অস্ট্রেলিয়ায় ভারত-বন্দনা
ভারতের কাছেই টেস্ট-শ্রেষ্ঠত্ব হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শ্রেষ্ঠত্বকেও হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে ভারত। ২০১১ বিশ্বকাপ জিতে ভারত বিশ্বকে এই বার্তাও দিল, আগামী দিনের ক্রিকেটে তাদেরই আধিপত্য থাকবে।
থাকবে কি না, সেটা সময়ই বলবে, তবে ভারতের বর্তমান ‘শ্রেষ্ঠত্ব’কে স্বাগতই জানাচ্ছে অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারতকে যোগ্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বলছে সে দেশের পত্রপত্রিকা। ফাইনালের পর দি অস্ট্রেলিয়ান-এর শিরোনাম ছিল, ‘ইতিহাস উল্টে দিয়ে ২৮ বছরে প্রথম বিশ্বকাপ জিতল ভারত।’ পত্রিকাটি ভারতীয় অধিনায়কের দৃঢ়নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে লিখেছে, ষষ্ঠ বিশ্বকাপ খেলা শচীন টেন্ডুলকারকে ঘিরে থাকা আলোটা ফাইনালে নিজের করে নিয়েছেন ধোনি।
‘দক্ষিণ এশিয়ার এই দুটি বড় দল সমর্থকদের টানটান উত্তেজনার স্নায়ুক্ষয়ী ফাইনাল উপহার দিয়েছে। ক্রিকেট-পাগল জাতি হিসেবে যারা আরও আগে শিরোপা জিততে পারত, যোগ্য দল হিসেবে তারাই জিতেছে শিরোপা। টুর্নামেন্টের সমাপ্তিটা রূপকথার মতো হয়নি, কিন্তু এখনো অনেক ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়ানো মুম্বাই ও ভারতের জন্য সেটাই বা কম কী।’ পত্রিকাটি আরও লিখেছে, এই জয়ে একটা ব্যাপার পরিষ্কার হয়ে গেছে, জেতার জন্য ভারতকে এখন আর এক টেন্ডুলকারের ওপর নির্ভর করতে হয় না।
মুম্বাইবাসীর জন্য ফাইনালটা রূপকথার মতো সমাপ্তি পেত যদি সেঞ্চুরি পেতেন শচীন টেন্ডুলকার। পত্রিকাটির চোখে ধোনি ‘সর্বজয়ী অধিনায়ক’, ‘শচীন টেন্ডুলকারের মতো পূজনীয় তিনি নন, আফ্রিদির মতো উচ্ছল নন, কুমার সাঙ্গাকারার মতো বাগ্মিকতাও নেই তাঁর, তার পরও ধোনি হচ্ছেন অনমনীয় নতুন ভারতের মুখ। ধোনির অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংস ও ম্যাচজয়ী ছক্কা তাদের ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার এনে দিয়েছে, আর ওয়াংখেড়ের ৩৩ হাজার দর্শককে করেছে উন্মত্ত।’
ধোনির দৃঢ়নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে সিডনি মর্নিং হেরাল্ডও। কলাম লেখক পিটার রোবাক লিখেছেন, ‘দিনটি ছিল ধোনির। জয়াবর্ধনের মতো তাঁর ফর্মেও অনেক আঁচড় থাকলেও সেসব পেছনে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন ধোনি। সত্যি বলতে, তিনি নিজেকে ওপরে তুলে আনার সাহস দেখিয়েছেন।’
সেই অর্থে কোনো স্বাগতিক দল বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। ভারতীয় দলের এই ধারাবাহিকতা খণ্ডনকেও বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়া।
থাকবে কি না, সেটা সময়ই বলবে, তবে ভারতের বর্তমান ‘শ্রেষ্ঠত্ব’কে স্বাগতই জানাচ্ছে অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারতকে যোগ্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বলছে সে দেশের পত্রপত্রিকা। ফাইনালের পর দি অস্ট্রেলিয়ান-এর শিরোনাম ছিল, ‘ইতিহাস উল্টে দিয়ে ২৮ বছরে প্রথম বিশ্বকাপ জিতল ভারত।’ পত্রিকাটি ভারতীয় অধিনায়কের দৃঢ়নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে লিখেছে, ষষ্ঠ বিশ্বকাপ খেলা শচীন টেন্ডুলকারকে ঘিরে থাকা আলোটা ফাইনালে নিজের করে নিয়েছেন ধোনি।
‘দক্ষিণ এশিয়ার এই দুটি বড় দল সমর্থকদের টানটান উত্তেজনার স্নায়ুক্ষয়ী ফাইনাল উপহার দিয়েছে। ক্রিকেট-পাগল জাতি হিসেবে যারা আরও আগে শিরোপা জিততে পারত, যোগ্য দল হিসেবে তারাই জিতেছে শিরোপা। টুর্নামেন্টের সমাপ্তিটা রূপকথার মতো হয়নি, কিন্তু এখনো অনেক ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়ানো মুম্বাই ও ভারতের জন্য সেটাই বা কম কী।’ পত্রিকাটি আরও লিখেছে, এই জয়ে একটা ব্যাপার পরিষ্কার হয়ে গেছে, জেতার জন্য ভারতকে এখন আর এক টেন্ডুলকারের ওপর নির্ভর করতে হয় না।
মুম্বাইবাসীর জন্য ফাইনালটা রূপকথার মতো সমাপ্তি পেত যদি সেঞ্চুরি পেতেন শচীন টেন্ডুলকার। পত্রিকাটির চোখে ধোনি ‘সর্বজয়ী অধিনায়ক’, ‘শচীন টেন্ডুলকারের মতো পূজনীয় তিনি নন, আফ্রিদির মতো উচ্ছল নন, কুমার সাঙ্গাকারার মতো বাগ্মিকতাও নেই তাঁর, তার পরও ধোনি হচ্ছেন অনমনীয় নতুন ভারতের মুখ। ধোনির অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংস ও ম্যাচজয়ী ছক্কা তাদের ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার এনে দিয়েছে, আর ওয়াংখেড়ের ৩৩ হাজার দর্শককে করেছে উন্মত্ত।’
ধোনির দৃঢ়নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে সিডনি মর্নিং হেরাল্ডও। কলাম লেখক পিটার রোবাক লিখেছেন, ‘দিনটি ছিল ধোনির। জয়াবর্ধনের মতো তাঁর ফর্মেও অনেক আঁচড় থাকলেও সেসব পেছনে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন ধোনি। সত্যি বলতে, তিনি নিজেকে ওপরে তুলে আনার সাহস দেখিয়েছেন।’
সেই অর্থে কোনো স্বাগতিক দল বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। ভারতীয় দলের এই ধারাবাহিকতা খণ্ডনকেও বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়া।
No comments