শিবিরকর্মী দেখামাত্র গুলির নির্দেশ পুলিশ কমিশনারের

এবার শিবিরকর্মীদের দেখামাত্র গুলি করতে পুলিশকে নির্দেশ দিলেন ডিএমপির কমিশনার। গতকালের সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে পুলিশ প্রধান আইজিপির সামনে তিনি এ নির্দেশ দেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে শিবিরের হামলায় আহত পুলিশ সদস্যদের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে দেখতে যান পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার। তার সাথে ছিলেন ডিএমপির কমিশনার বেনজির আহমেদ। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তিনি হাসপাতালের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন কনস্টেবল মোকলেছুর রহমানের (কং : ৭১৪৭) খোঁজখবর নেয়ার সময় তাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘অস্ত্র ছিল না? গুলি করতে পারনি? এখন থেকে শিবির দেখামাত্র গুলি করবা।’

এরপর ৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন পায়ে আঘাত পাওয়া কনস্টেবল জিয়াউরকে (কং : ২৭২৯) উদ্দেশ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পায়ের আঘাত সুস্থ হয়ে ওদের পা ভেঙে দিবা।’ কমিশনারের এ বক্তব্যের ব্যাপারে জানার জন্য তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন অনলাইনে গতকালই সংবাদ প্রকাশিত হয়।

পুলিশের আইজি হাসান মাহামুদ খন্দকার বলেন, পুলিশের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকায় শিবিরকর্মীরা তাদের বেশি তি করতে পারেনি। হামলা চালিয়ে যে নাশকতা চালানো হয়েছে, তা ফৌজদারি অপরাধ। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুলিশের ওপর শিবিরের হামলা প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের বিচারকাজ চলছে। তাই পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রাবাহিনী তাদের হামলার ল্য।

এ সময় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক আবু মুসা মোহম্মাদ ফকরুল ইসলাম, ডিএমপি মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন, রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।s
--------------------------------------------------------------------------------------- 
পাঠক মন্তব্য-
ahmed Musa says:   

বেনজির সাহেব! সত্যিই আপনি বে-নজীর। আপনার কোন তুলনা হয় না। আপনার তুলনা আপনি নিজেই। শিবির দেখামাত্র গুলির নিদের্শ। বাহ! বাহ! এরা তো মানুষ না। এরা শিবির। শিবিরের কারনেই স্বাধীনভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেগুলোতে ধর্ষণের সেঞ্জুরি কিংবা হাফ সেঞ্জুরী করা যাচ্ছে না। শিবিরের কারণেই সোনার ছেলেরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যুবতী মেয়েদের সহজেই ভোগের পণ্য বানাতে পারছে না। কতবড় সাহস শিবিরের! এরা মেয়েদেরকে বোরকা পড়াতে উস্কানী দেয়! কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তবুদ্ধি চর্চার মাধ্যমে ফ্রী স্টাইলে জীবনাচারের পরিবর্তে এদেশের ছেলে-মেয়েদের শালীনতা শিক্ষা দেয়! এটা মুক্তিযোদ্ধের চেতনা বিরোধী, কি স্পর্ধা শিবিরের! মেয়েদেরকে হিজাবের নামে বাড়তি কাপড় চোপড় পড়তে উস্কানী দিয়ে বাংগালী অবিভাবকদের খরচা বাড়ায় এই শিবিরেরা! এরাতো সোনার ছেলে না, এরা শিবির! এই শিবিরেরাই দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রগতিশীল ঘরের ছেলে-মেয়ে, শিশু-কিশোরদের নীতি-নৈতিকতা শিক্ষার নামে কোরআন- হাদিস শিক্ষা দিচ্ছে! এটা বড় অপরাধ, সরকারদ্রোহীতা, রাষ্ট্রদ্রোহীতা। তাই এদের দেখামাত্র গুলি করতে হবে। নেত্রী-নেতাদের আদরের দুলারীরা বিদেশে আরাম আয়েশে লক্ষ লক্ষ ডলার খরচে পড়ালেখা করে। এদেশের গরীব ঘরের সন্তানরা দেশের ক্ষতাবানদের দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার হয়। শিবির এখানে গরীব ঘরের সন্তানদের হাতে বই খাতা, কলমসহ আদর্শ নৈতিক গুনে গুনান্নিত হয়ে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করে। কে দিয়েছে শিবিরকে এই অধিকার? এখানে শিবির বড় বাধা। তাদের কারনেই গরীবের সন্তানদের ডাবার গুটি হিসেবে পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করতে পারছেন না ক্ষমতাবানরা। শিবির ছেলেদেরকে মসজিদমুখী করে। ক্ষতমাবনদের সমস্যা হচ্ছে আধুনিকতার নামে, ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে তরুন তরুণীদের জন্য অবাধ মেলামেশার পরিবেশ তৈরী করতে পারছে না একমাত্র শিবিরের কারণেই। তরুণ সমাজকে মদখোর, গাজাখোর বানানো যাচ্ছে না শিবিরের আদর্শিক অগ্রযাত্রার কারণেই। শিবিরের কারণেই দেশের সোনার ছেলেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনভাবে অস্ত্রবাজী করতে পারছে, শিবিরের প্রতিরোধের কারণেই “গুরুকে সেবার পরিবর্তে চেছা দিলেই বিদ্যা বাড়ে” এই মহান উক্তির বাস্তবায়ন করতে পারছে না সোনার ছেলেনা। এরা বাংগালী না, এরা শিবির। এদেরকে খতম করতে হবে। দেখামাত্র গুলি করতেই হবে। শিবিরের কারণেই এদেশের বেকুব, বেআক্কেল গরীব মানুষের মেধাবী ছেলে-মেয়েদের ভর্তির ক্ষেত্রে সোনার ছেলেরা অবাধে বাণিজ্য করতে পারছে না। এই শিবিরীয় আদর্শের কারণেই আজ আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা টেনশনে আছে। এই (অ)পদার্থরাই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে হারাম-হালালের শিক্ষা দিয়ে তরুন সমাজের মগজ ধোলাই করতেছে। দিন দিন বেড়েই চলেছে এদের অগ্রযাত্রা। এরাই আমাদের সেই স্বপ্নের আদর্শ “একবার সুযোগ দে মা, লুটেপুটে খাই” বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় বাধা। তাই এদেরকে রুখতেই হবে। দেখা মাত্র গুলি করতেই হবে।
মি. বে-নজীর সত্যিই আপনি তুলাবিহনীন। আপনি আরো নির্দেশ দিন যে, ধর্ষণে সেঞ্জুরিয়ানদের গুলি মারা যাবে না, গুলি মারতে হবে শিবিরকে। প্রকাশ্যে রাজপথে বিশ্বজিৎদের হত্যাকারীদের গুলি চালানো যাবে না। গুলি চালাতে হবে যারা সেই নরপশুদের বিচার দাবী করে তাদের। শিক্ষকদের উপর হামলাকারীদের কেশাগ্রও চোঁয়া যাবে না। বরং নিষ্ঠুরভাবে, নির্দয়ভাবে পিটিয়ে লাশ বানাতে হবে অথবা বিষাক্ত গ্যাস স্প্রে করে হত্যা করতে হবে মানব সন্তানকে সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার কারিগরদেরকে। মানবাধিকারের চরম লঙ্গণ করে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস গৃহপরিচারিকাকে বাথরুমে আটকিয়ে রেখে প্রশ্রাব ও মল খেতে বাধ্যকারী সেই সব নরপশুদের কিছু করা যাবে না। দমন করতে হবে এসব খবরা-খবর গনমাধ্যমে যারা প্রকাশ করে তাদেরকে।.

No comments

Powered by Blogger.