পাকিস্তানের পরমাণু প্রযুক্তি পেতে ঘুষ দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া
পরমাণু বোমা তৈরির প্রযুক্তি বাগাতে নব্বইয়ের দশকে পাকিস্তানের শীর্ষ পর্যায়ের সেনা কর্মকর্তাদের ৩০ লাখ ডলারের বেশি অর্থ ঘুষ দিয়েছিল উত্তর কোরিয়ার সরকার। পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির স্থপতি বলে পরিচিত বিজ্ঞানী আবদুল কাদির খানের তথ্যের ভিত্তিতে গত বুধবার ওয়াশিংটন পোস্ট-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কাদির খান উত্তর কোরিয়ার একজন সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে পাওয়া এমন এক চিঠির অনুলিপি ওয়াশিংটন পোস্ট-এ প্রকাশ করেছেন, এর মধ্যে ওই ঘুষের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। ১৯৯৮ সালের ১৫ জুলাই ওই চিঠি লেখা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চিঠি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল জাহাঙ্গীর কেরামাতকে উত্তর কোরিয়া ৩০ লাখ ডলার দিয়েছে। এ ছাড়া লে. জেনারেল জুলফিকার খানকে পাঁচ লাখ ডলার ও অলঙ্কার দেওয়া হয়। চিঠিতে যাঁর স্বাক্ষর, তিনি উত্তর কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির সেক্রেটারি জন বিয়ং।
কাদির খান বলেছেন, তিনি নিজে এ অর্থ সেনাকর্মকর্তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছিলেন। এ অর্থের বিনিময়ে একটি পরমাণু কর্মসূচির নথিপত্র উত্তর কোরিয়ার কাছে হস্তান্তরের কথা ছিল কাদির খানের। তবে পত্রিকার পক্ষ থেকে অর্থের পরিমাণ নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
চিঠিতে এক জায়গায় লেখা হয়, ‘দয়া করে চুক্তি অনুযায়ী সব দলিলদস্তাবেজ পাকিস্তানে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার একজন দূতাবাস কর্মকর্তার কাছে দিন। এসব নিয়ে বিমানে করে দেশে ফিরবেন তিনি।’
কাদির খান স্বীকার করেছেন, তাঁর দেওয়া সেন্ট্রিফিউজ ও নকশার সহায়তায় উত্তর কোরিয়া ইউরেনিয়ামভিত্তিক বোমা তৈরির কাজ শুরু করে। উত্তর কোরিয়া এর মধ্যে প্লুটোনিয়ামভিত্তিক পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হয়েছে। কিন্তু গোপনে পরমাণু প্রযুক্তিবিষয়ক তথ্য পাচারের ব্যাপারে পাকিস্তান কেবল কাদির খানকেই দোষ দিয়ে আসছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু পশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মতে চিঠিটি সত্য। তবে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা এই চিঠিকে ভুয়া বলে অভিহিত করেন। জেনারেল কেরামত ও জুলফিকার খান বলেছেন, কাদির খানের প্রকাশ করা ওই চিঠিটি ভুয়া। উত্তর কোরিয়ার কাছে পরমাণু প্রযুক্তি পাচার করার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপানোর জন্য এটা কাদির খানের একটি চেষ্টা।
পরমাণু অস্ত্রের মজুদ বাড়ছে: পাকিস্তানে পরমাণু অস্ত্রের মজুদ দিন দিন বাড়ছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থাকা সত্ত্বেও বিশ্বে তারাই সবচেয়ে দ্রুত এ মজুদ বাড়াচ্ছে। আগামী দশকে তারা ১৫০ থেকে ২০০টি পারমাণবিক ‘ওয়ারহেড’ তৈরি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের দুজন শীর্ষ আণবিক বিশেষজ্ঞ এ কথা বলেছেন।
এই বিশেষজ্ঞরা হলেন হ্যান্স এম ক্রিস্টেনসেন ও রবার্ট এস নরিস। এ বিষয়ে তাঁদের লেখা একটি নিবন্ধ বুলেটিন অব অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টস-এর চলতি সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।
‘পাকিস্তানের পারমাণবিক শক্তি, ২০১১’ শীর্ষক নিবন্ধে বিশেষজ্ঞরা বলেন, পাকিস্তান যদি ধারাবাহিকভাবে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ বাড়াতে থাকে, তাহলে এক দশকে তা ১৫০ থেকে ২০০টিতে পৌঁছাতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কাদির খান উত্তর কোরিয়ার একজন সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে পাওয়া এমন এক চিঠির অনুলিপি ওয়াশিংটন পোস্ট-এ প্রকাশ করেছেন, এর মধ্যে ওই ঘুষের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। ১৯৯৮ সালের ১৫ জুলাই ওই চিঠি লেখা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চিঠি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল জাহাঙ্গীর কেরামাতকে উত্তর কোরিয়া ৩০ লাখ ডলার দিয়েছে। এ ছাড়া লে. জেনারেল জুলফিকার খানকে পাঁচ লাখ ডলার ও অলঙ্কার দেওয়া হয়। চিঠিতে যাঁর স্বাক্ষর, তিনি উত্তর কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির সেক্রেটারি জন বিয়ং।
কাদির খান বলেছেন, তিনি নিজে এ অর্থ সেনাকর্মকর্তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছিলেন। এ অর্থের বিনিময়ে একটি পরমাণু কর্মসূচির নথিপত্র উত্তর কোরিয়ার কাছে হস্তান্তরের কথা ছিল কাদির খানের। তবে পত্রিকার পক্ষ থেকে অর্থের পরিমাণ নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
চিঠিতে এক জায়গায় লেখা হয়, ‘দয়া করে চুক্তি অনুযায়ী সব দলিলদস্তাবেজ পাকিস্তানে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার একজন দূতাবাস কর্মকর্তার কাছে দিন। এসব নিয়ে বিমানে করে দেশে ফিরবেন তিনি।’
কাদির খান স্বীকার করেছেন, তাঁর দেওয়া সেন্ট্রিফিউজ ও নকশার সহায়তায় উত্তর কোরিয়া ইউরেনিয়ামভিত্তিক বোমা তৈরির কাজ শুরু করে। উত্তর কোরিয়া এর মধ্যে প্লুটোনিয়ামভিত্তিক পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হয়েছে। কিন্তু গোপনে পরমাণু প্রযুক্তিবিষয়ক তথ্য পাচারের ব্যাপারে পাকিস্তান কেবল কাদির খানকেই দোষ দিয়ে আসছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু পশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মতে চিঠিটি সত্য। তবে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা এই চিঠিকে ভুয়া বলে অভিহিত করেন। জেনারেল কেরামত ও জুলফিকার খান বলেছেন, কাদির খানের প্রকাশ করা ওই চিঠিটি ভুয়া। উত্তর কোরিয়ার কাছে পরমাণু প্রযুক্তি পাচার করার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপানোর জন্য এটা কাদির খানের একটি চেষ্টা।
পরমাণু অস্ত্রের মজুদ বাড়ছে: পাকিস্তানে পরমাণু অস্ত্রের মজুদ দিন দিন বাড়ছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থাকা সত্ত্বেও বিশ্বে তারাই সবচেয়ে দ্রুত এ মজুদ বাড়াচ্ছে। আগামী দশকে তারা ১৫০ থেকে ২০০টি পারমাণবিক ‘ওয়ারহেড’ তৈরি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের দুজন শীর্ষ আণবিক বিশেষজ্ঞ এ কথা বলেছেন।
এই বিশেষজ্ঞরা হলেন হ্যান্স এম ক্রিস্টেনসেন ও রবার্ট এস নরিস। এ বিষয়ে তাঁদের লেখা একটি নিবন্ধ বুলেটিন অব অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টস-এর চলতি সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।
‘পাকিস্তানের পারমাণবিক শক্তি, ২০১১’ শীর্ষক নিবন্ধে বিশেষজ্ঞরা বলেন, পাকিস্তান যদি ধারাবাহিকভাবে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ বাড়াতে থাকে, তাহলে এক দশকে তা ১৫০ থেকে ২০০টিতে পৌঁছাতে পারে।
No comments