প্রার্থিতা নিয়ে সহিংসতা
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এগিয়ে আসছে আর প্রার্থিতা নিয়ে বিরোধ ও সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটতে শুরু করেছে। শনিবার এ ধরনের এক ঘটনায় খুলনায় খুন হয়েছেন ছাত্রলীগের এক নেতা। নির্বাচন সামনে রেখে এ ধরনের সহিংসতা নির্বাচনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমান সময়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে তাই বাড়তি মনোযোগ জরুরি হয়ে পড়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন তাত্ত্বিকভাবে অরাজনৈতিক; কিন্তু বাস্তবে রাজনৈতিক দলগুলোই এই নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ে মূল ভূমিকা পালন করে। প্রার্থীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন দল থেকে একধরনের ‘মনোনয়ন’ পেয়ে থাকেন। দলের সমর্থন তাই প্রার্থীদের জন্য খুবই জরুরি একটি বিষয়। খুলনার তেরখাদা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত দুই প্রার্থীর মধ্যে। আগ্নেয়াস্ত্রসহ নানা কিছুই ব্যবহূত হয়েছে এই সংঘর্ষে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান ফকির নিহত হয়েছেন গুলিবিদ্ধ হয়ে। সরকারি দলের লোকজন যদি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এ ধরনের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন, তখন বিষয়টি বাড়তি উদ্বেগের সৃষ্টি করে। কারণ, এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষে অধিকাংশ সময় যথাযথ ভূমিকা পালন করা কঠিন হয়ে পড়ে।
আওয়ামী লীগ-সমর্থিত যে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে, তাঁদের দুজনের পেছনে রয়েছে দলটির বড় দুই নেতার সমর্থন। খুলনা-৪ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ মোল্লা জালাল উদ্দিনের সমর্থন রয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান ও তেরখাদা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের প্রতি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের কর্মী এফ এম ওয়াহিদুজ্জামানকে সমর্থন করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা রশিদী সুজা। শনিবার যে সংঘর্ষ এবং ছাত্রলীগের নেতার প্রাণহানির ঘটনা ঘটল, তার দায় আওয়ামী লীগের এই বড় নেতারা এড়াতে পারেন না। নিজ দলের দুই প্রার্থীর প্রতি যেহেতু তাঁদের সমর্থন রয়েছে, তাই তাঁদের উচিত ছিল কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা। কিন্তু তাঁরা এ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি।
স্থানীয় পর্যায়ের এই নির্বাচনে দলগুলোর আঞ্চলিক নেতারা কী ভূমিকা পালন করবেন, সে ব্যাপারে কেন্দ্রের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা উচিত। আওয়ামী লীগের দুই নেতার দুই প্রার্থীকে সমর্থন এবং এই নিয়ে সংঘর্ষ ও পরিণতিতে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু—এর কী ব্যাখ্যা দেবে দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব?
দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এ ধরনের সহিংস সংঘাতের ঘটনাকে গুরুতর আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করে যাঁরাই এর সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। সরকারি দলের কোনো নেতা যাতে এ ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব খাটাতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করব, প্রশাসন এ ব্যাপারে তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে।
ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন তাত্ত্বিকভাবে অরাজনৈতিক; কিন্তু বাস্তবে রাজনৈতিক দলগুলোই এই নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ে মূল ভূমিকা পালন করে। প্রার্থীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন দল থেকে একধরনের ‘মনোনয়ন’ পেয়ে থাকেন। দলের সমর্থন তাই প্রার্থীদের জন্য খুবই জরুরি একটি বিষয়। খুলনার তেরখাদা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত দুই প্রার্থীর মধ্যে। আগ্নেয়াস্ত্রসহ নানা কিছুই ব্যবহূত হয়েছে এই সংঘর্ষে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান ফকির নিহত হয়েছেন গুলিবিদ্ধ হয়ে। সরকারি দলের লোকজন যদি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এ ধরনের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন, তখন বিষয়টি বাড়তি উদ্বেগের সৃষ্টি করে। কারণ, এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষে অধিকাংশ সময় যথাযথ ভূমিকা পালন করা কঠিন হয়ে পড়ে।
আওয়ামী লীগ-সমর্থিত যে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে, তাঁদের দুজনের পেছনে রয়েছে দলটির বড় দুই নেতার সমর্থন। খুলনা-৪ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ মোল্লা জালাল উদ্দিনের সমর্থন রয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান ও তেরখাদা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের প্রতি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের কর্মী এফ এম ওয়াহিদুজ্জামানকে সমর্থন করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা রশিদী সুজা। শনিবার যে সংঘর্ষ এবং ছাত্রলীগের নেতার প্রাণহানির ঘটনা ঘটল, তার দায় আওয়ামী লীগের এই বড় নেতারা এড়াতে পারেন না। নিজ দলের দুই প্রার্থীর প্রতি যেহেতু তাঁদের সমর্থন রয়েছে, তাই তাঁদের উচিত ছিল কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা। কিন্তু তাঁরা এ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি।
স্থানীয় পর্যায়ের এই নির্বাচনে দলগুলোর আঞ্চলিক নেতারা কী ভূমিকা পালন করবেন, সে ব্যাপারে কেন্দ্রের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা উচিত। আওয়ামী লীগের দুই নেতার দুই প্রার্থীকে সমর্থন এবং এই নিয়ে সংঘর্ষ ও পরিণতিতে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু—এর কী ব্যাখ্যা দেবে দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব?
দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এ ধরনের সহিংস সংঘাতের ঘটনাকে গুরুতর আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করে যাঁরাই এর সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। সরকারি দলের কোনো নেতা যাতে এ ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব খাটাতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করব, প্রশাসন এ ব্যাপারে তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে।
No comments