আফ্রিকান ইউনিয়নের বিরোধিতা রাশিয়া, চীন ও ভারতের উদ্বেগ
লিবিয়ায় বহুজাতিক বাহিনীর বিমান হামলায় চীন, রাশিয়া ও ভারত উদ্বেগ ও দুঃখ প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) শীর্ষ পর্যায়ের পাঁচ সদস্য দেশের একটি প্যানেল এ হামলার সরাসরি বিরোধিতা করে বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছে, একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশে বিদেশি সামরিক হস্তক্ষেপ তারা মেনে নিতে পারছে না।
আলাদাভাবে দেওয়া বিবৃতিতে চীন, ভারত ও রাশিয়া বলেছে, এ ঘটনা দুঃখজনক। তারা এতে উদ্বিগ্ন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বেইজিং লিবিয়া পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং নৈতিকভাবে এ হামলার বিরোধিতা করছে। চীন ওই বিবৃতিতে কোনো অস্ত্রবিরতির কথা উল্লেখ করেনি। তবে তারা বলেছে, তারা উত্তর আফ্রিকার ওই দেশটির ‘সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, ঐক্য ও ভৌগোলিক স্বাতন্ত্র্যকে’ শ্রদ্ধা করে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আশা করছি, বেসামরিক লোকজনের সংঘর্ষজনিত প্রাণহানির ঘটনা এড়িয়ে যত দ্রুত সম্ভব লিবিয়া তার স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে।’
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, লিবিয়ায় যে বিমান হামলা চালানো হচ্ছে তাতে ভারত দুঃখিত ও উদ্বিগ্ন। এমনিতেই লিবিয়ার মানবিক পরিস্থিতি সংকটের মুখে পড়েছে। এ হামলা সে সংকটকে যাতে আরও বাড়িয়ে না দেয়, সে ব্যাপারে ভারত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মনযোগী হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আলেকজান্ডার লুকাশেভিচ বিবৃতিতে বলেছেন, তাঁরা চান লিবিয়ায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রক্তপাত বন্ধ করা হোক। তাঁরা চান লিবিয়াবাসী অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে একটি স্থায়ী সমাধানে পৌঁছাতে সক্ষম হোক।
এদিকে এইউ প্যানেলভুক্ত দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা, কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ডেনিস সাসৌ নোগেসো, মালির প্রেসিডেন্ট আমাদৌ তৌমানি তৌরি, উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োভেরি মুসেভেনি ও মৌরিতানিয়ার প্রেসিডেন্ট ওউল আবদেল আজিজ লিবিয়া পরিস্থিতি নিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দেন।
মৌরিতানিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেল আজিজ বলেছেন, তাঁরা লিবিয়ার সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক স্বাধীনতাকে সম্মান করেন। এ কারণে তাঁরা লিবিয়ায় বিদেশি বাহিনীর হামলাকে প্রত্যাখ্যান করছেন। তাঁরা চান, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বহুজাতিক হামলা বন্ধ করা হোক।
জাপানের সমর্থন: এ দিকে লিবিয়ায় আন্তর্জাতিক হামলার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে জাপান। পাশাপাশি দেশটি গাদ্দাফিকে বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত গ্রহণেরও আহবান জানিয়েছে। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকিয়াকি মাতসুমোতো গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৯৭৩ সালের প্রস্তাব অনুযায়ী জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলো যে পদক্ষেপ নিয়েছে তার প্রতি জাপান সরকার সমর্থন ব্যক্ত করছে।’ তিনি বলেন, ‘জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতা অব্যাহত রাখায় আমরা লিবীয় কর্তৃপক্ষের তীব্র নিন্দা এবং যত দ্রুত সম্ভব একটি যথাযথ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে তাদেরকে জোরালো আহবান জানাচ্ছি।’
আলাদাভাবে দেওয়া বিবৃতিতে চীন, ভারত ও রাশিয়া বলেছে, এ ঘটনা দুঃখজনক। তারা এতে উদ্বিগ্ন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বেইজিং লিবিয়া পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং নৈতিকভাবে এ হামলার বিরোধিতা করছে। চীন ওই বিবৃতিতে কোনো অস্ত্রবিরতির কথা উল্লেখ করেনি। তবে তারা বলেছে, তারা উত্তর আফ্রিকার ওই দেশটির ‘সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, ঐক্য ও ভৌগোলিক স্বাতন্ত্র্যকে’ শ্রদ্ধা করে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আশা করছি, বেসামরিক লোকজনের সংঘর্ষজনিত প্রাণহানির ঘটনা এড়িয়ে যত দ্রুত সম্ভব লিবিয়া তার স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে।’
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, লিবিয়ায় যে বিমান হামলা চালানো হচ্ছে তাতে ভারত দুঃখিত ও উদ্বিগ্ন। এমনিতেই লিবিয়ার মানবিক পরিস্থিতি সংকটের মুখে পড়েছে। এ হামলা সে সংকটকে যাতে আরও বাড়িয়ে না দেয়, সে ব্যাপারে ভারত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মনযোগী হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আলেকজান্ডার লুকাশেভিচ বিবৃতিতে বলেছেন, তাঁরা চান লিবিয়ায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রক্তপাত বন্ধ করা হোক। তাঁরা চান লিবিয়াবাসী অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে একটি স্থায়ী সমাধানে পৌঁছাতে সক্ষম হোক।
এদিকে এইউ প্যানেলভুক্ত দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা, কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ডেনিস সাসৌ নোগেসো, মালির প্রেসিডেন্ট আমাদৌ তৌমানি তৌরি, উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োভেরি মুসেভেনি ও মৌরিতানিয়ার প্রেসিডেন্ট ওউল আবদেল আজিজ লিবিয়া পরিস্থিতি নিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দেন।
মৌরিতানিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেল আজিজ বলেছেন, তাঁরা লিবিয়ার সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক স্বাধীনতাকে সম্মান করেন। এ কারণে তাঁরা লিবিয়ায় বিদেশি বাহিনীর হামলাকে প্রত্যাখ্যান করছেন। তাঁরা চান, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বহুজাতিক হামলা বন্ধ করা হোক।
জাপানের সমর্থন: এ দিকে লিবিয়ায় আন্তর্জাতিক হামলার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে জাপান। পাশাপাশি দেশটি গাদ্দাফিকে বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত গ্রহণেরও আহবান জানিয়েছে। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকিয়াকি মাতসুমোতো গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৯৭৩ সালের প্রস্তাব অনুযায়ী জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলো যে পদক্ষেপ নিয়েছে তার প্রতি জাপান সরকার সমর্থন ব্যক্ত করছে।’ তিনি বলেন, ‘জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতা অব্যাহত রাখায় আমরা লিবীয় কর্তৃপক্ষের তীব্র নিন্দা এবং যত দ্রুত সম্ভব একটি যথাযথ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে তাদেরকে জোরালো আহবান জানাচ্ছি।’
No comments