যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের নামে বাংলাদেশে বিতর্কিত বিচার বন্ধ করতে হবেঃ ব্রিটিশ এমপি ড. অ্যালান by এনাম চৌধুরী
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ড. অ্যালান উইথ হ্যাড বলেছেন, বাংলাদেশের
মানবাধিকার পরিস্থিতি চরম উদ্বেগজনক। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিরোধী দলগুলোর
নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন কর্মসূচিতে সরকারি বাহিনীর পাশাপাশি সরকারি দলের
লোকেরা যেভাবে তাণ্ডব চালাচ্ছে সেটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
খুন,
গুম, হত্যা, সন্ত্রাস, রাহাজানি এমনপর্যায়ে দেখা যাচ্ছে যে, যা কোনো সভ্য
রাষ্ট্র মেনে নেবে না। তিনি বলেন, সরকার যদি গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনে
বিশ্বাসী হয়ে থাকে, তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের নিয়মতান্ত্রিক
কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে হবে। তিনি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার
সম্পর্কে বলেন, যুদ্ধাপরাধের যদি বিচার করতে হয়, তবে এর মানদণ্ড অবশ্যই
আন্তর্জাতিকমানের হতে হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনালের নামে যে বিচারকার্যক্রম শুরু করা হয়েছে সেটা নিয়ে
শুরুতেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তাই মানবাধিকার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার
জন্য এই বিতর্কিত বিচারকার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, আমি কোনো দলের
পে কথা বলছি না। আমরা মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের প। তিনি
রোববার ১৮ দলীয় জোট যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে সাউথার্ম্পটনে অনুষ্ঠিত
গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের ওপর নির্যাতন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও গণতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও সেইভ বাংলাদেশের সাউথার্ম্পটনের কনভেনর মো: মনসুরুর রহমান শাহি। সৈয়দ রাশিদুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ জমিয়তে ওলামা ইউরোপের প্রেসিডেন্ট মুফতি সদর উদ্দিন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ মালেক, সেইভ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম, সাউথার্ম্পটন বিএনপির সাবেক প্রেসিডেন্ট সৈয়দ সাদিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ জমিয়তে ওলামা ইউরোপের প্রেসিডেন্ট মুফতি সদর উদ্দিন বলেন, আওয়ালী মীগ বাংলাদেশকে দুঃশাসনের শেষপর্যায়ে নিয়ে গেছে। শেখ হাসিনা সরকারের মূল টার্গেট দেশে ইসলামি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামারা। সরকার তাদের ধ্বংস করার মাধ্যমে দেশে আবারো একদলীয় বাকশালী সরকার কায়েম করতে চায়। তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্রকামী ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী জনগণ বেঁচে থাকতে সরকারের সে স্বপ্ন পূরণ হবে না। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে একে প্রতিরোধ করা হবে।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ মালিক বলেন, আল্লামা সাঈদী বাংলাদেশের ইসলামপ্রিয় দেশপ্রেমিক মানুষের কলিজার টুকরা। যারা তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধী সাজিয়ে ফাঁসি দিতে চায়, সময় এসেছে তাদের ধরে জনগণের আদালতে বিচার করার। কারণ তাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ জাতির সামনে রয়েছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে রীবাহিনী দিয়ে কারা হত্যা করেছে? সেই মানবতার শত্রুদের প্রতিরোধ করতে হবে। এম এ মালেক বলেন, সরকার এক দিকে ফাঁসির একটা রায়ের জন্য পাগল হয়েছে আর অপর দিকে ফাঁসির আসামি, খুনি, সন্ত্রাসীদের মা করছে সাথে জামিনও দিচ্ছে। কিন্তু ময়লার গাড়ি পোড়ানো মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো রাজনীতিবিদকে রিমান্ডে নিচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার তার কার্যক্রমের মাধ্যমে মানবতার শত্রু হিসেবে দেশের সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণের কাছেও চিহ্নিত হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে দেশে কার্যত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। বিচার শেষ হওয়ার আগেই ফাঁসির কথা বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের কথা বলে যে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করছে এর বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে। ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হত্যা, সন্ত্রাস, লুটপাট, রাহাজানির বর্ণনা দিয়ে বলেন, সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন, স্বাধীনতা-পরবর্তী শেখ মুজিবের দুঃশাসনকে ছাড়িয়ে গেছে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল নামকরণ করে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে চায়। আর কথিত বিচারে তারা দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে একটি সফল এবং প্রতিষ্ঠিত দল ও দলের সম্মানিত নেতৃবৃন্দকে টার্গেট করেছে। আর এর মাধ্যমেই তাদের আসল উদ্দেশ্য প্রকাশ হয়ে গেছে। তারা গর্ব করে যে ট্রাইব্যুনাল নামকরণ করেছিল আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল, এখন বিশ্বের কাছে সেটা পরিচিতি লাভ করেছে ‘আন্তর্জাতিক প্রহসন এবং মিথ্যাচারের ট্রাইব্যুনাল’ হিসেবে। যেখানে বাদি অপরাধকাজে জড়িত চিহ্নিত প্রতারক, সাীরা চুরি, লুটপাট, নারী নির্যাতন মামলায় শাস্তি পাওয়া জেলখাটা আসামি। আর সেই চোর-ডাকুদের সাীতে সরকার আল্লামা সাঈদীর মতো বিশ্ববরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ ও রাজনীতিবিদসহ দেশের বরেণ্য রাজনীতিবিদদের ফাঁসি দিতে চক্রান্ত করছে।
বাংলাদেশ সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের ওপর নির্যাতন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও গণতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও সেইভ বাংলাদেশের সাউথার্ম্পটনের কনভেনর মো: মনসুরুর রহমান শাহি। সৈয়দ রাশিদুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ জমিয়তে ওলামা ইউরোপের প্রেসিডেন্ট মুফতি সদর উদ্দিন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ মালেক, সেইভ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম, সাউথার্ম্পটন বিএনপির সাবেক প্রেসিডেন্ট সৈয়দ সাদিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ জমিয়তে ওলামা ইউরোপের প্রেসিডেন্ট মুফতি সদর উদ্দিন বলেন, আওয়ালী মীগ বাংলাদেশকে দুঃশাসনের শেষপর্যায়ে নিয়ে গেছে। শেখ হাসিনা সরকারের মূল টার্গেট দেশে ইসলামি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামারা। সরকার তাদের ধ্বংস করার মাধ্যমে দেশে আবারো একদলীয় বাকশালী সরকার কায়েম করতে চায়। তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্রকামী ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী জনগণ বেঁচে থাকতে সরকারের সে স্বপ্ন পূরণ হবে না। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে একে প্রতিরোধ করা হবে।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ মালিক বলেন, আল্লামা সাঈদী বাংলাদেশের ইসলামপ্রিয় দেশপ্রেমিক মানুষের কলিজার টুকরা। যারা তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধী সাজিয়ে ফাঁসি দিতে চায়, সময় এসেছে তাদের ধরে জনগণের আদালতে বিচার করার। কারণ তাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ জাতির সামনে রয়েছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে রীবাহিনী দিয়ে কারা হত্যা করেছে? সেই মানবতার শত্রুদের প্রতিরোধ করতে হবে। এম এ মালেক বলেন, সরকার এক দিকে ফাঁসির একটা রায়ের জন্য পাগল হয়েছে আর অপর দিকে ফাঁসির আসামি, খুনি, সন্ত্রাসীদের মা করছে সাথে জামিনও দিচ্ছে। কিন্তু ময়লার গাড়ি পোড়ানো মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো রাজনীতিবিদকে রিমান্ডে নিচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার তার কার্যক্রমের মাধ্যমে মানবতার শত্রু হিসেবে দেশের সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণের কাছেও চিহ্নিত হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে দেশে কার্যত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। বিচার শেষ হওয়ার আগেই ফাঁসির কথা বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের কথা বলে যে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করছে এর বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে। ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হত্যা, সন্ত্রাস, লুটপাট, রাহাজানির বর্ণনা দিয়ে বলেন, সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন, স্বাধীনতা-পরবর্তী শেখ মুজিবের দুঃশাসনকে ছাড়িয়ে গেছে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল নামকরণ করে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে চায়। আর কথিত বিচারে তারা দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে একটি সফল এবং প্রতিষ্ঠিত দল ও দলের সম্মানিত নেতৃবৃন্দকে টার্গেট করেছে। আর এর মাধ্যমেই তাদের আসল উদ্দেশ্য প্রকাশ হয়ে গেছে। তারা গর্ব করে যে ট্রাইব্যুনাল নামকরণ করেছিল আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল, এখন বিশ্বের কাছে সেটা পরিচিতি লাভ করেছে ‘আন্তর্জাতিক প্রহসন এবং মিথ্যাচারের ট্রাইব্যুনাল’ হিসেবে। যেখানে বাদি অপরাধকাজে জড়িত চিহ্নিত প্রতারক, সাীরা চুরি, লুটপাট, নারী নির্যাতন মামলায় শাস্তি পাওয়া জেলখাটা আসামি। আর সেই চোর-ডাকুদের সাীতে সরকার আল্লামা সাঈদীর মতো বিশ্ববরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ ও রাজনীতিবিদসহ দেশের বরেণ্য রাজনীতিবিদদের ফাঁসি দিতে চক্রান্ত করছে।
No comments