জাতীয় সংসদে ভাষণ- রাষ্ট্রপতির মর্যাদাকে খাটো করেছে
রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অভিভাবক ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ
ব্যক্তি হিসেবে জাতির যেকোনো সঙ্কটে দেশের মানুষ রাষ্ট্রপতির দিকে তাকিয়ে
থাকেন।
দেশে এখন রাজনৈতিক সঙ্কট চলছে। আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ
নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বিরোধী দল জাতীয় সংসদ বর্জনের পাশাপাশি
রাজপথে আন্দোলন করছে। এমন পরিস্থিতিতে একটি সংসদের নতুন বছরের পয়লা
অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি উদ্বোধনী ভাষণ দিয়েছেন। এই ভাষণে সাধারণভাবে সরকারের
ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে থাকে। তার পরও মানুষ আশা করেছিল, রাষ্ট্রপতির ভাষণে
রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে দিকনির্দেশনা থাকবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক দিক হচ্ছে
রাষ্ট্রপতির ভাষণে এ ধরনের কোনো দিকনির্দেশনা দূরে থাক, বরং বিরোধী দলের
তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেছেন, বিরোধী দল সংসদীয় কর্মকাণ্ডে নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থেকে তাদের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি এমন একসময় এই ভাষণ দিলেন যখন প্রধান বিরোধী দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের বিরুদ্ধে হাস্যকর ৩৮টি মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। উচ্চ আদালত থেকে তাকে জামিন ও হয়রানি না করার নির্দেশ দেয়া হলেও তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেয়া হচ্ছে নিছক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। বিরোধী দলের সভা-সমাবেশ করার অধিকার কার্যত অনেক আগেই হরণ করা হয়েছে। খোদ বিরোধীদলীয় নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অথচ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একই ধরনের সব মামলা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে এ ধরনের নিপীড়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের পরও বিরোধী দলের বিরুদ্ধেই গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগ আনা রাষ্ট্রপতির প্রত্যাশিত ও গ্রহণযোগ্য ভাবমর্যাদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান তার ভাষণে বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা আগামী দিনে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হবো। তার এই বক্তব্যে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিরোধী দলের সাথে কোনো প্রকার সমঝোতার সম্ভাবনা থাকছে না বলে মনে করা যেতে পারে। এর ফলে আগামী নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণ ও গ্রহণযোগ্য হবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা আরো বেড়ে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মতো বিরোধী দলের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় দেশে মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। জোট সরকারের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি জন্ম দিয়েছিল ‘একটি ভবনকেন্দ্রিক গণবিরোধী’ তৎপরতার। এ ধরনের বক্তব্য বিরোধী দলের কাছে শুধু নয়, দেশের মানুষের কাছেও রাষ্ট্রপতির নিরপেক্ষতা, গ্রহণযোগ্যতা ও মর্যাদা অনেকখানি খাটো করেছে। এতে দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগ গ্রহণের সুযোগ আরো কমে যাবে।
আমরা মনে করি, রাষ্ট্রপতি কোনো দলের নন; তিনি দেশের সব মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণে ক্ষমতাসীন দলের আনুগত্য বা দলীয় সঙ্কীর্ণতাপ্রসূত বক্তব্যের প্রতিফলন থাকা উচিত নয়। এতে রাষ্ট্রপতির মর্যাদাহানি ঘটে এবং জনগণ হতাশ হয়। ভবিষ্যতে যে রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, রাষ্ট্রপতির মর্যাদা সমুন্নত রাখা উচিত দেশ ও জাতির স্বার্থে।
রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেছেন, বিরোধী দল সংসদীয় কর্মকাণ্ডে নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থেকে তাদের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি এমন একসময় এই ভাষণ দিলেন যখন প্রধান বিরোধী দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের বিরুদ্ধে হাস্যকর ৩৮টি মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। উচ্চ আদালত থেকে তাকে জামিন ও হয়রানি না করার নির্দেশ দেয়া হলেও তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেয়া হচ্ছে নিছক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। বিরোধী দলের সভা-সমাবেশ করার অধিকার কার্যত অনেক আগেই হরণ করা হয়েছে। খোদ বিরোধীদলীয় নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অথচ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একই ধরনের সব মামলা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে এ ধরনের নিপীড়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের পরও বিরোধী দলের বিরুদ্ধেই গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগ আনা রাষ্ট্রপতির প্রত্যাশিত ও গ্রহণযোগ্য ভাবমর্যাদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান তার ভাষণে বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা আগামী দিনে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হবো। তার এই বক্তব্যে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিরোধী দলের সাথে কোনো প্রকার সমঝোতার সম্ভাবনা থাকছে না বলে মনে করা যেতে পারে। এর ফলে আগামী নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণ ও গ্রহণযোগ্য হবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা আরো বেড়ে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মতো বিরোধী দলের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় দেশে মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। জোট সরকারের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি জন্ম দিয়েছিল ‘একটি ভবনকেন্দ্রিক গণবিরোধী’ তৎপরতার। এ ধরনের বক্তব্য বিরোধী দলের কাছে শুধু নয়, দেশের মানুষের কাছেও রাষ্ট্রপতির নিরপেক্ষতা, গ্রহণযোগ্যতা ও মর্যাদা অনেকখানি খাটো করেছে। এতে দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগ গ্রহণের সুযোগ আরো কমে যাবে।
আমরা মনে করি, রাষ্ট্রপতি কোনো দলের নন; তিনি দেশের সব মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণে ক্ষমতাসীন দলের আনুগত্য বা দলীয় সঙ্কীর্ণতাপ্রসূত বক্তব্যের প্রতিফলন থাকা উচিত নয়। এতে রাষ্ট্রপতির মর্যাদাহানি ঘটে এবং জনগণ হতাশ হয়। ভবিষ্যতে যে রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, রাষ্ট্রপতির মর্যাদা সমুন্নত রাখা উচিত দেশ ও জাতির স্বার্থে।
No comments