দিল্লির সিংহাসন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া হবে লজ্জাস্কর : কেজরিওয়াল
আম আদমি পার্টি (এএপি বা আপ) দিল্লিতে সরকার গঠনের আভাস দিয়েছে। রোববার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে আম আদমি নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, আমরা সরকার গঠনে প্রস্তুত। তিনি বলেন, দিল্লির গভর্নর লেফটেনেন্ট জেনারেল নাজিব জংয়ের আমন্ত্রণ সত্ত্বেও দিল্লির সিংহাসনে বসার গুরু দায়িত্ব থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া লজ্জাস্কর হবে। কেজরিওয়াল বলেন, সোমবার (আজ) সকালে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করব। কেজরিওয়ালের এ সিদ্ধান্তের ফলে দিল্লিতে সরকার গঠন নিয়ে অচলাবস্থা শেষ হওয়ার পথে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে শনিবার আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজধানীতে সরকার গঠন নিয়ে মানুষ তাদের পক্ষেই রায় দিয়েছে। দিল্লি চাইছে আপকেই। গত কয়েকদিন ধরে বেশকিছু সমাবেশ করেছেন আপ নেতারা। লক্ষ্য ছিল ‘জনসাধারণের মনোভাব’ বোঝা। নতুন করে সরকার গড়ার প্রস্তুতিতে দলে উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। দলের এক নেতা মনীষ সিশোডিয়া বলেন, ‘এভাবেই যদি চলতে থাকে তাহলে আপ নিশ্চিতভাবে সরকার গঠন করবে।’ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ২৮টি আসন পেয়েছে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। ম্যাজিক ফিগার না পাওয়ায় সংখ্যালঘু সরকার গড়তে রাজি নয় ভারতীয় জনতা পার্টি। তাদের সিদ্ধান্ত বিরোধী আসনে বসার। রোববারও বেশকিছু পথসভা ও সমাবেশ করেছে আপ।
দিল্লির মানুষ কী চাইছে, তা বুঝে নিতে চায় তারা। জনতার রায় নিতে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও ব্যাপক প্রচার চালিয়েছে আম আদমি দল। ফেসবুক, মেইল, টুইটার ও এসএমএসের মাধ্যমে প্রায় ৬ লাখ মানুষ তাদের রায় জানিয়ছেন। তারা চাইছেন দিল্লির মসনদ থাকুক কেজরিওয়ালদের হাতেই। প্রত্যাশাও অনেক। ভোটের আগে কেজরিওয়ালের দেয়া সব প্রস্তুতি বাস্তবায়িত হোক এমনটা চায় মানুষ। খোদ কেজরিওয়াল বলছেন, ‘আমরা সব রকম মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছি। অনেকেই মনে করছেন আমদেরই সরকার গঠন করা উচিত।’ লোকপাল বিল নিয়ে সরকার ও বিরোধী দু’পক্ষকেই এক হাত নিয়েছেন কেজরিওয়াল। কংগ্রেস ও বিজেপি দু’দলের থেকে ভালোভাবেই সরকার চালাবেন বলে দাবি কেজরিওয়ালের। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলো আপকে কথায় কথায় চ্যালেঞ্জ করা যেন বন্ধ করে, সে কথাও বলেছেন কেজরিওয়াল। সূত্র জানায়, দিল্লির মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে আপ। কাকে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হবে তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কিন্তু আপ বাইরে থেকে কংগ্রেসের সমর্থন নিতে রাজি হবে কিনা সে প্রশ্নের উত্তর এখনও মিলছে না। এএফপি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments