জিতল ইংল্যান্ড, জিতলেন কুক
ক্রিকেট-বিধাতাই যেন ঠিক করে রেখেছিলেন। ওয়ানডে খেলার সামর্থ্য নিয়ে ওঠা প্রশ্নগুলোকে একেকটি পুল, কভার ড্রাইভে বাইরে আছড়ে ফেলছিলেন অ্যালিস্টার কুক। আর মাইক্রোফোন হাতে মাইকেল আথারটন, দুর্দান্ত-অসাধারণ...বলতে বলতে একপর্যায়ে প্রশংসার ভাষাও হারিয়ে ফেললেন!
সিরিজ শুরুর আগে কুককে ‘মন্থর’ আর ‘গাধা’ বলেছিলেন আথারটন। শুধু সাবেক অধিনায়কই কেন, সংশয়বাদীদের তালিকাটা ছিল লম্বা। তাঁদের মিলিত চিৎকারকে ‘ফিসফাস’-এ নামিয়ে এনেছিল আগের ম্যাচের সেঞ্চুরি। পরশু ‘ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস’ খেলে আপাতত সবার মুখ বন্ধ করলেন। ইংল্যান্ডের ১০ উইকেটের জয়, সিরিজে ২-২ সমতা, সব ছাপিয়ে গেছে কুকের ৭৫ বলে ৯৫ রানের অপরাজিত ইনিংস। মাইক্রোফোন হাতে নাসের হুসেইন বলতে বাধ্য হলেন, ‘এ আমাদের চেনা-জানা কুকই তো!’
‘ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস’ শুনে মনে প্রশ্ন জাগছে? ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংসটা (১১৯) খেলেছেন আগের ম্যাচেই। কিন্তু সে ছিল বিপর্যয়ে রুখে দাঁড়ানো চেনা কুক, স্ট্রাইক রেট ‘মাত্র’ ৮৩.২১। কুকের ব্যাট যে ঝড় তুলতে পারে, এটা তো প্রথম দেখা গেল পরশুই! তার পরও সন্দেহ থাকলে কুকের নিজের কণ্ঠেই শুনুন, ‘সম্ভবত আমার সেরা ইনিংস। এত ভালো টাইমিং আমার সচরাচর হয় না।’ পাহাড়সম চাপ নিয়ে শুরু করেছিলেন সিরিজটা। ৪ ম্যাচে ৮৯ গড়ে ২৬৭ রান, স্ট্রাইকরেট ৯৭.৮০, সমালোচকদের জবাব দেওয়া হলো? ‘একটা-দুটোই ইনিংসেই কি আর জবাব দেওয়া যায়! লম্বা সময় ধরে এমন খেলে যেতে হবে। আমি নিজে সব সময়ই জানতাম ওয়ানডে খেলতে পারি, এখন এটা স্রেফ সবাইকে দেখানোর ব্যাপার’—বোঝা গেল সমালোচনাগুলো কুককে করেছে পরিণত ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিই পেতে পারতেন কুক। জয়ের জন্য যখন প্রয়োজন ১৯, সেঞ্চুরির জন্য তখন কুকের চাই ৭। দুটো ছয় ও এক চার মেরে অধিনায়ককে ‘বঞ্চিত’ করলেন ক্রেইগ কিসওয়েটার। তবে এতে একটুও হতাশ নন কুক। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরির জন্য চান্দিমালের শ্লথ ব্যাটিংয়ের সমালোচনায় সোচ্চার ছিলেন। পরশু নিজেকে দিয়ে প্রমাণও করলেন। ম্যাচ শেষে বললেন, ‘কিসওয়েটার এসে জিজ্ঞেস করেছিল সিঙ্গেল নেব না ছয়? সম্মতি পেয়েই ও ছয় মেরেছে। ক্রিকেটটা আমরা এভাবেই খেলি, ব্যক্তিগত মাইলফলকের চেয়ে দল বড়।’
শুধু নতুন কুককে নয়, পরশুর ট্রেন্টব্রিজ ইংল্যান্ডকেই দিয়েছে অনেক কিছু। যাঁর ধারাবাহিকতা নিয়ে খানিকটা গুঞ্জন ছিল, সেই কিসওয়েটার করলেন ৬৮ বলে অপরাজিত ৭২। কুকের সঙ্গে ১৭১ রানের জুটি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যেকোনো জুটিতেই সর্বোচ্চ। তিন ম্যাচ পর উইকেট পেলেন স্টুয়ার্ট ব্রড (২/৩৭), প্রথম ম্যাচের পর আবারও লঙ্কান টপ-অর্ডার গুঁড়িয়ে দিলেন অ্যান্ডারসন (৩/২৪), স্লগ ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে দলে থাকার যৌক্তিকতা প্রমাণ করলেন জেড ডার্নব্যাচ (৩/৩৮)।
ঘাসের উইকেটে টস হারা থেকে শুরু করে কোনো কিছুই পক্ষে যায়নি শ্রীলঙ্কার। ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ৭২ রানের জুটি গড়েছিলেন সাঙ্গাকারা ও ম্যাথুস (৩৯)। শেষ ৪ উইকেট পড়েছে আবার ১৯ রানে। সাঙ্গাকারার ৭৫ রানের ইনিংটার কল্যাণে ১৭৪ পর্যন্ত যেতে পারে শ্রীলঙ্কা। সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচ আগামীকাল ওল্ড ট্রাফোর্ডে।
সিরিজ শুরুর আগে কুককে ‘মন্থর’ আর ‘গাধা’ বলেছিলেন আথারটন। শুধু সাবেক অধিনায়কই কেন, সংশয়বাদীদের তালিকাটা ছিল লম্বা। তাঁদের মিলিত চিৎকারকে ‘ফিসফাস’-এ নামিয়ে এনেছিল আগের ম্যাচের সেঞ্চুরি। পরশু ‘ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস’ খেলে আপাতত সবার মুখ বন্ধ করলেন। ইংল্যান্ডের ১০ উইকেটের জয়, সিরিজে ২-২ সমতা, সব ছাপিয়ে গেছে কুকের ৭৫ বলে ৯৫ রানের অপরাজিত ইনিংস। মাইক্রোফোন হাতে নাসের হুসেইন বলতে বাধ্য হলেন, ‘এ আমাদের চেনা-জানা কুকই তো!’
‘ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস’ শুনে মনে প্রশ্ন জাগছে? ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংসটা (১১৯) খেলেছেন আগের ম্যাচেই। কিন্তু সে ছিল বিপর্যয়ে রুখে দাঁড়ানো চেনা কুক, স্ট্রাইক রেট ‘মাত্র’ ৮৩.২১। কুকের ব্যাট যে ঝড় তুলতে পারে, এটা তো প্রথম দেখা গেল পরশুই! তার পরও সন্দেহ থাকলে কুকের নিজের কণ্ঠেই শুনুন, ‘সম্ভবত আমার সেরা ইনিংস। এত ভালো টাইমিং আমার সচরাচর হয় না।’ পাহাড়সম চাপ নিয়ে শুরু করেছিলেন সিরিজটা। ৪ ম্যাচে ৮৯ গড়ে ২৬৭ রান, স্ট্রাইকরেট ৯৭.৮০, সমালোচকদের জবাব দেওয়া হলো? ‘একটা-দুটোই ইনিংসেই কি আর জবাব দেওয়া যায়! লম্বা সময় ধরে এমন খেলে যেতে হবে। আমি নিজে সব সময়ই জানতাম ওয়ানডে খেলতে পারি, এখন এটা স্রেফ সবাইকে দেখানোর ব্যাপার’—বোঝা গেল সমালোচনাগুলো কুককে করেছে পরিণত ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিই পেতে পারতেন কুক। জয়ের জন্য যখন প্রয়োজন ১৯, সেঞ্চুরির জন্য তখন কুকের চাই ৭। দুটো ছয় ও এক চার মেরে অধিনায়ককে ‘বঞ্চিত’ করলেন ক্রেইগ কিসওয়েটার। তবে এতে একটুও হতাশ নন কুক। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরির জন্য চান্দিমালের শ্লথ ব্যাটিংয়ের সমালোচনায় সোচ্চার ছিলেন। পরশু নিজেকে দিয়ে প্রমাণও করলেন। ম্যাচ শেষে বললেন, ‘কিসওয়েটার এসে জিজ্ঞেস করেছিল সিঙ্গেল নেব না ছয়? সম্মতি পেয়েই ও ছয় মেরেছে। ক্রিকেটটা আমরা এভাবেই খেলি, ব্যক্তিগত মাইলফলকের চেয়ে দল বড়।’
শুধু নতুন কুককে নয়, পরশুর ট্রেন্টব্রিজ ইংল্যান্ডকেই দিয়েছে অনেক কিছু। যাঁর ধারাবাহিকতা নিয়ে খানিকটা গুঞ্জন ছিল, সেই কিসওয়েটার করলেন ৬৮ বলে অপরাজিত ৭২। কুকের সঙ্গে ১৭১ রানের জুটি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যেকোনো জুটিতেই সর্বোচ্চ। তিন ম্যাচ পর উইকেট পেলেন স্টুয়ার্ট ব্রড (২/৩৭), প্রথম ম্যাচের পর আবারও লঙ্কান টপ-অর্ডার গুঁড়িয়ে দিলেন অ্যান্ডারসন (৩/২৪), স্লগ ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে দলে থাকার যৌক্তিকতা প্রমাণ করলেন জেড ডার্নব্যাচ (৩/৩৮)।
ঘাসের উইকেটে টস হারা থেকে শুরু করে কোনো কিছুই পক্ষে যায়নি শ্রীলঙ্কার। ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ৭২ রানের জুটি গড়েছিলেন সাঙ্গাকারা ও ম্যাথুস (৩৯)। শেষ ৪ উইকেট পড়েছে আবার ১৯ রানে। সাঙ্গাকারার ৭৫ রানের ইনিংটার কল্যাণে ১৭৪ পর্যন্ত যেতে পারে শ্রীলঙ্কা। সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচ আগামীকাল ওল্ড ট্রাফোর্ডে।
No comments