কান্দাহারে দ্বিতীয় দিনের মতো তালেবানের হামলা
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কান্দাহারে গতকাল রোববার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো হামলা চালিয়েছে তালেবান জঙ্গিরা। দুই দিনের হামলায় পুলিশের দুজন সদস্যসহ ১৮ জন নিহত ও ৪৬ জন আহত হয়েছে।
তালেবান জঙ্গিরা কান্দাহারে গত শনিবার কয়েকজন আত্মঘাতী হামলাকারী এবং রকেটচালিত গ্রেনেড দিয়ে সমন্বিতভাবে কয়েকটি সরকারি ভবনে হামলা চালায়। স্থানীয় গভর্নরের কার্যালয় ও গোয়েন্দা কার্যালয়েও হামলা চালানো হয়। এরপর তালেবানবিরোধী অভিযান শুরু করে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রত্যক্ষদর্শী একজন সাংবাদিক জানান, কান্দাহার শহরের বিভিন্ন সড়ক জনশূন্য হয়ে পড়েছে। তিনি আরও জানান, তালেবান জঙ্গিরা ট্রাফিক পুলিশ ভবন দখল করে রেখেছে। সেখান থেকেই তারা গুলি ও রকেট ছুড়ছে। গতকাল কান্দাহারে ব্যাপক গুলিবিনিময় ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। সংশ্লিষ্টরা জানায়, দুই দিনে অন্তত ১০টি ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। আফগান বাহিনী ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন বিদেশি সেনাদের সহায়তা নিয়ে তালেবানবিরোধী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়।
কান্দাহারের প্রধান হাসপাতালের চিকিত্সক মোহাম্মদ হাসিম জানান, তাঁরা দুজন পুলিশ ও দুজন বেসামরিক নাগরিকের মরদেহ পেয়েছেন। আহত হিসেবে ৪৬ জনের নাম নিবন্ধন করা হয়েছে। কান্দাহারের প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র জালমে আইয়ুবি বলেন, অভিযানে শনিবার পর্যন্ত ১৪ জন তালেবান জঙ্গি নিহত হয়েছে।
কান্দাহার সীমান্ত পুলিশের কমান্ডার জেনারেল আবদুল রেজাক বলেন, ‘ভবনটির গঠন কিছুটা জটিল। তাই সেখানে অবস্থান নেওয়া তালেবান অস্ত্রধারীদের পরাজিত করতে কিছুটা সময় লাগছে। তবে শিগগিরই আমরা ভবনটি জঙ্গিমুক্ত করতে পারব।’
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই বলেন, ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গিরা পরাজিত হয়েছে। সেই পরাজয় ঢাকার জন্য তারা বেসামরিক জনগণের ওপর হামলা শুরু করেছে। তবে তালেবান মুখপাত্র ইউসুফ আহমাদি বলেন, ‘পাকিস্তানে মার্কিন অভিযানে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার প্রতিশোধ নিতে গত শনিবার সরকারি বিভিন্ন ভবনে হামলা চালানো হয়েছে—এমনটা ভাবার কারণ নেই। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা এই হামলা চালাচ্ছি।’
তালেবান জঙ্গিরা কান্দাহারে গত শনিবার কয়েকজন আত্মঘাতী হামলাকারী এবং রকেটচালিত গ্রেনেড দিয়ে সমন্বিতভাবে কয়েকটি সরকারি ভবনে হামলা চালায়। স্থানীয় গভর্নরের কার্যালয় ও গোয়েন্দা কার্যালয়েও হামলা চালানো হয়। এরপর তালেবানবিরোধী অভিযান শুরু করে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রত্যক্ষদর্শী একজন সাংবাদিক জানান, কান্দাহার শহরের বিভিন্ন সড়ক জনশূন্য হয়ে পড়েছে। তিনি আরও জানান, তালেবান জঙ্গিরা ট্রাফিক পুলিশ ভবন দখল করে রেখেছে। সেখান থেকেই তারা গুলি ও রকেট ছুড়ছে। গতকাল কান্দাহারে ব্যাপক গুলিবিনিময় ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। সংশ্লিষ্টরা জানায়, দুই দিনে অন্তত ১০টি ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। আফগান বাহিনী ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন বিদেশি সেনাদের সহায়তা নিয়ে তালেবানবিরোধী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়।
কান্দাহারের প্রধান হাসপাতালের চিকিত্সক মোহাম্মদ হাসিম জানান, তাঁরা দুজন পুলিশ ও দুজন বেসামরিক নাগরিকের মরদেহ পেয়েছেন। আহত হিসেবে ৪৬ জনের নাম নিবন্ধন করা হয়েছে। কান্দাহারের প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র জালমে আইয়ুবি বলেন, অভিযানে শনিবার পর্যন্ত ১৪ জন তালেবান জঙ্গি নিহত হয়েছে।
কান্দাহার সীমান্ত পুলিশের কমান্ডার জেনারেল আবদুল রেজাক বলেন, ‘ভবনটির গঠন কিছুটা জটিল। তাই সেখানে অবস্থান নেওয়া তালেবান অস্ত্রধারীদের পরাজিত করতে কিছুটা সময় লাগছে। তবে শিগগিরই আমরা ভবনটি জঙ্গিমুক্ত করতে পারব।’
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই বলেন, ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গিরা পরাজিত হয়েছে। সেই পরাজয় ঢাকার জন্য তারা বেসামরিক জনগণের ওপর হামলা শুরু করেছে। তবে তালেবান মুখপাত্র ইউসুফ আহমাদি বলেন, ‘পাকিস্তানে মার্কিন অভিযানে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার প্রতিশোধ নিতে গত শনিবার সরকারি বিভিন্ন ভবনে হামলা চালানো হয়েছে—এমনটা ভাবার কারণ নেই। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা এই হামলা চালাচ্ছি।’
No comments