রাজশাহীতে চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ২০ এমপির দিনভর বৈঠক by জিয়াউল গনি সেলিম
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে শুক্রবার দিনভর রুদ্ধদ্বার বৈঠক
করেছেন সরকারের চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ অন্তত ২০ এমপি। দুপুরে নগরীর অদূরে হরিয়ানে অবস্থিত রাজশাহী চিনিকলে রাজশাহী বিভাগীয় আওয়ামী লীগের যৌথসভার ব্যানারে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জানা
গেছে, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেরাজ উদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ছাড়াও ওই বৈঠকে
উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, যুব ও ক্রীড়া
প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী, আওয়ামী
লীগের রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, রংপুর
বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।
বেলা ১১টার দিকে চিনিকলে এসে প্রবেশ করতে থাকে চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ অন্তত ২০ এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা এবং নগর পুলিশের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সরাকারি বিভিন্ন দপ্তরের গাড়িবহর।
তারা আওয়ামী লীগের যৌথ সভার নামে একটি ব্যানার টানিয়ে চিনিকলের ট্রেনিং সেন্টারে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। জুমার বিরতি দিয়ে বিকেল তিনটা পর্যন্ত সভা চলে।
বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কীভাবে মেয়র প্রার্থী এএইচ এম খায়রুজ্জামানকে বিজয়ী করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বৈঠক চলাকালে সেখানে সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে তাদের কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি বৈঠকস্থল চিনি কলের ট্রেনিং সেন্টারের সমস্ত জানালা-দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরে জুমার নামাজের আগে-পরে সাংবাদিকরা ঘিরে ধরলে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মাহবুব-উল আলম হানিফ, স্বরাষ্ট প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী।
এতে সাংবাদিকদের থাকতে দেওয়া হয়নি। শুধু ছবি তোলার জন্য পাঁচ মিনিটের জন্য আলোকচিত্রীদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। ওই সময় কোনো আলোচনাই করা হয়নি।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘ফটোসেশন তাড়াতাড়ি শেষ করতে বলেন।’
নামাজের বিরতির সময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাহবুব-উল আলম হানিফ এখানে এসেছেন। তিনি নেতাকর্মীদের একটা নির্দেশনা দিবেন। সেই অনুযায়ী তারা আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করবেন।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেই কারণে নির্বাচনী আচরণবিধী বিবেচনা করেই আমরা এখানে দলীয় সভা করছি।’
আগামী সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় নেতাকর্মীদের কার কি দায়িত্ব থাকবে, সে বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দিতেই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে দাবি করে তিনি।
হানিফ আরো বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই এখানে দলীয় আলোচনার মধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেই কারণে আমরা নগরীর বাইরে এখানে বৈঠক করছি। সিটি করপোরেশন এলাকায় বৈঠক করলে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হতো। সেই দিক বিবেচনা করেই আমরা এখানে দলীয় সভা করছি।’
শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘রাজশাহী, তার পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলার লোকেরাই সিটি করপোরেশন এলাকায় এসে বাস করেন। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হচ্ছে জেলা ও উপজেলার সেই সব নেতাকর্মীদের আত্মীয়-স্বজনেরা যেন আমাদের প্রার্থী লিটনকে ভোট দেয়। এজন্য তারা যেন এখানে এসে কাজ করে।’
তিনি বলেন, ‘একটা দলীয় বৈঠক চলাকালে হঠাৎ এক দল সাংবাদিক এসে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। এতে সবাই বিব্রত হয়েছেন। এজন্য তাদের ভেতরে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। পরে তারা ভেতরে গেছে, ছবি নিয়েছে। সেই রকম কিছু তো তারা পায়নি। আর তাছাড়া তারা নির্বাচনী এলাকার ভেতরেও বৈঠক করেননি।’
ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘এখানে সভা-টভা কিছু হচ্ছে না। আপনারা বলতে পারেন আমরা এখানে গ্যাদারিং করছি। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী মহোদয়রা এসেছেন তাদের সম্মানে আমরা কিছু করছি বলা যায়।’
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই সভায় রাজশাহী জেলার নয় থানা, মহানগরের চার থানা এবং রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস।
এই বৈঠক প্রসঙ্গে ১৮ দলীয় জোটের প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরিকল্পনা করতেই এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন মন্ত্রী ও এমপিরা।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী এলাকার একটু বাইরে হলেও নির্বাচনকে প্রভাবিত করতেই সরকারের মন্ত্রীরা এখানে এসে বৈঠক করছেন। এটি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যেই পড়ে।’
বেলা ১১টার দিকে চিনিকলে এসে প্রবেশ করতে থাকে চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ অন্তত ২০ এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা এবং নগর পুলিশের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সরাকারি বিভিন্ন দপ্তরের গাড়িবহর।
তারা আওয়ামী লীগের যৌথ সভার নামে একটি ব্যানার টানিয়ে চিনিকলের ট্রেনিং সেন্টারে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। জুমার বিরতি দিয়ে বিকেল তিনটা পর্যন্ত সভা চলে।
বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কীভাবে মেয়র প্রার্থী এএইচ এম খায়রুজ্জামানকে বিজয়ী করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বৈঠক চলাকালে সেখানে সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে তাদের কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি বৈঠকস্থল চিনি কলের ট্রেনিং সেন্টারের সমস্ত জানালা-দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরে জুমার নামাজের আগে-পরে সাংবাদিকরা ঘিরে ধরলে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মাহবুব-উল আলম হানিফ, স্বরাষ্ট প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী।
এতে সাংবাদিকদের থাকতে দেওয়া হয়নি। শুধু ছবি তোলার জন্য পাঁচ মিনিটের জন্য আলোকচিত্রীদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। ওই সময় কোনো আলোচনাই করা হয়নি।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘ফটোসেশন তাড়াতাড়ি শেষ করতে বলেন।’
নামাজের বিরতির সময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাহবুব-উল আলম হানিফ এখানে এসেছেন। তিনি নেতাকর্মীদের একটা নির্দেশনা দিবেন। সেই অনুযায়ী তারা আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করবেন।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেই কারণে নির্বাচনী আচরণবিধী বিবেচনা করেই আমরা এখানে দলীয় সভা করছি।’
আগামী সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় নেতাকর্মীদের কার কি দায়িত্ব থাকবে, সে বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দিতেই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে দাবি করে তিনি।
হানিফ আরো বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই এখানে দলীয় আলোচনার মধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেই কারণে আমরা নগরীর বাইরে এখানে বৈঠক করছি। সিটি করপোরেশন এলাকায় বৈঠক করলে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হতো। সেই দিক বিবেচনা করেই আমরা এখানে দলীয় সভা করছি।’
শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘রাজশাহী, তার পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলার লোকেরাই সিটি করপোরেশন এলাকায় এসে বাস করেন। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হচ্ছে জেলা ও উপজেলার সেই সব নেতাকর্মীদের আত্মীয়-স্বজনেরা যেন আমাদের প্রার্থী লিটনকে ভোট দেয়। এজন্য তারা যেন এখানে এসে কাজ করে।’
তিনি বলেন, ‘একটা দলীয় বৈঠক চলাকালে হঠাৎ এক দল সাংবাদিক এসে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। এতে সবাই বিব্রত হয়েছেন। এজন্য তাদের ভেতরে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। পরে তারা ভেতরে গেছে, ছবি নিয়েছে। সেই রকম কিছু তো তারা পায়নি। আর তাছাড়া তারা নির্বাচনী এলাকার ভেতরেও বৈঠক করেননি।’
ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘এখানে সভা-টভা কিছু হচ্ছে না। আপনারা বলতে পারেন আমরা এখানে গ্যাদারিং করছি। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী মহোদয়রা এসেছেন তাদের সম্মানে আমরা কিছু করছি বলা যায়।’
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই সভায় রাজশাহী জেলার নয় থানা, মহানগরের চার থানা এবং রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস।
এই বৈঠক প্রসঙ্গে ১৮ দলীয় জোটের প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরিকল্পনা করতেই এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন মন্ত্রী ও এমপিরা।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী এলাকার একটু বাইরে হলেও নির্বাচনকে প্রভাবিত করতেই সরকারের মন্ত্রীরা এখানে এসে বৈঠক করছেন। এটি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যেই পড়ে।’
No comments