প্রসঙ্গ তারেক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাইলো বিএনপি
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান কখন
কোথায় কি মুচলেকা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের
কাছে তার ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএনপি। শুক্রবার সন্ধ্যায় দলের এক সংবাদ সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ব্যাখা দাবি করেন।
ফখরুলের
এ বক্তব্য মূলত তারেক রহমান সম্পর্কে বৃহস্পতি ও শুক্রবার
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া ‘তিনি মুচলেকা ভঙ্গ করেছেন। এই অপরাধে তাকে দেশে
ফিরিয়ে আনা হবে।’ শীর্ষক বক্তব্যের জবাব।
মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের নিন্দা জানান ফখরুল।
“তারেক রহমান দেশের একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা” মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, “রাজনীতিতে মুচলেকা বলে কিছু নেই। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, তারেক রহমান কখন, কাকে, কবে ও কিসের মুচলেকা দিয়েছেন তা জাতির কাছে পরিষ্কার করুন।”
তিনি বলেন, “জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার হওয়া তারেক উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যে যান। এক ডজনেরও বেশি মামলা মাথায় নিয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ তিনি এখনো সে দেশে রয়েছেন।”
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, “দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ আমাদের নেতার বিরুদ্ধে অপ্রপ্রচার চালিয়ে আসছে। যার ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তার ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার জন্য একটি চক্র এই অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।”
এহেন অপপ্রচার থেকে সরকারকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক বিষয়গুলোকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করুন। দয়া করে অপপ্রচার চালাবেন না।”
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘‘১/১১ তে গুরুতর অসুস্থ হলে তারেক রহমান উচ্চ আদালতের আদেশে চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন। তিনি এখনো সুস্থ হননি। যখন তিনি সুস্থ হবেন, আমরা যখন প্রয়োজন মনে করব, তখনই তিনি দেশে ফিরে আসবেন। দেশে রাজনীতি করবেন।’’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ নির্দলীয় সরকারের দাবি থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং তারেক রহমানের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতেই সরকার পরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে অপ্রপ্রচার চালাচ্ছে।’’
ফখরুল বলেন, ‘‘ আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, এই অপকর্মে বিএনপি নির্দলীয় সরকারের দাবি থেকে পিছপা হবে না। এদেশে দল নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না।’’
অন্যান্যের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এম ওসমান ফারুক, বিরোধী দলীয় নেতার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার কায়সার কামাল উপস্থিত ছিলেন।
No comments