নিরাপদ স্থানে যেতে তোড়জোড়
পরিবারের সবাইকে নিয়ে তৈরি হয়ে যান। চট করে সেরে ফেলুন গোছগাছ। গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, স্মৃতিময় জিনিসগুলো সঙ্গে নিন। তারপর চলে যান নিরাপদ স্থানে।’
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট টুইটারে এসব কথা লিখেছেন একজন ব্যবহারকারী। ভূমিকম্প-পরবর্তী সুনামির আঘাত সামলে যারা জীবিত আছে, জাপানের সেই সব দুর্গত মানুষের উদ্দেশে তাঁর এই সতর্কবাণী।
জাপানে পরমাণু চুল্লিবিষয়ক দুর্ঘটনা গতকাল সে দেশে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি করে। ১৯৮৬ সালে ইউক্রেনের চেরনোবিলে ঘটা পারমাণবিক দুর্ঘটনার পর জাপানের এই দুর্ঘটনাকে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে মনে করা হচ্ছে।
এই সতর্কবাণীর পর পরমাণুর তেজস্ক্রিয়তা থেকে রক্ষা পেতে মরিয়া জাপানের অগণিত মানুষ। নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে শুরু হয় ব্যাপক তোড়জোড়। প্রত্যেকেই নিজে যেমন এ ব্যাপারে সতর্ক হয়, তেমনি অন্যদেরও পরিস্থিতির ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্ক করে। এ ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে তাদের তৎপরতা ছিল লক্ষণীয়।
ওই টুইটার ব্যবহারকারী আরও লেখেন, ‘দক্ষিণে তাইওয়ানে চলে যান আপনারা। পারলে অস্ট্রেলিয়ায় যান। আর যদি জাপান ছেড়ে যেতে না-ই পারেন, তাহলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যত দূর যাওয়া যায়, চলে যান। দুর্ঘটনাকবলিত এলাকা থেকে যতটা দূরে থাকা যায়, থাকুন।’
গতকাল দিনভর ইন্টারনেটে এ ধরনের বার্তা জাপানজুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়। নিরাপদ স্থানে যেতে তাৎক্ষণিক প্রস্তুতির ধুম পড়ে যায়। দোকানগুলোতে দ্রুত ফুরিয়ে যায় ফ্ল্যাশলাইট, বেতারযন্ত্র, মোম ও ঘুমানোর জন্য স্লিপিংব্যাগের মতো দরকারি জিনিস। একজন টুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, ‘আমি তিনটি বড় ট্যাংকিতে পানি ভরে রেখেছি। আছে এক ট্যাংকি গ্যাস। একটি স্নানাধারও (বাথটাব) পানিভর্তি করেছি। পানি ও গ্যাসের সংকট দেখা দিলে কাজে লাগবে এই সঞ্চয়।’
এদিকে জাপান ছাড়তে বিমানবন্দরগুলোতে সে দেশের নাগরিক ও বিদেশিরা ক্রমে ভিড় করছে। নারিতায় টোকিওর প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের ভিড় বেড়েই চলেছে।
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট টুইটারে এসব কথা লিখেছেন একজন ব্যবহারকারী। ভূমিকম্প-পরবর্তী সুনামির আঘাত সামলে যারা জীবিত আছে, জাপানের সেই সব দুর্গত মানুষের উদ্দেশে তাঁর এই সতর্কবাণী।
জাপানে পরমাণু চুল্লিবিষয়ক দুর্ঘটনা গতকাল সে দেশে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি করে। ১৯৮৬ সালে ইউক্রেনের চেরনোবিলে ঘটা পারমাণবিক দুর্ঘটনার পর জাপানের এই দুর্ঘটনাকে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে মনে করা হচ্ছে।
এই সতর্কবাণীর পর পরমাণুর তেজস্ক্রিয়তা থেকে রক্ষা পেতে মরিয়া জাপানের অগণিত মানুষ। নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে শুরু হয় ব্যাপক তোড়জোড়। প্রত্যেকেই নিজে যেমন এ ব্যাপারে সতর্ক হয়, তেমনি অন্যদেরও পরিস্থিতির ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্ক করে। এ ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে তাদের তৎপরতা ছিল লক্ষণীয়।
ওই টুইটার ব্যবহারকারী আরও লেখেন, ‘দক্ষিণে তাইওয়ানে চলে যান আপনারা। পারলে অস্ট্রেলিয়ায় যান। আর যদি জাপান ছেড়ে যেতে না-ই পারেন, তাহলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যত দূর যাওয়া যায়, চলে যান। দুর্ঘটনাকবলিত এলাকা থেকে যতটা দূরে থাকা যায়, থাকুন।’
গতকাল দিনভর ইন্টারনেটে এ ধরনের বার্তা জাপানজুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়। নিরাপদ স্থানে যেতে তাৎক্ষণিক প্রস্তুতির ধুম পড়ে যায়। দোকানগুলোতে দ্রুত ফুরিয়ে যায় ফ্ল্যাশলাইট, বেতারযন্ত্র, মোম ও ঘুমানোর জন্য স্লিপিংব্যাগের মতো দরকারি জিনিস। একজন টুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, ‘আমি তিনটি বড় ট্যাংকিতে পানি ভরে রেখেছি। আছে এক ট্যাংকি গ্যাস। একটি স্নানাধারও (বাথটাব) পানিভর্তি করেছি। পানি ও গ্যাসের সংকট দেখা দিলে কাজে লাগবে এই সঞ্চয়।’
এদিকে জাপান ছাড়তে বিমানবন্দরগুলোতে সে দেশের নাগরিক ও বিদেশিরা ক্রমে ভিড় করছে। নারিতায় টোকিওর প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের ভিড় বেড়েই চলেছে।
No comments