতার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
রাজনৈতিক সংকটের মোকাবিলায় বিদেশীদের কূটনৈতিক পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুই দল নিজেদের দাবিতে অনড় থেকে সমাধান চাইছে। এটা সম্ভব নয়। তাই সমাধানের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ছাড় দিতে পারলে নিজেরাই সমস্যার সমাধান করা যেত। কিন্তু তা করতে পারে নি শাসকদলগুলো। ফলে এখন কূটনীতিকরা হস্তক্ষেপ করে আমাদেরকে একটা লজ্জাজনক অবস্থায় ফেলেছে।
জামায়াত-শিবিরের রাজনৈতিক মোকাবিলার উপায় প্রসঙ্গে এই বাম রাজনীতিক বলেন, জামায়াত-শিবিরের বাড়বাড়ন্ত অবস্থা শাসক দলগুলোর আপোষকামিতার ফল। জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার জন্য গণতান্ত্রিক শাসন কাঠামো ও গণমুখী অর্থনীতি গড়ে তোলা দরকার। কিন্তু তা গড়ে ওঠেনি এবং তার দিকে ক্ষমতাসীন দলগুলো মনোযোগীও নয়। এই বিষয়ে জনগণের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
No comments