শেয়ারবাজারে দরপতন
এক দিন ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর দেশের পুঁজিবাজারে গতকাল মঙ্গলবার নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এদিন দুই স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে। এর ফলে কমেছে মূল্যসূচক। সংশ্লিষ্টরা বিষয়টিকে দেখছেন বাজারের স্বাভাবিক আচরণ হিসেবে।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন আহমেদ খান বলেন, শেয়ারবাজারে ওঠানামা থাকবে এটাই স্বাভাবিক এবং বাজারের জন্য ইতিবাচক। তবে অতিরিক্ত ওঠানামাটা অস্বাভাবিকতার লক্ষণ।
ডিএসই গতকাল দিনভর সূচকের ওঠানামা ছিল চোখে পড়ার মতো। লেনদেনের শুরুতে স্টক এক্সচেঞ্জটির সাধারণ মূল্যসূচক ১০০ পয়েন্টের বেশি বেড়ে যায়। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যে সূচক সাত পয়েন্ট নেমে যায়। বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের পর থেকে সূচক আবার বাড়তে থাকে। এরপর কয়েকবার ওঠানামা করে সূচক। কিন্তু দিন শেষে ডিএসইর সাধারণ সূচক ১৪০ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৩১৮ পয়েন্টে দাঁড়ায়।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক ৪০৮ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ৭৮২ পয়েন্টে দাঁড়ায়। স্টক এক্সচেঞ্জটিতে গতকাল মোট ২০১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ১৩৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে চারটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। আর মোট আর্থিক লেনদেন হয়েছে ১৩৮ কোটি টাকার।
ডিএসইতে ২৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ১৮৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। মোট লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১৫০ কোটি টাকা, যা গতকালের চেয়ে নয় কোটি টাকা কম।
ডিএসইতে গতকাল লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল—বেক্সিমকো, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, আফতাব অটোমোবাইল, বেক্সটেক্স, ম্যাকসন স্পিনিং, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, কনফিডেন্স সিমেন্ট, শাইনপুকুর সিরামিক এবং আর এন স্পিনিং।
সবচেয়ে বেশি কমেছে প্রিমিয়ার ব্যাংকের শেয়ারের দাম। এ ছাড়া ইনটেক অনলাইন, এইচআর টেক্সটাইল, সমতা লেদার, গ্রামীণ মিউচুয়াল ফান্ড স্কিম-১, ইস্টার্ণ ব্যাংক, অলটেক্স, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও রহিমা ফুড দাম কমে যাওয়ার শীর্ষ ১০-এর তালিকায় রয়েছে।
নিম্নমুখী বাজারে গতকাল দাম বৃদ্ধিতে শীর্ষ অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাতের কোম্পানি সিএমসি কামাল। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি শেয়ারের দাম প্রায় ১০ শতাংশ বা ছয় টাকা ৮০ পয়সা বৃদ্ধি পায়। সারা দিন প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার ৭১ থেকে ৭৫ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে লেনদেন হয়। এ ছাড়া অ্যাকটিভ ফাইন, সিনোবাংলা, ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স, রূপালি ইনস্যুরেন্স, কাশেম ড্রাইসেল, মেঘনা সিমেন্ট, কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স, সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স ও তাক্কাফুল ইনস্যুরেন্স দাম বৃদ্ধিতে শীর্ষ ১০-এর তালিকায় রয়েছে।
৪০০ কোটি টাকা দিচ্ছে সোনালি ও জনতা: পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতার জন্য তারল্য বাড়াতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ‘বাংলাদেশ ফান্ড’-এ পৃথকভাবে ৪০০ কোটি টাকা দিচ্ছে সরকারি মালিকানাধীন দেশের বৃহত্তম দুই বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক লিমিটেড। তহবিলটিতে সোনালী ব্যাংক ২০০ ও জনতা ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেবে। গত সোমবার ব্যাংক দুটির পরিচালনা পর্ষদ ওই ফান্ডে অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনালী ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের সভায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী বাহারুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবীরসহ অন্যান্য পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, তহবিল গঠনের জন্য যখন প্রয়োজন হবে, তখনই এ অর্থ ছাড় করা হবে। একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন আহমেদ খান বলেন, শেয়ারবাজারে ওঠানামা থাকবে এটাই স্বাভাবিক এবং বাজারের জন্য ইতিবাচক। তবে অতিরিক্ত ওঠানামাটা অস্বাভাবিকতার লক্ষণ।
ডিএসই গতকাল দিনভর সূচকের ওঠানামা ছিল চোখে পড়ার মতো। লেনদেনের শুরুতে স্টক এক্সচেঞ্জটির সাধারণ মূল্যসূচক ১০০ পয়েন্টের বেশি বেড়ে যায়। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যে সূচক সাত পয়েন্ট নেমে যায়। বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের পর থেকে সূচক আবার বাড়তে থাকে। এরপর কয়েকবার ওঠানামা করে সূচক। কিন্তু দিন শেষে ডিএসইর সাধারণ সূচক ১৪০ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৩১৮ পয়েন্টে দাঁড়ায়।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক ৪০৮ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ৭৮২ পয়েন্টে দাঁড়ায়। স্টক এক্সচেঞ্জটিতে গতকাল মোট ২০১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ১৩৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে চারটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। আর মোট আর্থিক লেনদেন হয়েছে ১৩৮ কোটি টাকার।
ডিএসইতে ২৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ১৮৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। মোট লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১৫০ কোটি টাকা, যা গতকালের চেয়ে নয় কোটি টাকা কম।
ডিএসইতে গতকাল লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল—বেক্সিমকো, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, আফতাব অটোমোবাইল, বেক্সটেক্স, ম্যাকসন স্পিনিং, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, কনফিডেন্স সিমেন্ট, শাইনপুকুর সিরামিক এবং আর এন স্পিনিং।
সবচেয়ে বেশি কমেছে প্রিমিয়ার ব্যাংকের শেয়ারের দাম। এ ছাড়া ইনটেক অনলাইন, এইচআর টেক্সটাইল, সমতা লেদার, গ্রামীণ মিউচুয়াল ফান্ড স্কিম-১, ইস্টার্ণ ব্যাংক, অলটেক্স, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও রহিমা ফুড দাম কমে যাওয়ার শীর্ষ ১০-এর তালিকায় রয়েছে।
নিম্নমুখী বাজারে গতকাল দাম বৃদ্ধিতে শীর্ষ অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাতের কোম্পানি সিএমসি কামাল। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি শেয়ারের দাম প্রায় ১০ শতাংশ বা ছয় টাকা ৮০ পয়সা বৃদ্ধি পায়। সারা দিন প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার ৭১ থেকে ৭৫ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে লেনদেন হয়। এ ছাড়া অ্যাকটিভ ফাইন, সিনোবাংলা, ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স, রূপালি ইনস্যুরেন্স, কাশেম ড্রাইসেল, মেঘনা সিমেন্ট, কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স, সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স ও তাক্কাফুল ইনস্যুরেন্স দাম বৃদ্ধিতে শীর্ষ ১০-এর তালিকায় রয়েছে।
৪০০ কোটি টাকা দিচ্ছে সোনালি ও জনতা: পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতার জন্য তারল্য বাড়াতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ‘বাংলাদেশ ফান্ড’-এ পৃথকভাবে ৪০০ কোটি টাকা দিচ্ছে সরকারি মালিকানাধীন দেশের বৃহত্তম দুই বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক লিমিটেড। তহবিলটিতে সোনালী ব্যাংক ২০০ ও জনতা ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেবে। গত সোমবার ব্যাংক দুটির পরিচালনা পর্ষদ ওই ফান্ডে অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনালী ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের সভায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী বাহারুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবীরসহ অন্যান্য পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, তহবিল গঠনের জন্য যখন প্রয়োজন হবে, তখনই এ অর্থ ছাড় করা হবে। একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।
No comments