জাপানের অর্থনীতিতে টালমাটাল অবস্থা
ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে জাপানে পারমাণবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। আর এসবের সমন্বিত প্রভাবে দেশটির অর্থনীতি এখন টালমাটাল হয়ে পড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জের নিক্কি-২২৫ সূচক সাড়ে ১০ শতাংশ পড়ে গেছে। এটি ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসের বিশ্ব আর্থিক সংকটের পর সবচেয়ে বেশি হারে পতন। অবশ্য দিনের একপর্যায়ে সাড়ে ১৪ শতাংশ পড়ে গিয়েছিল।
ফলে শুক্রবারের পর দুই কার্যদিবসে বাজার থেকে ৬২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার হাওয়া হয়ে গেছে।
শেয়ারবাজারসহ গোটা আর্থিক খাতে আতঙ্ক রোধে জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক অব জাপান গতকাল দেশের ব্যাংক-ব্যবস্থায় নয় হাজার ৮০০ কোটি ডলার দিয়েছে। আর সোমবার দিয়েছে ১৮ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।
অর্থনীতিবিদদের প্রাথমিক প্রাক্কলন অনুসারে, ভূমিকম্প ও সুনামির ফলে শুধু পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসনের জন্য জাপানকে এক লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলার ব্যয় করতে হবে, যা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির প্রায় ৩ শতাংশ। তবে অনেকেই মনে করেন, এই ব্যয় ৫ শতাংশ হতে পারে।
জাপানের অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী কোরু ইয়োসানো জনগণকে আশ্বস্ত করার জন্য গতকাল বলেছেন, ‘জাপানের উৎপাদনশক্তি ও অর্থনীতির পতন ঘটেনি। আমি মনে করি, বাজারের বিভ্রান্তি দ্রুত কেটে যাবে।’
টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জ বন্ধ করে দেওয়ার মতো কারণ ঘটেনি উল্লেখ করে ইয়োসানো বলেন, অর্থনীতি ভালো অবস্থায় আছে।
অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নাডো বলেছেন, শেয়ারবাজারের ঘটনা ‘সাময়িক প্রতিক্রিয়া’।
জাপানের বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রাখায় বিশ্বজুড়ে মোটরগাড়ি, জাহাজ নির্মাণ ও প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানিগুলো আগামী দিনের সরবরাহ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
জাপান বিশ্বের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের এক-পঞ্চমাংশ জোগান দিয়ে থাকে। এর মধ্যে শুধু মেমোরি চিপসের ৪০ শতাংশ আসে জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশঙ্কা করছেন, ইলেকট্রনিক পণ্যসামগ্রীর সরবরাহে যতটা ঘাটতি দেখা দিতে পারে, এর চেয়ে বেশি ঘাটতি দেখা দেবে পরিবহন ও জ্বালানি খাতের পণ্যে। ভূমিকম্প ও সুনামিতে সমুদ্রবন্দরের অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পণ্য ও গাড়ি জাহাজীকরণে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর ফলে বিশ্ববাজারে এসব পণ্যসামগ্রীর দাম দ্রুত অনেক বেড়ে যেতে পারে।
জাপানের সংকট এশিয়াসহ বিশ্বের অন্য অঞ্চলগুলোকেও প্রভাবিত করছে। গতকাল এশিয়ার প্রায় সব কটি প্রধান শেয়ারবাজারেই পতন হয়েছে। তাইপে ও হংকং শেয়ারবাজারে যথাক্রমে ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ ও ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ হারে দরপতন ঘটেছে। সাংহাই ও সিউল স্টক এক্সচেঞ্জে যথাক্রমে ১ দশমিক ৪১ শতাংশ ও ২ দশমিক ৪০ শতাংশ হারে পতন ঘটেছে।
এ ছাড়া দরপতন ঘটেছে সিঙ্গাপুর, সিডনি, জাকার্তা, কুয়ালালামপুর ও ব্যাংককেও।
জাপানের শিল্প উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে, এই আশঙ্কায় গতকাল ইউরোপের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে। মোটরগাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার অধিক হারে পড়ে গেছে।
সোমবার জাপানি নয়, এমন মোটরগাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারদর বেড়েছিল এই প্রত্যাশায় যে তারা জাপানি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সরবরাহ-ঘাটতির সুযোগে বাজারে ভালো ব্যবসা করবে।
কিন্তু মঙ্গলবারই পরিষ্কার হয়ে যায় যে এসব প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলোই গাড়ির যন্ত্রাংশের জন্য জাপানি সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। ফলে মঙ্গলবার আর এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়েনি।
এদিকে গতকাল ডলারের বিপরীতে জাপানি মুদ্রা ইয়েন শক্তিশালী হয়েছে। দিনের একপর্যায়ে প্রতি ডলারের বিনিময় দর ৮১ দশমিক ৪০ ইয়েনে উন্নীত হয়, যা দিনের শেষে ৮১ দশমিক ৬৫ ইয়েনে স্থির হয়।
বিপর্যস্ত দেশের পুনর্গঠন কার্যক্রমের অর্থায়নে বিমা ও নির্মাণপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জাপানি প্রতিষ্ঠান পুনরায় ইয়েন কিনে নিতে আরম্ভ করায় ইয়েন শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এতে নতুন আরেক শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, শক্তিশালী ইয়েন এক দিকে জাপানের রপ্তানি-আয়কে তুলনামূলকভাবে কমিয়ে দেবে। অন্যদিকে জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলো যখন ভিন দেশ থেকে মুনাফা স্বদেশে প্রত্যাবাসন করবে, তখন তাদের প্রকৃত মুনাফা কমে যাবে।
গতকাল মঙ্গলবার টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জের নিক্কি-২২৫ সূচক সাড়ে ১০ শতাংশ পড়ে গেছে। এটি ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসের বিশ্ব আর্থিক সংকটের পর সবচেয়ে বেশি হারে পতন। অবশ্য দিনের একপর্যায়ে সাড়ে ১৪ শতাংশ পড়ে গিয়েছিল।
ফলে শুক্রবারের পর দুই কার্যদিবসে বাজার থেকে ৬২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার হাওয়া হয়ে গেছে।
শেয়ারবাজারসহ গোটা আর্থিক খাতে আতঙ্ক রোধে জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক অব জাপান গতকাল দেশের ব্যাংক-ব্যবস্থায় নয় হাজার ৮০০ কোটি ডলার দিয়েছে। আর সোমবার দিয়েছে ১৮ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।
অর্থনীতিবিদদের প্রাথমিক প্রাক্কলন অনুসারে, ভূমিকম্প ও সুনামির ফলে শুধু পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসনের জন্য জাপানকে এক লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলার ব্যয় করতে হবে, যা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির প্রায় ৩ শতাংশ। তবে অনেকেই মনে করেন, এই ব্যয় ৫ শতাংশ হতে পারে।
জাপানের অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী কোরু ইয়োসানো জনগণকে আশ্বস্ত করার জন্য গতকাল বলেছেন, ‘জাপানের উৎপাদনশক্তি ও অর্থনীতির পতন ঘটেনি। আমি মনে করি, বাজারের বিভ্রান্তি দ্রুত কেটে যাবে।’
টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জ বন্ধ করে দেওয়ার মতো কারণ ঘটেনি উল্লেখ করে ইয়োসানো বলেন, অর্থনীতি ভালো অবস্থায় আছে।
অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নাডো বলেছেন, শেয়ারবাজারের ঘটনা ‘সাময়িক প্রতিক্রিয়া’।
জাপানের বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রাখায় বিশ্বজুড়ে মোটরগাড়ি, জাহাজ নির্মাণ ও প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানিগুলো আগামী দিনের সরবরাহ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
জাপান বিশ্বের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের এক-পঞ্চমাংশ জোগান দিয়ে থাকে। এর মধ্যে শুধু মেমোরি চিপসের ৪০ শতাংশ আসে জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশঙ্কা করছেন, ইলেকট্রনিক পণ্যসামগ্রীর সরবরাহে যতটা ঘাটতি দেখা দিতে পারে, এর চেয়ে বেশি ঘাটতি দেখা দেবে পরিবহন ও জ্বালানি খাতের পণ্যে। ভূমিকম্প ও সুনামিতে সমুদ্রবন্দরের অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পণ্য ও গাড়ি জাহাজীকরণে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর ফলে বিশ্ববাজারে এসব পণ্যসামগ্রীর দাম দ্রুত অনেক বেড়ে যেতে পারে।
জাপানের সংকট এশিয়াসহ বিশ্বের অন্য অঞ্চলগুলোকেও প্রভাবিত করছে। গতকাল এশিয়ার প্রায় সব কটি প্রধান শেয়ারবাজারেই পতন হয়েছে। তাইপে ও হংকং শেয়ারবাজারে যথাক্রমে ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ ও ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ হারে দরপতন ঘটেছে। সাংহাই ও সিউল স্টক এক্সচেঞ্জে যথাক্রমে ১ দশমিক ৪১ শতাংশ ও ২ দশমিক ৪০ শতাংশ হারে পতন ঘটেছে।
এ ছাড়া দরপতন ঘটেছে সিঙ্গাপুর, সিডনি, জাকার্তা, কুয়ালালামপুর ও ব্যাংককেও।
জাপানের শিল্প উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে, এই আশঙ্কায় গতকাল ইউরোপের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে। মোটরগাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার অধিক হারে পড়ে গেছে।
সোমবার জাপানি নয়, এমন মোটরগাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারদর বেড়েছিল এই প্রত্যাশায় যে তারা জাপানি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সরবরাহ-ঘাটতির সুযোগে বাজারে ভালো ব্যবসা করবে।
কিন্তু মঙ্গলবারই পরিষ্কার হয়ে যায় যে এসব প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলোই গাড়ির যন্ত্রাংশের জন্য জাপানি সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। ফলে মঙ্গলবার আর এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়েনি।
এদিকে গতকাল ডলারের বিপরীতে জাপানি মুদ্রা ইয়েন শক্তিশালী হয়েছে। দিনের একপর্যায়ে প্রতি ডলারের বিনিময় দর ৮১ দশমিক ৪০ ইয়েনে উন্নীত হয়, যা দিনের শেষে ৮১ দশমিক ৬৫ ইয়েনে স্থির হয়।
বিপর্যস্ত দেশের পুনর্গঠন কার্যক্রমের অর্থায়নে বিমা ও নির্মাণপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জাপানি প্রতিষ্ঠান পুনরায় ইয়েন কিনে নিতে আরম্ভ করায় ইয়েন শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এতে নতুন আরেক শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, শক্তিশালী ইয়েন এক দিকে জাপানের রপ্তানি-আয়কে তুলনামূলকভাবে কমিয়ে দেবে। অন্যদিকে জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলো যখন ভিন দেশ থেকে মুনাফা স্বদেশে প্রত্যাবাসন করবে, তখন তাদের প্রকৃত মুনাফা কমে যাবে।
No comments