তৃতীয় শক্তি ক্ষমতায় আসার কোনো সুযোগ নেই
বিদ্যমান আইনে দুই দলের বাইরে কোনো শক্তি
ক্ষমতায় আসার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট জনেরা। তারা বলেন,
সংসদ সদস্যরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই ক্ষমতায় আসেন। তাই তাদের
মোকাবেলা করতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে।
বৃহস্পতিবার
দুপরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)’ আয়োজিত
‘রাজনৈতিক সঙ্কটের স্থায়ী সমাধান ও সংস্কার ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা
এ কথা বলেন।
সেমিনারে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে দুই দল ছাড়া কোনো দল থাকছে না। তৃতীয় কোনো শক্তি আসারও সম্ভাবনা দেখছি না।
ভারতের কংগ্রেসের উদাহরণ টেনে বলেন, তারা যেভাবে এককভাবে সরকার গঠন করতে পারে না, তেমনি বাংলাদেশে সেই রকম একটি শক্তির উত্থান জরুরি। তা না হলে এই দুর্বৃত্তায়ন থেকে মুক্তি সম্ভব নয়।
নির্বাচন পূর্ববর্তী প্রচারণায় কোনো আইন করা যায় কিনা সেটিও দেখতে হবে। কারণ, সরকার দলীয় ও বিরোধী দলীয় নেতা এখন থেকেই লাখ লাখ টাকা ব্যয় শুরু করেছেন।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের তিন মাস আগেই তৃতীয় শক্তির আবির্ভাব ঘটে। এটা যদি পুরো পাঁচ বছর থেকে কাজ করে তবে এটা আলোর মুখ দেখবে।
প্রার্থী যদি কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্বাচন করেন আর এ তথ্য যদি কোনো সময় প্রমাণিত হয়, সেই সময় তার সদস্য পদ বাতিল করার ক্ষমতা ইসির থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন এম সাখাওয়াত হোসেন ।
চীনের রাষ্ট্রদূতের সংলাপের আহ্বানকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি করে তিনি বলেন, চায়নিজরা সাধারণত কোনো বিষয়ে কথা বলেন না। কিন্তু বুধবার তিনি দু’দলকে এক সঙ্গে বসার পরামর্শ দিয়েছেন, যা আমাদের জন্য বড় সর্তক বার্তা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। আর রাজনৈতিক সঙ্কটও ঘনিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সঙ্কটের দুইভাবে সমাধান করা যায়। প্রথমত রাজনৈতিক নেতারা বসে সমাধান করেন। দ্বিতীয়ত যখন তারা ব্যর্থ হন জনগণ সেটা করে। তাই আপনারা যখন ব্যর্থ হবেন তখন কিন্তু জনগণ বোঝাবে।
এর আগেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কটের সমাধান জনগণ করেছে। এবারও জনগণ করবে।
নাগরিক ঐকের আহ্বাবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সামনে দিন আরো কঠিন হবে বলে মনে হচ্ছে।
আমাদের ষ্পষ্ট প্রস্তাব, দুই নেত্রীর কাছে জনগণ জিম্মি থাকতে পারে না। তারা যদি সুষ্ঠু নির্বাচন করার মতো পরিবেশ তৈরি করতে না পারেন, তবে আমরা তাদের সঙ্গে থাকবো না। বিকল্প ভাবনা আমাদের করতে হবে। আমরা কেন তাদের পেছনে যাবো?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কটে দেখা যাচ্ছে জনগণ শঙ্কিত। তবে এটা নতুন নয়। প্রতি পাঁচ বছর পর পর এ সঙ্কট দেখা যায়।
চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে, তাতে নতুন শক্তি ছাড়া সমাধান হবে না বলে মনে হচ্ছে। এ সঙ্কটের সমাধানে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এসএম আকরাম বলেন, খালেদা জিয়াকে কেউ কেউ বোঝানোর চেষ্টা করছেন, যে কোনো উপায়ে নির্বাচন হোক না কেন আপনি ক্ষমতায় আসবেন। এটা মোটেও ঠিক হবে না। এই দুই দলের লক্ষ্য হচ্ছে, তারা তৃতীয় কোনো শক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দেবে না।
মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, যারা স্থায়ী সমাধান করতে পারবেন, তারাই যারা স্থায়ী ক্ষমতায় যেতে পারবেন। এই দুই দলের বাইরে কেউ ক্ষমতায় যেতে পারবে না। তাই তাদের মোকাবেলা করতে হলে ভোটের মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হবে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান বলেন, আওয়ামী লীগ পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা আসেনি। তাই গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে হলে নির্বাচন করতে হবে। কারণ, নির্বাচন গণতন্ত্রের মূল কথা। তাই আমরা গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনমুখী।
তিনি বলেন, আমরা যতোই যোগ্য হই না কেন, জনগণ যাকে চায় তারাই সাংবিধানিকভাবে দেশ পরিচালনা করবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে চলছে। আবার বঙ্গবন্ধুর খুনের বেনিফিসিয়ারিরাও রাজনীতি করছেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলায় সবাইকে খালি হাতে আসতে হবে। গ্রেনেড হাতে নিয়ে এলে সঙ্কটের সমাধান হবে না।
সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনও সেমিনারে বক্তব্য দেন। এম হাফিজ উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
সেমিনারে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে দুই দল ছাড়া কোনো দল থাকছে না। তৃতীয় কোনো শক্তি আসারও সম্ভাবনা দেখছি না।
ভারতের কংগ্রেসের উদাহরণ টেনে বলেন, তারা যেভাবে এককভাবে সরকার গঠন করতে পারে না, তেমনি বাংলাদেশে সেই রকম একটি শক্তির উত্থান জরুরি। তা না হলে এই দুর্বৃত্তায়ন থেকে মুক্তি সম্ভব নয়।
নির্বাচন পূর্ববর্তী প্রচারণায় কোনো আইন করা যায় কিনা সেটিও দেখতে হবে। কারণ, সরকার দলীয় ও বিরোধী দলীয় নেতা এখন থেকেই লাখ লাখ টাকা ব্যয় শুরু করেছেন।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের তিন মাস আগেই তৃতীয় শক্তির আবির্ভাব ঘটে। এটা যদি পুরো পাঁচ বছর থেকে কাজ করে তবে এটা আলোর মুখ দেখবে।
প্রার্থী যদি কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্বাচন করেন আর এ তথ্য যদি কোনো সময় প্রমাণিত হয়, সেই সময় তার সদস্য পদ বাতিল করার ক্ষমতা ইসির থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন এম সাখাওয়াত হোসেন ।
চীনের রাষ্ট্রদূতের সংলাপের আহ্বানকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি করে তিনি বলেন, চায়নিজরা সাধারণত কোনো বিষয়ে কথা বলেন না। কিন্তু বুধবার তিনি দু’দলকে এক সঙ্গে বসার পরামর্শ দিয়েছেন, যা আমাদের জন্য বড় সর্তক বার্তা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। আর রাজনৈতিক সঙ্কটও ঘনিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সঙ্কটের দুইভাবে সমাধান করা যায়। প্রথমত রাজনৈতিক নেতারা বসে সমাধান করেন। দ্বিতীয়ত যখন তারা ব্যর্থ হন জনগণ সেটা করে। তাই আপনারা যখন ব্যর্থ হবেন তখন কিন্তু জনগণ বোঝাবে।
এর আগেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কটের সমাধান জনগণ করেছে। এবারও জনগণ করবে।
নাগরিক ঐকের আহ্বাবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সামনে দিন আরো কঠিন হবে বলে মনে হচ্ছে।
আমাদের ষ্পষ্ট প্রস্তাব, দুই নেত্রীর কাছে জনগণ জিম্মি থাকতে পারে না। তারা যদি সুষ্ঠু নির্বাচন করার মতো পরিবেশ তৈরি করতে না পারেন, তবে আমরা তাদের সঙ্গে থাকবো না। বিকল্প ভাবনা আমাদের করতে হবে। আমরা কেন তাদের পেছনে যাবো?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কটে দেখা যাচ্ছে জনগণ শঙ্কিত। তবে এটা নতুন নয়। প্রতি পাঁচ বছর পর পর এ সঙ্কট দেখা যায়।
চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে, তাতে নতুন শক্তি ছাড়া সমাধান হবে না বলে মনে হচ্ছে। এ সঙ্কটের সমাধানে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এসএম আকরাম বলেন, খালেদা জিয়াকে কেউ কেউ বোঝানোর চেষ্টা করছেন, যে কোনো উপায়ে নির্বাচন হোক না কেন আপনি ক্ষমতায় আসবেন। এটা মোটেও ঠিক হবে না। এই দুই দলের লক্ষ্য হচ্ছে, তারা তৃতীয় কোনো শক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দেবে না।
মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, যারা স্থায়ী সমাধান করতে পারবেন, তারাই যারা স্থায়ী ক্ষমতায় যেতে পারবেন। এই দুই দলের বাইরে কেউ ক্ষমতায় যেতে পারবে না। তাই তাদের মোকাবেলা করতে হলে ভোটের মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হবে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান বলেন, আওয়ামী লীগ পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা আসেনি। তাই গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে হলে নির্বাচন করতে হবে। কারণ, নির্বাচন গণতন্ত্রের মূল কথা। তাই আমরা গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনমুখী।
তিনি বলেন, আমরা যতোই যোগ্য হই না কেন, জনগণ যাকে চায় তারাই সাংবিধানিকভাবে দেশ পরিচালনা করবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে চলছে। আবার বঙ্গবন্ধুর খুনের বেনিফিসিয়ারিরাও রাজনীতি করছেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলায় সবাইকে খালি হাতে আসতে হবে। গ্রেনেড হাতে নিয়ে এলে সঙ্কটের সমাধান হবে না।
সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনও সেমিনারে বক্তব্য দেন। এম হাফিজ উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
No comments