১৩ ককটেল বিস্ফোরণঃ আটক ১ আহত ১- ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের প্রবেশ নিয়ে দিনভর উত্তেজনা
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসূচি পালন করবেÑ এমন খবরে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনভর উত্তেজনা বিরাজ করেছে।
এ
সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ অস্ত্রসহকারে উচ্ছৃঙ্খল কর্মসূচি
পালনের পাশাপাশি ক্যাম্পাসে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এতে
শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে ১৩টিরও অধিক
ককটেল বিস্ফোরণের সংবাদ পাওয়া গেছে। ছাত্রলীগের পিটুনি ও চাপাতির কোপে
গুরুতর আহত হয়েছেন এক ছাত্রদল নেতা, আটক করা হয়েছে অপর একজনকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল প্রবেশ করে কর্মসূচি পালন করবেÑ এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হলগুলোতে মিছিল করে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। গতকাল সকাল থেকেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে মহড়া দেয় এবং বিভিন্ন হল থেকে মিছিলসহকারে ক্যাম্পাসের মধুর ক্যান্টিনে জড়ো হতে শুরু করে। সংঘর্ষের আশঙ্কায় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ক্যাম্পাসের প্রতিটি প্রবেশপথে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বহুসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সারা দিন ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের অনুসন্ধান করেন।
দুপুরের দিকে তিন জাতীয় নেতার মাজারের সামনে ছাত্রদলের শহিদুল্লাহ হলের সাবেক সহসভাপতি রাকিবুল ইসলাম রয়েলকে একা পেয়ে বেধড়ক পেটায় ছাত্রলীগ। এ সময় তাকে চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়েছে বলে ছাত্রদল দাবি করেছে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ তাকে আটক করে। পুলিশি প্রহরায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সহায়তায় জহুরুল হক হলের ছাত্রদল নেতা বজলুর রহমান খোকনকে আটক করা হয়। দুপুরে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় তারা ছাত্রদল এবং বিএনপির বিরুদ্ধে আপত্তিকর সেøাগান দিতে থাকে। ছাত্রলীগের দুই শতাধিক নেতাকর্মী প্রথমে মধুর ক্যান্টিন এবং পরে টিএসসি এলাকায় অবস্থান নেয়। কলা ভবনসহ বিভিন্ন ভবনে ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়াসহ বেশ কিছু নেতা আটকা পড়েন। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে দুপুরের দিকে তারা ক্যাম্পাস ছেড়ে যান।
এ দিকে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১৩টিরও অধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে মুহসীন হল এলাকায় তিনটি, মধুর ক্যান্টিন এবং সমাজবিজ্ঞান অনুষদ এলাকায় চারটি, এনেক্স ভবন এলাকায় চারটি এবং কার্জন হল এলাকায় দু’টি। তবে এ সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। ছাত্রলীগ ককটেল ফুটিয়ে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে বলে দাবি করেছে ছাত্রদল।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. মো: আমজাদ আলী বলেন, ক্যাম্পাসে সহিংসতার আশঙ্কায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কাস পরীক্ষাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলেছে বলেও তিনি জানান। এ দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের বর্বরোচিত হামলা ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাবি করেছে ছাত্রদল। গতকাল যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রদল সভাপতি আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল এবং সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব এ নিন্দা ও দাবি জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল প্রবেশ করে কর্মসূচি পালন করবেÑ এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হলগুলোতে মিছিল করে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। গতকাল সকাল থেকেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে মহড়া দেয় এবং বিভিন্ন হল থেকে মিছিলসহকারে ক্যাম্পাসের মধুর ক্যান্টিনে জড়ো হতে শুরু করে। সংঘর্ষের আশঙ্কায় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ক্যাম্পাসের প্রতিটি প্রবেশপথে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বহুসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সারা দিন ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের অনুসন্ধান করেন।
দুপুরের দিকে তিন জাতীয় নেতার মাজারের সামনে ছাত্রদলের শহিদুল্লাহ হলের সাবেক সহসভাপতি রাকিবুল ইসলাম রয়েলকে একা পেয়ে বেধড়ক পেটায় ছাত্রলীগ। এ সময় তাকে চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়েছে বলে ছাত্রদল দাবি করেছে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ তাকে আটক করে। পুলিশি প্রহরায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সহায়তায় জহুরুল হক হলের ছাত্রদল নেতা বজলুর রহমান খোকনকে আটক করা হয়। দুপুরে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় তারা ছাত্রদল এবং বিএনপির বিরুদ্ধে আপত্তিকর সেøাগান দিতে থাকে। ছাত্রলীগের দুই শতাধিক নেতাকর্মী প্রথমে মধুর ক্যান্টিন এবং পরে টিএসসি এলাকায় অবস্থান নেয়। কলা ভবনসহ বিভিন্ন ভবনে ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়াসহ বেশ কিছু নেতা আটকা পড়েন। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে দুপুরের দিকে তারা ক্যাম্পাস ছেড়ে যান।
এ দিকে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১৩টিরও অধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে মুহসীন হল এলাকায় তিনটি, মধুর ক্যান্টিন এবং সমাজবিজ্ঞান অনুষদ এলাকায় চারটি, এনেক্স ভবন এলাকায় চারটি এবং কার্জন হল এলাকায় দু’টি। তবে এ সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। ছাত্রলীগ ককটেল ফুটিয়ে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে বলে দাবি করেছে ছাত্রদল।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. মো: আমজাদ আলী বলেন, ক্যাম্পাসে সহিংসতার আশঙ্কায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কাস পরীক্ষাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলেছে বলেও তিনি জানান। এ দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের বর্বরোচিত হামলা ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাবি করেছে ছাত্রদল। গতকাল যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রদল সভাপতি আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল এবং সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব এ নিন্দা ও দাবি জানান।
No comments