রমজান মাসের জন্য বাড়তি তেল-চিনি আমদানি
রমজান মাস উপলক্ষে ৪৩ হাজার ৩৪০ মেট্রিক টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে ‘এমটি টর্ম জারটার্ড’ নামের একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ছে। ‘এমভি পিলিয়ন’ নামের আরেকটি জাহাজে ইতিমধ্যে ৫২ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি এসে গেছে।
বন্দর সূত্র ও ব্যবসায়ীরা জানান, গড় আমদানিমূল্য অনুযায়ী টর্ম জারটার্ড নামক জাহাজে থাকা সয়াবিনের দাম প্রায় ৪১৫ কোটি টাকা। আর পিলিয়নে থাকা চিনির দাম প্রায় ২৬১ কোটি টাকা। তাঁরা বলেন, টর্ম জারটার্ডের মাধ্যমে যে পরিমাণ ভোজ্যতেল আসছে, সচরাচর একসঙ্গে এত বেশি আমদানি করা হয় না।
ব্যবসায়ীরা জানান, এই দুই জাহাজে থাকা তেল ও চিনি দিয়ে সারা দেশে আসন্ন রমজান মাসের অন্তত ৮-১০ দিনের চাহিদা পূরণ হবে। রমজান মাসের বাড়তি চাহিদা মাথায় রেখে ব্যবসায়ীরা এই তেল ও চিনি আমদানি করেছেন। রমজান মাসে দেড় লাখ টন করে ভোজ্যতেল ও চিনির চাহিদা থাকে বলে ধরা হয়। আর স্বাভাবিক সময়ে মাসে প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন ভোজ্যতেলের চাহিদা থাকে।
এই দুটি জাহাজের স্থানীয় প্রতিনিধি রেইনবো শিপিং লাইনসের নির্বাহী পরিচালক কামাল হায়াত প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর অভিমুখী ভোজ্যতেলের জাহাজে কয়েকজন আমদানিকারকের সয়াবিন তেল আছে। আমদানি করা এসব সয়াবিন তেলের কিছু পরিমাণ বহির্নোঙরে এবং বাকিটা মুরিংয়ে এনে খালাস করা হবে।
অন্যদিকে অপরিশোধিত চিনি এনেছেন একজন আমদানিকারক।
কাস্টম হাউস ও ব্যবসায়ীদের সূত্র জানায়, রমজান মাস সামনে রেখে সাধারণত তিন মাস আগে পণ্য আমদানি শুরু হয়। সে অনুযায়ী গত দুই মাসে ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে তিন লাখ ৩০ হাজার ৭০৪ টন। চলতি মাসের প্রথমদিকে চার জাহাজে করে আসছে ৬৩ হাজার ৩৪০ টন ভোজ্যতেল।
গত দুই মাসে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনি আমদানি হয়েছে দুই লাখ ৫৩ হাজার ৬৭৪ টন। এ মাসের প্রথম সপ্তাহে ৫২ হাজার ৪০০ টন অপরিশোধিত চিনি নিয়ে বন্দরে এসেছে একটি জাহাজ। চলতি মাসে আমদানি স্বাভাবিক থাকলে রমজান মাসে ভোজ্যতেল ও চিনির সরবরাহ আরও বাড়বে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
ব্যবসায়ীরা জানান, চারটি পরিশোধন কারখানা বন্ধ থাকায় বাজারে এখনো প্রস্তুত চিনির সরবরাহ বাড়েনি, যে কারণে গত এক সপ্তাহে চিনির দাম কিছুটা বেড়েছে। অবশ্য গত মাসে প্রায় ৩১ হাজার টন পরিশোধিত চিনি আমদানি করা হয়।
এদিকে পরিবেশক প্রথা চালুর কারণে মিলমালিক ছাড়া সাধারণ আমদানিকারকেরা প্রস্তুত চিনির আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন বলে খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মাহবুবুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, দেশে এখন ভোজ্যতেল ও চিনি আমদানি বেড়েছে। এ মাসে এই দুটি পণ্য আরও আসছে। ফলে সরবরাহ নিয়ে যে শঙ্কা ছিল, তা আর নেই। তবে চিনির দাম বাড়তি থাকায় রমজানের আগে সরকারের হাতে থাকা চিনি বাজারে ছেড়ে দেওয়া হলে তাতে দাম সহনশীল থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
চলতি বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিল—এই তিন মাসে ভোজ্যতেল ও চিনি আমদানি স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যায়। এ কারণে রমজান মাসে এই দুটি পণ্যের স্বাভাবিক সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
বন্দর সূত্র ও ব্যবসায়ীরা জানান, গড় আমদানিমূল্য অনুযায়ী টর্ম জারটার্ড নামক জাহাজে থাকা সয়াবিনের দাম প্রায় ৪১৫ কোটি টাকা। আর পিলিয়নে থাকা চিনির দাম প্রায় ২৬১ কোটি টাকা। তাঁরা বলেন, টর্ম জারটার্ডের মাধ্যমে যে পরিমাণ ভোজ্যতেল আসছে, সচরাচর একসঙ্গে এত বেশি আমদানি করা হয় না।
ব্যবসায়ীরা জানান, এই দুই জাহাজে থাকা তেল ও চিনি দিয়ে সারা দেশে আসন্ন রমজান মাসের অন্তত ৮-১০ দিনের চাহিদা পূরণ হবে। রমজান মাসের বাড়তি চাহিদা মাথায় রেখে ব্যবসায়ীরা এই তেল ও চিনি আমদানি করেছেন। রমজান মাসে দেড় লাখ টন করে ভোজ্যতেল ও চিনির চাহিদা থাকে বলে ধরা হয়। আর স্বাভাবিক সময়ে মাসে প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন ভোজ্যতেলের চাহিদা থাকে।
এই দুটি জাহাজের স্থানীয় প্রতিনিধি রেইনবো শিপিং লাইনসের নির্বাহী পরিচালক কামাল হায়াত প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর অভিমুখী ভোজ্যতেলের জাহাজে কয়েকজন আমদানিকারকের সয়াবিন তেল আছে। আমদানি করা এসব সয়াবিন তেলের কিছু পরিমাণ বহির্নোঙরে এবং বাকিটা মুরিংয়ে এনে খালাস করা হবে।
অন্যদিকে অপরিশোধিত চিনি এনেছেন একজন আমদানিকারক।
কাস্টম হাউস ও ব্যবসায়ীদের সূত্র জানায়, রমজান মাস সামনে রেখে সাধারণত তিন মাস আগে পণ্য আমদানি শুরু হয়। সে অনুযায়ী গত দুই মাসে ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে তিন লাখ ৩০ হাজার ৭০৪ টন। চলতি মাসের প্রথমদিকে চার জাহাজে করে আসছে ৬৩ হাজার ৩৪০ টন ভোজ্যতেল।
গত দুই মাসে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনি আমদানি হয়েছে দুই লাখ ৫৩ হাজার ৬৭৪ টন। এ মাসের প্রথম সপ্তাহে ৫২ হাজার ৪০০ টন অপরিশোধিত চিনি নিয়ে বন্দরে এসেছে একটি জাহাজ। চলতি মাসে আমদানি স্বাভাবিক থাকলে রমজান মাসে ভোজ্যতেল ও চিনির সরবরাহ আরও বাড়বে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
ব্যবসায়ীরা জানান, চারটি পরিশোধন কারখানা বন্ধ থাকায় বাজারে এখনো প্রস্তুত চিনির সরবরাহ বাড়েনি, যে কারণে গত এক সপ্তাহে চিনির দাম কিছুটা বেড়েছে। অবশ্য গত মাসে প্রায় ৩১ হাজার টন পরিশোধিত চিনি আমদানি করা হয়।
এদিকে পরিবেশক প্রথা চালুর কারণে মিলমালিক ছাড়া সাধারণ আমদানিকারকেরা প্রস্তুত চিনির আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন বলে খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মাহবুবুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, দেশে এখন ভোজ্যতেল ও চিনি আমদানি বেড়েছে। এ মাসে এই দুটি পণ্য আরও আসছে। ফলে সরবরাহ নিয়ে যে শঙ্কা ছিল, তা আর নেই। তবে চিনির দাম বাড়তি থাকায় রমজানের আগে সরকারের হাতে থাকা চিনি বাজারে ছেড়ে দেওয়া হলে তাতে দাম সহনশীল থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
চলতি বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিল—এই তিন মাসে ভোজ্যতেল ও চিনি আমদানি স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যায়। এ কারণে রমজান মাসে এই দুটি পণ্যের স্বাভাবিক সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
No comments