কাটছাঁট করা হচ্ছে ওষুধ শিল্প পার্ক প্রকল্পের বরাদ্দ by মফিজুল সাদিক
কাটছাঁট করা হচ্ছে একটিভ
ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রিডেন্ট (এপিআই) ওষুধ শিল্প পার্ক বরাদ্দের টাকা।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) থেকে প্রথমে এই
প্রকল্পের বরাদ্দের কথা বলা হয়েছিল ৫০৫ কোটি টাকা।
কিন্তু
ইন্টার মিনিস্ট্রিয়াল কমিটি এই প্রকল্পের খরচ কমানোর নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষকে। এখন এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩১ কোটি ৮৬ লাখ
টাকা। বাংলাদেশে এই প্রথম ২০০ একর জমিতে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার
বাউশিয়া মৌজায় এপিআই শিল্প পার্ক স্থাপিত হতে যাচ্ছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদকাল কাজ শুরু থেকে ছয় বছর ছয় মাস। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ হ্রাস-বৃদ্ধি হতে পারে।
প্রকল্পটি বিসিক থেকে শিল্প মন্ত্রণালয় হয়ে সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বিসিক কর্তৃপক্ষ আশা করছে, সেপ্টেম্বর মাসেই প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হবে।
বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্প পরিচালক আব্দুল বাসেত বাংলানিউজকে বলেন, এপিআই শিল্প পার্ক প্রকল্পের বরাদ্দ কমানো হয়েছে। আমরা ৫০৫ কোটি টাকার প্রস্তাব করেছিলাম। সেখান থেকে ৩৩১ কোটি ৮৬ লাখ টাকায় কমিয়ে আনা হয়েছে। আমরা আশা করছি, সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে।
এপিআই পার্কে মোট ৪২টি ওষুধ শিল্প প্লট তৈরি হবে। যেখানে ২৫ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে। প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ৩৩১ কোটি ৮৬ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পের খরচ কমানো, নকশা অনুমোদন ইত্যাদি নানা কারণে এই প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
৮০ কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি (বিএপিআই)। এই টাকা দিয়ে এপিআই শিল্প পার্কের ওয়াল, গেইট, ইনসিনেরেটর ও ডাম্পিং ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের জন্য সরকারি তহবিল থেকে ২৫১ কোটি ৮৬ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে। এই অর্থ দিয়ে ২০০ একর জমি কেনা, জমি ভরাট, একটি প্রথম শ্রেণীর ফায়ার স্টেশন নির্মাণ, সম্পদ সংগ্রহ, সরবরাহ সেবা, বেতন-ভাতা, মেরামত ও রক্ষাণাবেক্ষণ খাতে ব্যয় করা হবে।
এপিআই শিল্প পার্কের সুবিধা সমূহ: সব ধরনের অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধাসহ এপিআই শিল্প পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হলে বাংলাদেশ বছরে কমপক্ষে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি করতে সক্ষম হবে। উল্লেখ্য, এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশ ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্যাটেন্ট ড্রাগ তৈরি করতে পারবে। এ ড্রাগ তৈরির জন্য যদি প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি করা হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে পারবে।
বাংলাদেশকে ওষুধের বাজার ধরে রাখতে হলে এবং নতুন বাজার তৈরি করতে হলে ওষুধের কাঁচামাল বাংলাদেশেই তৈরি করতে হবে। এই ওষুধ শিল্প পার্ক স্থাপন করা হলে ওষুধ শিল্প সেক্টরটি বিশ্বের ৪৯টি স্বল্পোন্নত দেশসহ অন্যান্য দেশেও পেটেন্ট ওষুধ রপ্তানি করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এপিআই ওষুধ শিল্প পার্কের পঠভূমি: ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল তৈরির ব্যাপক সম্ভাবনার আলোকে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির প্রস্তাবনার ভিত্তিতে একটি এপিআই শিল্প পার্ক স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এরই প্রেক্ষাপটে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত স্থায়ী স্থান নির্বাচন কমিটি (আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি) ঢাকা থেকে ৩৭ কিলোমিটার দূরত্বে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন দক্ষিণ পার্শ্বে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া মৌজায় এপিআই শিল্প পার্ক স্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই শিল্পের ফলে ওষুধ শিল্পের কাঁচামালের চাহিদা বর্তমানের চেয়ে ২০ ভাগ থেকে ৭০ ভাগ পূরণ করতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ, স্বাস্থ্য সেবা ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এক অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে ওষুধ শিল্পের সেক্টর থেকে প্রায় নয় হাজার কোটি টাকার ওষুধ উৎপাদন করে দেশের ৯৭ ভাগ চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে। এখান থেকে বিশ্বের ৮৫টি দেশে ওষুধ রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। ৫০টি স্বল্প উন্নত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্পে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ।
এপিআই ওষুধ শিল্প পার্ক গড়ে উঠলে ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের জন্য নব দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদকাল কাজ শুরু থেকে ছয় বছর ছয় মাস। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ হ্রাস-বৃদ্ধি হতে পারে।
প্রকল্পটি বিসিক থেকে শিল্প মন্ত্রণালয় হয়ে সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বিসিক কর্তৃপক্ষ আশা করছে, সেপ্টেম্বর মাসেই প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হবে।
বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্প পরিচালক আব্দুল বাসেত বাংলানিউজকে বলেন, এপিআই শিল্প পার্ক প্রকল্পের বরাদ্দ কমানো হয়েছে। আমরা ৫০৫ কোটি টাকার প্রস্তাব করেছিলাম। সেখান থেকে ৩৩১ কোটি ৮৬ লাখ টাকায় কমিয়ে আনা হয়েছে। আমরা আশা করছি, সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে।
এপিআই পার্কে মোট ৪২টি ওষুধ শিল্প প্লট তৈরি হবে। যেখানে ২৫ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে। প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ৩৩১ কোটি ৮৬ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পের খরচ কমানো, নকশা অনুমোদন ইত্যাদি নানা কারণে এই প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
৮০ কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি (বিএপিআই)। এই টাকা দিয়ে এপিআই শিল্প পার্কের ওয়াল, গেইট, ইনসিনেরেটর ও ডাম্পিং ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের জন্য সরকারি তহবিল থেকে ২৫১ কোটি ৮৬ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে। এই অর্থ দিয়ে ২০০ একর জমি কেনা, জমি ভরাট, একটি প্রথম শ্রেণীর ফায়ার স্টেশন নির্মাণ, সম্পদ সংগ্রহ, সরবরাহ সেবা, বেতন-ভাতা, মেরামত ও রক্ষাণাবেক্ষণ খাতে ব্যয় করা হবে।
এপিআই শিল্প পার্কের সুবিধা সমূহ: সব ধরনের অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধাসহ এপিআই শিল্প পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হলে বাংলাদেশ বছরে কমপক্ষে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি করতে সক্ষম হবে। উল্লেখ্য, এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশ ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্যাটেন্ট ড্রাগ তৈরি করতে পারবে। এ ড্রাগ তৈরির জন্য যদি প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি করা হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে পারবে।
বাংলাদেশকে ওষুধের বাজার ধরে রাখতে হলে এবং নতুন বাজার তৈরি করতে হলে ওষুধের কাঁচামাল বাংলাদেশেই তৈরি করতে হবে। এই ওষুধ শিল্প পার্ক স্থাপন করা হলে ওষুধ শিল্প সেক্টরটি বিশ্বের ৪৯টি স্বল্পোন্নত দেশসহ অন্যান্য দেশেও পেটেন্ট ওষুধ রপ্তানি করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এপিআই ওষুধ শিল্প পার্কের পঠভূমি: ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল তৈরির ব্যাপক সম্ভাবনার আলোকে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির প্রস্তাবনার ভিত্তিতে একটি এপিআই শিল্প পার্ক স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এরই প্রেক্ষাপটে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত স্থায়ী স্থান নির্বাচন কমিটি (আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি) ঢাকা থেকে ৩৭ কিলোমিটার দূরত্বে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন দক্ষিণ পার্শ্বে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া মৌজায় এপিআই শিল্প পার্ক স্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই শিল্পের ফলে ওষুধ শিল্পের কাঁচামালের চাহিদা বর্তমানের চেয়ে ২০ ভাগ থেকে ৭০ ভাগ পূরণ করতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ, স্বাস্থ্য সেবা ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এক অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে ওষুধ শিল্পের সেক্টর থেকে প্রায় নয় হাজার কোটি টাকার ওষুধ উৎপাদন করে দেশের ৯৭ ভাগ চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে। এখান থেকে বিশ্বের ৮৫টি দেশে ওষুধ রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। ৫০টি স্বল্প উন্নত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্পে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ।
এপিআই ওষুধ শিল্প পার্ক গড়ে উঠলে ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের জন্য নব দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
No comments