ঢাকায় ক্লার্কের অস্ট্রেলিয়া
মাইকেল ক্লার্কের যেখানে শুরু, রিকি পন্টিংয়ের সেখানে শেষ। পন্টিং অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন বলেই বাংলাদেশ সফর থেকে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হয়ে গেলেন ক্লার্ক। তবে ক্লার্কের অধিনায়ক হওয়াটা শুধু পন্টিংয়ের নেতৃত্বেরই শেষ ঘোষণা করছে না, নতুন অস্ট্রেলিয়ার ভবিষ্যৎ পথরেখাও আঁকছে।
অস্ট্রেলিয়া দলের ক্রিকেটাররা কাল রাতে দুই ভাগে ঢাকায় পৌঁছেছেন। সিডনি বিমানবন্দর থেকে ঢাকার বিমানে ওঠার আগে বাংলাদেশ সফর এবং নতুন দায়িত্ব নিয়ে কথা বলেছেন ক্লার্ক। অস্ট্রেলিয়ার নতুন অধিনায়ক একটা ব্যাপার পরিষ্কার করে দিয়েছেন শুরুতেই, অন্তত বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ওয়ানডের সিরিজে দলে বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না।
নতুন অধিনায়ক তাঁর নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে চিন্তাভাবনার যথেষ্ট সময় পাবেন বাংলাদেশ সফর শেষে। ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সিরিজ শেষ হওয়ার পর জুনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজের আগ পর্যন্ত কোনো খেলা নেই অস্ট্রেলিয়ার। ক্লার্ক বেছে নিতে চান ওই সময়টাই। ‘আমাদের ভাগ্য ভালো, এই তিনটি ওয়ানডে এখনই হয়ে যাচ্ছে। ভালো একটা বিরতি আছে এরপর। কাজেই বেশি সামনে না তাকিয়ে এখন আমি শুধু এই তিন ওয়ানডের দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি। এমনকি আমি যেসব জায়গায় পরিবর্তনের প্রয়োজন মনে করছি, সেগুলো নিয়েও এখন ভাবছি না’—দেশ ছাড়ার আগে বলেছেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক।
বিশ্বকাপ থেকে দেশে ফিরে গত কয়েকটা দিন সবার চিন্তাভাবনায় বাংলাদেশ সিরিজটাই ছিল। বাবা আর কাছের বন্ধুদের সঙ্গে ক্লার্ক তাঁর ৩১তম জন্মদিনটাও পালন করলেন এই সময়েই (২ এপ্রিল)। তবে সেই খবর পত্রপত্রিকায় চলে আসায় তিনি বিব্রত। ক্লার্ক বুঝতেই পারছেন না, তাঁর জন্মদিন নিয়ে মানুষের এত আগ্রহ কেন? এর চেয়ে বাংলাদেশ সিরিজটা নিয়েই কি বেশি ভাবা উচিত না?
সেই ভাবনা অবশ্যই আছে। সঙ্গে ক্লার্ক নেতা হিসেবে কেমন হবেন, অনুচ্চারে হলেও আছে সে আলোচনাও। তাঁর দল পরিচালনার ধরন সবাই কীভাবে গ্রহণ করবে, সাবেক অধিনায়ক পন্টিংয়ের সঙ্গেই বা কীভাবে আচরণ করেন নতুন অধিনায়ক, কিংবা নির্দেশ দিতে অভ্যস্ত পন্টিং নির্দেশ নেবেন কীভাবে—সবই আছে আলোচনায়। তবে ক্লার্ক আশাবাদী, ‘ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অনেকেই আমার অধীনে খেলেছে। তারা আমার নেতৃত্ব সম্পর্কে জানে। পন্টিং যেভাবে এত দিন দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সবাই স্বাভাবিকভাবে সেটাতেই অভ্যস্ত। পন্টিংয়ের তুলনায় আমি একটু অন্য রকম। মানিয়ে নিতে তো একটু সময় লাগবেই।’
তবে অধিনায়ক হিসেবে সতীর্থদের জন্য নিজের দরজাটা সব সময় খোলা রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্লার্ক, ‘তাদের যখন যা প্রয়োজন হবে আমাকে বলতে পারে। দিনের ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহের ৭ দিন আমার কাছে আসতে পারে যে কেউ। আমাকে ফোন করতে পারে। আমি চাই, সবাই এই স্বাধীনতাটুকু নিক, সে যে-ই হোক। ক্রিকেটটা সবাই ভালোবাসা নিয়ে খেলুক।’
পন্টিং অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ সফরের আগেই। আর বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরে অস্ট্রেলিয়া দল ছেড়ে যাবেন দলের দীর্ঘদিনের টিম ম্যানেজার স্টিভ বার্নার্ড। ১৯৯৮ সালের ভারত সফর থেকে অস্ট্রেলিয়া দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা বার্নার্ডের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে বাংলাদেশ সিরিজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে। নতুন ম্যানেজার করা হয়েছে ইংল্যান্ড রাগবি ইউনিয়নের সাবেক ম্যানেজার গেভিন ডোভিকে। বাংলাদেশ সফরে বার্নার্ডের সঙ্গে আসবেন তিনিও।
‘ক্লার্ক কেমন অধিনায়ক হবেন’—এই প্রশ্নের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া দলে ঘুরছে ‘ডোভি কেমন ম্যানেজার হবেন’ প্রশ্নটাও। তবে নিউ সাউথ ওয়েলসের সাবেক ফাস্ট বোলার এবং সাবেক নির্বাচক বার্নার্ডকে নিশ্চিতভাবেই মিস করবে অস্ট্রেলিয়া দল। ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতার সঙ্গে সাংগঠনিক দক্ষতার দারুণ মিল ঘটিয়ে টিম ম্যানেজার হিসেবে রীতিমতো কিংবদন্তির পর্যায়ে বার্নার্ড। ক্লার্ক নিজেও বলেছেন, ‘অসাধারণ একজন টিম ম্যানেজার উনি। তিনি এতটাই গোছানো যে আমাদের জীবনটাই করে দিয়েছিলেন সহজ। খেলা সম্পর্কে তাঁর জ্ঞানও দারুণ। আমার ধারণা, তিনি চলে যাওয়ার পরই সবাই বুঝতে পারবে কী দারুণ একটা ক্রিকেট-মস্তিষ্ক ছিল তাঁর।’ ক্লার্কের মতো আরও অনেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারেরই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুর সাক্ষী তিনি। ‘শুধু আমিই নই, অস্ট্রেলিয়ার অনেক ক্রিকেটারই তাঁর কাছ থেকে দারুণ সাহায্য পেয়েছে’—বলেছেন নতুন অধিনায়ক।
সিডনি বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশে পৌঁছে গেছেন কাল রাতেই। এ পর্যন্তও হয়তো অধিনায়কত্বের উত্তাপ তাঁর গায়ে লাগতে শুরু করেনি। ক্লার্ক সেটির জন্য অপেক্ষায় থাকবেন ৯ এপ্রিলের প্রথম ওয়ানডেটা পর্যন্ত, ‘এখনই অধিনায়কত্বের ভেতর ঢুকে গেছি মনে হয় না। তবে আমি রোমাঞ্চিত। আমি জানি, আমার সামনে কী অপেক্ষা করছে এবং আমার লক্ষ্যটা খুবই সহজ-সরল। বাংলাদেশে গিয়ে আমরা সিরিজ জিততে চাই। সবার সামনে দিয়ে যখন আমি দল নিয়ে মাঠে ফিল্ডিং করতে ঢুকব, হয়তো তখনই সত্যিকার অর্থে ঢুকে পড়ব অধিনায়কত্বের ভেতর।
অস্ট্রেলিয়া দলের ক্রিকেটাররা কাল রাতে দুই ভাগে ঢাকায় পৌঁছেছেন। সিডনি বিমানবন্দর থেকে ঢাকার বিমানে ওঠার আগে বাংলাদেশ সফর এবং নতুন দায়িত্ব নিয়ে কথা বলেছেন ক্লার্ক। অস্ট্রেলিয়ার নতুন অধিনায়ক একটা ব্যাপার পরিষ্কার করে দিয়েছেন শুরুতেই, অন্তত বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ওয়ানডের সিরিজে দলে বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না।
নতুন অধিনায়ক তাঁর নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে চিন্তাভাবনার যথেষ্ট সময় পাবেন বাংলাদেশ সফর শেষে। ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সিরিজ শেষ হওয়ার পর জুনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজের আগ পর্যন্ত কোনো খেলা নেই অস্ট্রেলিয়ার। ক্লার্ক বেছে নিতে চান ওই সময়টাই। ‘আমাদের ভাগ্য ভালো, এই তিনটি ওয়ানডে এখনই হয়ে যাচ্ছে। ভালো একটা বিরতি আছে এরপর। কাজেই বেশি সামনে না তাকিয়ে এখন আমি শুধু এই তিন ওয়ানডের দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি। এমনকি আমি যেসব জায়গায় পরিবর্তনের প্রয়োজন মনে করছি, সেগুলো নিয়েও এখন ভাবছি না’—দেশ ছাড়ার আগে বলেছেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক।
বিশ্বকাপ থেকে দেশে ফিরে গত কয়েকটা দিন সবার চিন্তাভাবনায় বাংলাদেশ সিরিজটাই ছিল। বাবা আর কাছের বন্ধুদের সঙ্গে ক্লার্ক তাঁর ৩১তম জন্মদিনটাও পালন করলেন এই সময়েই (২ এপ্রিল)। তবে সেই খবর পত্রপত্রিকায় চলে আসায় তিনি বিব্রত। ক্লার্ক বুঝতেই পারছেন না, তাঁর জন্মদিন নিয়ে মানুষের এত আগ্রহ কেন? এর চেয়ে বাংলাদেশ সিরিজটা নিয়েই কি বেশি ভাবা উচিত না?
সেই ভাবনা অবশ্যই আছে। সঙ্গে ক্লার্ক নেতা হিসেবে কেমন হবেন, অনুচ্চারে হলেও আছে সে আলোচনাও। তাঁর দল পরিচালনার ধরন সবাই কীভাবে গ্রহণ করবে, সাবেক অধিনায়ক পন্টিংয়ের সঙ্গেই বা কীভাবে আচরণ করেন নতুন অধিনায়ক, কিংবা নির্দেশ দিতে অভ্যস্ত পন্টিং নির্দেশ নেবেন কীভাবে—সবই আছে আলোচনায়। তবে ক্লার্ক আশাবাদী, ‘ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অনেকেই আমার অধীনে খেলেছে। তারা আমার নেতৃত্ব সম্পর্কে জানে। পন্টিং যেভাবে এত দিন দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সবাই স্বাভাবিকভাবে সেটাতেই অভ্যস্ত। পন্টিংয়ের তুলনায় আমি একটু অন্য রকম। মানিয়ে নিতে তো একটু সময় লাগবেই।’
তবে অধিনায়ক হিসেবে সতীর্থদের জন্য নিজের দরজাটা সব সময় খোলা রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্লার্ক, ‘তাদের যখন যা প্রয়োজন হবে আমাকে বলতে পারে। দিনের ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহের ৭ দিন আমার কাছে আসতে পারে যে কেউ। আমাকে ফোন করতে পারে। আমি চাই, সবাই এই স্বাধীনতাটুকু নিক, সে যে-ই হোক। ক্রিকেটটা সবাই ভালোবাসা নিয়ে খেলুক।’
পন্টিং অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ সফরের আগেই। আর বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরে অস্ট্রেলিয়া দল ছেড়ে যাবেন দলের দীর্ঘদিনের টিম ম্যানেজার স্টিভ বার্নার্ড। ১৯৯৮ সালের ভারত সফর থেকে অস্ট্রেলিয়া দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা বার্নার্ডের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে বাংলাদেশ সিরিজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে। নতুন ম্যানেজার করা হয়েছে ইংল্যান্ড রাগবি ইউনিয়নের সাবেক ম্যানেজার গেভিন ডোভিকে। বাংলাদেশ সফরে বার্নার্ডের সঙ্গে আসবেন তিনিও।
‘ক্লার্ক কেমন অধিনায়ক হবেন’—এই প্রশ্নের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া দলে ঘুরছে ‘ডোভি কেমন ম্যানেজার হবেন’ প্রশ্নটাও। তবে নিউ সাউথ ওয়েলসের সাবেক ফাস্ট বোলার এবং সাবেক নির্বাচক বার্নার্ডকে নিশ্চিতভাবেই মিস করবে অস্ট্রেলিয়া দল। ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতার সঙ্গে সাংগঠনিক দক্ষতার দারুণ মিল ঘটিয়ে টিম ম্যানেজার হিসেবে রীতিমতো কিংবদন্তির পর্যায়ে বার্নার্ড। ক্লার্ক নিজেও বলেছেন, ‘অসাধারণ একজন টিম ম্যানেজার উনি। তিনি এতটাই গোছানো যে আমাদের জীবনটাই করে দিয়েছিলেন সহজ। খেলা সম্পর্কে তাঁর জ্ঞানও দারুণ। আমার ধারণা, তিনি চলে যাওয়ার পরই সবাই বুঝতে পারবে কী দারুণ একটা ক্রিকেট-মস্তিষ্ক ছিল তাঁর।’ ক্লার্কের মতো আরও অনেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারেরই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুর সাক্ষী তিনি। ‘শুধু আমিই নই, অস্ট্রেলিয়ার অনেক ক্রিকেটারই তাঁর কাছ থেকে দারুণ সাহায্য পেয়েছে’—বলেছেন নতুন অধিনায়ক।
সিডনি বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশে পৌঁছে গেছেন কাল রাতেই। এ পর্যন্তও হয়তো অধিনায়কত্বের উত্তাপ তাঁর গায়ে লাগতে শুরু করেনি। ক্লার্ক সেটির জন্য অপেক্ষায় থাকবেন ৯ এপ্রিলের প্রথম ওয়ানডেটা পর্যন্ত, ‘এখনই অধিনায়কত্বের ভেতর ঢুকে গেছি মনে হয় না। তবে আমি রোমাঞ্চিত। আমি জানি, আমার সামনে কী অপেক্ষা করছে এবং আমার লক্ষ্যটা খুবই সহজ-সরল। বাংলাদেশে গিয়ে আমরা সিরিজ জিততে চাই। সবার সামনে দিয়ে যখন আমি দল নিয়ে মাঠে ফিল্ডিং করতে ঢুকব, হয়তো তখনই সত্যিকার অর্থে ঢুকে পড়ব অধিনায়কত্বের ভেতর।
No comments