মনমোহন সিং সরকারের মধ্যেই একঘরে!
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করার বিষয়ে নিজ সরকারের মধ্যেই ‘একঘরে’ হয়ে পড়েছিলেন বলে উইকিলিকসের ফাঁস করা নথিতে দাবি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের দি হিন্দু পত্রিকা ওই নথির উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর জানিয়েছে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের আগস্টে ভারতের তৎকালীন জাতীয় প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা (বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর) এম কে নারায়ণনের সঙ্গে ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টিমোথি রোয়েমারের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের আলোচ্য বিষয় উল্লেখ করে রোয়েমার ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি তারবার্তা পাঠান। দি হিন্দু বলেছে, উইকিলিকসের হস্তগত হওয়া ওই তারবার্তার একটি কপি তাদের হাতেও এসেছে।
ওই প্রতিবেদনে পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি আলোচনার ব্যাপারে মনমোহনের আগ্রহ এবং এ বিষয়ে তাঁর সরকারের কর্মকর্তাদের বিরোধী মনোভাব তুলে ধরা হয়েছে। ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়।
তারবার্তায় বলা হয়েছে, মনমোহন সিং পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা পুনরায় শুরু করার ব্যাপারে আগ্রহী। অন্যদিকে এম কে নারায়ণন বরাবরই এর ঘোর বিরোধী ছিলেন।
ওয়াশিংটনে পাঠানো তারবার্তায় মার্কিন কূটনীতিক টিমোথি রোয়েমার বলেন, তাঁর সঙ্গে আলাপকালে নারায়ণন পাকিস্তানের সঙ্গে পুনরায় আলোচনা শুরু করার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের তীব্র সমালোচনা করেন। নারায়ণন প্রধানমন্ত্রীকে একজন ‘অ্যাকসিডেন্টাল পলিটিশিয়ান’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের অংশীদারিমূলক লক্ষ্য থাকতে পারে, কিন্তু তাঁদের তা নেই।
টিমোথি রোয়েমার তারবার্তায় বলেন, মনমোহনকে তাঁরা আগে নিজ দলের মধ্যে যতটা কোণঠাসা বলে মনে করতেন, নারায়ণনের সঙ্গে বৈঠকের পর তার চেয়ে অনেক বেশি কোণঠাসা মনে হয়েছে। তিনি বলেছেন, তাঁর মনে হয়েছে মনমোহন নিজ দলের মধ্যে একেবারে ‘একঘরে’ হয়ে পড়েছেন।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের আগস্টে ভারতের তৎকালীন জাতীয় প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা (বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর) এম কে নারায়ণনের সঙ্গে ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টিমোথি রোয়েমারের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের আলোচ্য বিষয় উল্লেখ করে রোয়েমার ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি তারবার্তা পাঠান। দি হিন্দু বলেছে, উইকিলিকসের হস্তগত হওয়া ওই তারবার্তার একটি কপি তাদের হাতেও এসেছে।
ওই প্রতিবেদনে পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি আলোচনার ব্যাপারে মনমোহনের আগ্রহ এবং এ বিষয়ে তাঁর সরকারের কর্মকর্তাদের বিরোধী মনোভাব তুলে ধরা হয়েছে। ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়।
তারবার্তায় বলা হয়েছে, মনমোহন সিং পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা পুনরায় শুরু করার ব্যাপারে আগ্রহী। অন্যদিকে এম কে নারায়ণন বরাবরই এর ঘোর বিরোধী ছিলেন।
ওয়াশিংটনে পাঠানো তারবার্তায় মার্কিন কূটনীতিক টিমোথি রোয়েমার বলেন, তাঁর সঙ্গে আলাপকালে নারায়ণন পাকিস্তানের সঙ্গে পুনরায় আলোচনা শুরু করার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের তীব্র সমালোচনা করেন। নারায়ণন প্রধানমন্ত্রীকে একজন ‘অ্যাকসিডেন্টাল পলিটিশিয়ান’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের অংশীদারিমূলক লক্ষ্য থাকতে পারে, কিন্তু তাঁদের তা নেই।
টিমোথি রোয়েমার তারবার্তায় বলেন, মনমোহনকে তাঁরা আগে নিজ দলের মধ্যে যতটা কোণঠাসা বলে মনে করতেন, নারায়ণনের সঙ্গে বৈঠকের পর তার চেয়ে অনেক বেশি কোণঠাসা মনে হয়েছে। তিনি বলেছেন, তাঁর মনে হয়েছে মনমোহন নিজ দলের মধ্যে একেবারে ‘একঘরে’ হয়ে পড়েছেন।
No comments