মনমোহনকে সরাতে চেয়েছিলেন কংগ্রেসের কিছু নেতা
২০০৭ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে সরিয়ে দিয়ে তাঁর জায়গায় অন্য কোনো নেতাকে বসানোর জন্য কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে অনুরোধ করেছিলেন দলের কয়েকজন নেতা। ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাঁরা সোনিয়াকে এই অনুরোধ করেন। তারবার্তার বরাত দিয়ে উইকিলিকস ওয়েবসাইটটি এ কথা জানায়।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র দ্য হিন্দু গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাঞ্জাব ও উত্তরাখন্ডের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়। এতে কংগ্রেসের নেতারা শঙ্কিত হয়ে পড়েন। ওই বছরের এপ্রিল-মে মাসে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে সোনিয়ার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের মতে, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার পক্ষে কথা বলে মনমোহন তাঁর জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলেছেন। তবে ওই বার্তায় এসব নেতার কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
পাঞ্জাব ও উত্তরাখন্ডের মতো উত্তরপ্রদেশেও যাতে দলের ভরাডুবি না হয়, সে জন্য তাঁরা আগেভাগেই মনমোহনকে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষে মত দেন। তাঁর জায়গায় আরও গ্রহণযোগ্য কোনো নেতাকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য তাঁরা সোনিয়া গান্ধীকে চাপ দেওয়া শুরু করেন। এ কথা জানিয়ে ২০০৭ সালের ১৩ মার্চ ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের তৎকালীন চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স জিওফ্রে পাইয়্যাট ওয়াশিংটনে একটি তারবার্তা পাঠান।
দ্য হিন্দু বলেছে, উইকিলিকসের মাধ্যমে ওই তারবার্তার কপি তাদের হাতে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বার্তায় কংগ্রেস সরকারের মধ্যে ‘সনাতনপন্থী’ নেতাদের পাশাপাশি ‘সংস্কারপন্থী গোষ্ঠীর’ তৎপরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
জিওফ্রে পাইয়্যাট তারবার্তায় বলেন, ‘মুম্বাই, উত্তরাখন্ড ও পাঞ্জাবে কংগ্রেস হেরে যাওয়ার পর সোনিয়া গান্ধী এবং তাঁর রাজনৈতিক উপদেষ্টারা উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যে তাঁদের কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে মনমোহনকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে পুনরায় শান্তি আলোচনা শুরুর কথা বলে মনমোহন সিং বিরোধী দল বিজেপির তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এটা নির্বাচনে প্রভাব ফেলছে। সে কারণে জনগণের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য কাউকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার পক্ষে তাঁরা মত দিয়েছেন।
দ্য হিন্দু বলেছে, জিওফ্রে পাইয়্যাট ওই তারবার্তাটি মূলত ওয়াশিংটনে মার্কিন জ্বালানিমন্ত্রী স্যামুয়েল বডম্যানকে পাঠিয়েছিলেন। বার্তাটি পাঠানোর কয়েক দিন পরই বডম্যান জ্বালানি বিষয়ে, বিশেষ করে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বিষয়ে আলোচনা করতে ভারত সফরে আসেন।
তারবার্তায় বডম্যানকে জানানো হয়, মনমোহন সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক পরমাণু কার্যক্রম চুক্তি সফলভাবে সম্পন্ন হতে পারে। মনমোহন সরকার তাঁকে (বডম্যানকে) বলতে পারে, গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে ভারত এ চুক্তি করতে আগ্রহী।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র দ্য হিন্দু গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাঞ্জাব ও উত্তরাখন্ডের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়। এতে কংগ্রেসের নেতারা শঙ্কিত হয়ে পড়েন। ওই বছরের এপ্রিল-মে মাসে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে সোনিয়ার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের মতে, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার পক্ষে কথা বলে মনমোহন তাঁর জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলেছেন। তবে ওই বার্তায় এসব নেতার কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
পাঞ্জাব ও উত্তরাখন্ডের মতো উত্তরপ্রদেশেও যাতে দলের ভরাডুবি না হয়, সে জন্য তাঁরা আগেভাগেই মনমোহনকে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষে মত দেন। তাঁর জায়গায় আরও গ্রহণযোগ্য কোনো নেতাকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য তাঁরা সোনিয়া গান্ধীকে চাপ দেওয়া শুরু করেন। এ কথা জানিয়ে ২০০৭ সালের ১৩ মার্চ ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের তৎকালীন চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স জিওফ্রে পাইয়্যাট ওয়াশিংটনে একটি তারবার্তা পাঠান।
দ্য হিন্দু বলেছে, উইকিলিকসের মাধ্যমে ওই তারবার্তার কপি তাদের হাতে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বার্তায় কংগ্রেস সরকারের মধ্যে ‘সনাতনপন্থী’ নেতাদের পাশাপাশি ‘সংস্কারপন্থী গোষ্ঠীর’ তৎপরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
জিওফ্রে পাইয়্যাট তারবার্তায় বলেন, ‘মুম্বাই, উত্তরাখন্ড ও পাঞ্জাবে কংগ্রেস হেরে যাওয়ার পর সোনিয়া গান্ধী এবং তাঁর রাজনৈতিক উপদেষ্টারা উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যে তাঁদের কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে মনমোহনকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে পুনরায় শান্তি আলোচনা শুরুর কথা বলে মনমোহন সিং বিরোধী দল বিজেপির তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এটা নির্বাচনে প্রভাব ফেলছে। সে কারণে জনগণের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য কাউকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার পক্ষে তাঁরা মত দিয়েছেন।
দ্য হিন্দু বলেছে, জিওফ্রে পাইয়্যাট ওই তারবার্তাটি মূলত ওয়াশিংটনে মার্কিন জ্বালানিমন্ত্রী স্যামুয়েল বডম্যানকে পাঠিয়েছিলেন। বার্তাটি পাঠানোর কয়েক দিন পরই বডম্যান জ্বালানি বিষয়ে, বিশেষ করে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বিষয়ে আলোচনা করতে ভারত সফরে আসেন।
তারবার্তায় বডম্যানকে জানানো হয়, মনমোহন সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক পরমাণু কার্যক্রম চুক্তি সফলভাবে সম্পন্ন হতে পারে। মনমোহন সরকার তাঁকে (বডম্যানকে) বলতে পারে, গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে ভারত এ চুক্তি করতে আগ্রহী।
No comments