সেঞ্চুরিতেও সান্ত্বনা নেই জয়াবর্ধনের
বিশ্বকাপের ফাইনালে ৮৪ বলে সেঞ্চুরি, শেষ পর্যন্ত ৮৮ বলে অপরাজিত ১০৩। অসাধারণ এই সেঞ্চুরির প্রশংসা চতুর্দিকে। কিন্তু যাঁর সেঞ্চুরি নিয়ে মানুষের এত প্রশংসা, সেই মাহেলা জয়াবর্ধনের কাছে ওই সেঞ্চুরির কোনো মূল্য নেই। বলছেন দলের পরাজয়ের কাছে সেঞ্চুরি কোনো সান্ত্বনা হতে পারে না, অন্তত বিশ্বকাপের ফাইনালে।
গত শনিবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে জয়াবর্ধনের দুর্দান্ত ওই সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কাকে এনে দেয় ২৭৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর। কিন্তু মাত্র ৪ উইকেটেই শ্রীলঙ্কার এই রান টপকে বিশ্বকাপ জেতে মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত। স্বপ্নভঙ্গের হতাশা নিয়ে জয়াবর্ধনে বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ মেডেলের জন্য আমি যেকোনো দিন সেঞ্চুরি বদল করতে রাজি।’
তীরে এসে তরী ডোবার হতাশা এখনো পোড়াচ্ছে শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ককে। তবে আইসিসির কাছে জয়াবর্ধনে এটাও অকপটে স্বীকার করেছেন, ২৭৪ রান টপকে ভারত প্রমাণ করেছে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ সত্যিই খুব শক্তিশালী, ‘আমরা ভালোভাবেই লড়াই করেছি। কিন্তু এটাই যথেষ্ট ছিল না। ভারতের এই ব্যাটিং লাইনআপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে আমাদের উইকেট তুলে নিতে হতো। আমরা শুরুতেই দুটি উইকেট তুলে নিয়েছিলামও। কিন্তু পরে আর কোনো কিছু করতে পারিনি। আমরা ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করতে পারিনি, সাধারণত আমরা যেটা করি। তবে তারা দারুণ ব্যাট করেছে।’
সেঞ্চুরি বিশ্বকাপ শিরোপার সান্ত্বনা হতে পারে না। তবে অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা আউট হয়ে যাওয়ার পর দলকে টেনে তোলার যে দায়িত্ব কাঁধে চেপেছিল সেই দায়িত্ব যথাযথ পালন করার তৃপ্তি মাহেলার অবশ্যই আছে। ইনিংসের শেষ দিকে ভারতীয় বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে দ্রুত রান তুলছিলেন জয়াবর্ধনে। ব্যাট হাতে সেই মুহূর্তটিও জয়াবর্ধনের কাছে ছিল বিশেষ কিছু, ‘যখন আমি ক্রিজে গিয়ে দাঁড়ালাম, সত্যিই ভালো বোধ করছিলাম। কিছু আলগা বল পাই এবং যা থেকে কিছু চার বের করি। এটা আমাকে ছন্দ দিয়েছে। কুমার যখন আউট হলো, আমি জানতাম, আমাকে ৫০ ওভার ব্যাট করতে হবে। এটা আপনার জানাই যে পাওয়ার প্লের সময় আপনি ক্যাচ আউট হয়ে যেতে পারেন। কাজেই আমি ওই প্রচেষ্টার জন্য খুশি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ম্যাচ শেষে আমরা পরাজিত দল।’
আগামী মে মাসে পা রাখবেন ৩৪-এ। অবসর-সম্পর্কিত প্রশ্নেরও তাই উত্তর দিতে হচ্ছে। তবে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে জয়াবর্ধনের ভাবনাটা স্বচ্ছ, খেলাটা চালিয়ে যাবেন, ‘আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শ্রীলঙ্কার আগামী প্রজন্মের ক্রিকেটারদের দারুণভাবে প্রভাবিত করা। আমি চেষ্টাটা করে যাব এবং এখন যা করছি তার চেয়ে ভালো কিছু করার জন্য নিজেকে তাগাদা দেব। যেদিন বুঝতে পারব দলে অবদান রাখার সামর্থ্য আমার নেই, সেদিন নিজেই বিদায় বলে দেব।’
গত শনিবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে জয়াবর্ধনের দুর্দান্ত ওই সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কাকে এনে দেয় ২৭৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর। কিন্তু মাত্র ৪ উইকেটেই শ্রীলঙ্কার এই রান টপকে বিশ্বকাপ জেতে মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত। স্বপ্নভঙ্গের হতাশা নিয়ে জয়াবর্ধনে বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ মেডেলের জন্য আমি যেকোনো দিন সেঞ্চুরি বদল করতে রাজি।’
তীরে এসে তরী ডোবার হতাশা এখনো পোড়াচ্ছে শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ককে। তবে আইসিসির কাছে জয়াবর্ধনে এটাও অকপটে স্বীকার করেছেন, ২৭৪ রান টপকে ভারত প্রমাণ করেছে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ সত্যিই খুব শক্তিশালী, ‘আমরা ভালোভাবেই লড়াই করেছি। কিন্তু এটাই যথেষ্ট ছিল না। ভারতের এই ব্যাটিং লাইনআপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে আমাদের উইকেট তুলে নিতে হতো। আমরা শুরুতেই দুটি উইকেট তুলে নিয়েছিলামও। কিন্তু পরে আর কোনো কিছু করতে পারিনি। আমরা ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করতে পারিনি, সাধারণত আমরা যেটা করি। তবে তারা দারুণ ব্যাট করেছে।’
সেঞ্চুরি বিশ্বকাপ শিরোপার সান্ত্বনা হতে পারে না। তবে অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা আউট হয়ে যাওয়ার পর দলকে টেনে তোলার যে দায়িত্ব কাঁধে চেপেছিল সেই দায়িত্ব যথাযথ পালন করার তৃপ্তি মাহেলার অবশ্যই আছে। ইনিংসের শেষ দিকে ভারতীয় বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে দ্রুত রান তুলছিলেন জয়াবর্ধনে। ব্যাট হাতে সেই মুহূর্তটিও জয়াবর্ধনের কাছে ছিল বিশেষ কিছু, ‘যখন আমি ক্রিজে গিয়ে দাঁড়ালাম, সত্যিই ভালো বোধ করছিলাম। কিছু আলগা বল পাই এবং যা থেকে কিছু চার বের করি। এটা আমাকে ছন্দ দিয়েছে। কুমার যখন আউট হলো, আমি জানতাম, আমাকে ৫০ ওভার ব্যাট করতে হবে। এটা আপনার জানাই যে পাওয়ার প্লের সময় আপনি ক্যাচ আউট হয়ে যেতে পারেন। কাজেই আমি ওই প্রচেষ্টার জন্য খুশি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ম্যাচ শেষে আমরা পরাজিত দল।’
আগামী মে মাসে পা রাখবেন ৩৪-এ। অবসর-সম্পর্কিত প্রশ্নেরও তাই উত্তর দিতে হচ্ছে। তবে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে জয়াবর্ধনের ভাবনাটা স্বচ্ছ, খেলাটা চালিয়ে যাবেন, ‘আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শ্রীলঙ্কার আগামী প্রজন্মের ক্রিকেটারদের দারুণভাবে প্রভাবিত করা। আমি চেষ্টাটা করে যাব এবং এখন যা করছি তার চেয়ে ভালো কিছু করার জন্য নিজেকে তাগাদা দেব। যেদিন বুঝতে পারব দলে অবদান রাখার সামর্থ্য আমার নেই, সেদিন নিজেই বিদায় বলে দেব।’
No comments