উপকূলজুড়ে এখনো লাশের স্তূপ প্রিয়জনকে খুঁজে ফিরছে মানুষ
জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলজুড়ে এখনো লাশের স্তূপ। প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প ও সুনামির পর চার দিন পেরিয়ে গেলেও গতকাল পর্যন্ত উপকূলের এখানে-সেখানে ছড়িয়ে ছিল মানুষের মৃতদেহ। এর মধ্যে অনেকে খুঁজে ফিরছে প্রিয়জনের মরদেহটি।
আসাহি শিম্বুন পত্রিকা গতকাল জানায়, হিগাসি-মাতসুশিমার নোবিরু জেলায় পাওয়া গেছে প্রায় ২০০ লাশ। সেখান থেকে স্বেচ্ছাসেবক জানান, কেউ প্রিয়জনের লাশ খুঁজে পেতে চাইলে তাঁকে একটার পর একটা লাশ ঘাঁটতে হবে।
সম্ভবত একজন মধ্যবয়সী পুরুষের লাশ ঝুলে ছিল পাঁচ মিটার উঁচুতে পাইনগাছের ডালে। ধূসর রঙের একটি জ্যাকেটে তাঁর মুখ ঢাকা ছিল।
৬৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি জানান, তিনি বৃদ্ধ মাকে খুঁজছেন। ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার পর সুনামি তাঁকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
৪১ বছর বয়সী কেনিচি ওগাতা খুঁজে ফিরছেন তাঁর স্ত্রী মিহোকে। ওগাতা জানান, শুক্রবার ভূমিকম্পের পরপরই তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন, খোসা ছাড়ানো অবস্থায় একটি আপেল টেবিলে রাখা আছে। তিনি তা খেয়ে স্ত্রীর সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন। লোকজনের কাছে জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রী একটি গাড়িয়ে নিয়ে নিরাপদ স্থানের উদ্দেশে চলে গেছেন। এ কথা শুনে কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছিলেন। খুঁজতে খুঁজতে গত সোমবার তিনি দেখেন, এক জায়গায় গাড়িটা উল্টে পড়ে আছে, ভেতরে কেউ নেই।
ওগাতা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, সুনামি তাঁকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে, কোনো আশা নেই।
এক বাড়িতে একটি ভগ্নাবশেষের মধ্যে পড়ে ছিল কয়েকটি লাশ। একজন পুরুষ পড়ে আছেন একটি সোফার ওপর। অন্য এক বয়সী নারীর দেহের অর্ধেকটা ঢেকে আছে ভাঙাচোরা জিনিসে। পাশে ভগ্নস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে লম্বা লাঠি দিয়ে লাশগুলো উল্টিয়ে দেখতে থাকে সেল্ফ-ডিফেন্স ফোর্সের (এসডিএফ) সদস্যরা। গত সোমবার তাঁদের একটি দল জীবিত উদ্ধার করে দুজন বয়সী ব্যক্তিকে। অন্য একটি দল একই দিন উদ্ধার করে ১৫ থেকে ২০টি লাশ।
এসডিএফ সদস্যরা লাশগুলো উদ্ধার করে কম্বল বা সাদা কাপড়ে জড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে হিগাসি-মাতসুশিমার একটি ব্যায়ামাগারে। সেটি এখন ব্যবহূত হচ্ছে অস্থায়ী শবাগার হিসেবে।
৫৫ বছর বয়সী নোবুও আতসুমি তাঁর ৭৯ বছর বয়সী মায়ের লাশ খুঁজে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। চোখ মুছতে মুছতে তিনি বলেন, ‘ভেবেছিলাম মা হয়তো বেঁচে গেছে। কিন্তু...’
তবে এর মধ্যেও উদ্ধারকারীরা জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যদি কাউকে জীবিত উদ্ধার করা যায়। ভূমিকম্পের চার দিন পর গতকাল মঙ্গলবার ওতসুচি শহরে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ৭০ বছর বয়সী এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা।
আসাহি শিম্বুন পত্রিকা গতকাল জানায়, হিগাসি-মাতসুশিমার নোবিরু জেলায় পাওয়া গেছে প্রায় ২০০ লাশ। সেখান থেকে স্বেচ্ছাসেবক জানান, কেউ প্রিয়জনের লাশ খুঁজে পেতে চাইলে তাঁকে একটার পর একটা লাশ ঘাঁটতে হবে।
সম্ভবত একজন মধ্যবয়সী পুরুষের লাশ ঝুলে ছিল পাঁচ মিটার উঁচুতে পাইনগাছের ডালে। ধূসর রঙের একটি জ্যাকেটে তাঁর মুখ ঢাকা ছিল।
৬৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি জানান, তিনি বৃদ্ধ মাকে খুঁজছেন। ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার পর সুনামি তাঁকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
৪১ বছর বয়সী কেনিচি ওগাতা খুঁজে ফিরছেন তাঁর স্ত্রী মিহোকে। ওগাতা জানান, শুক্রবার ভূমিকম্পের পরপরই তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন, খোসা ছাড়ানো অবস্থায় একটি আপেল টেবিলে রাখা আছে। তিনি তা খেয়ে স্ত্রীর সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন। লোকজনের কাছে জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রী একটি গাড়িয়ে নিয়ে নিরাপদ স্থানের উদ্দেশে চলে গেছেন। এ কথা শুনে কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছিলেন। খুঁজতে খুঁজতে গত সোমবার তিনি দেখেন, এক জায়গায় গাড়িটা উল্টে পড়ে আছে, ভেতরে কেউ নেই।
ওগাতা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, সুনামি তাঁকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে, কোনো আশা নেই।
এক বাড়িতে একটি ভগ্নাবশেষের মধ্যে পড়ে ছিল কয়েকটি লাশ। একজন পুরুষ পড়ে আছেন একটি সোফার ওপর। অন্য এক বয়সী নারীর দেহের অর্ধেকটা ঢেকে আছে ভাঙাচোরা জিনিসে। পাশে ভগ্নস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে লম্বা লাঠি দিয়ে লাশগুলো উল্টিয়ে দেখতে থাকে সেল্ফ-ডিফেন্স ফোর্সের (এসডিএফ) সদস্যরা। গত সোমবার তাঁদের একটি দল জীবিত উদ্ধার করে দুজন বয়সী ব্যক্তিকে। অন্য একটি দল একই দিন উদ্ধার করে ১৫ থেকে ২০টি লাশ।
এসডিএফ সদস্যরা লাশগুলো উদ্ধার করে কম্বল বা সাদা কাপড়ে জড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে হিগাসি-মাতসুশিমার একটি ব্যায়ামাগারে। সেটি এখন ব্যবহূত হচ্ছে অস্থায়ী শবাগার হিসেবে।
৫৫ বছর বয়সী নোবুও আতসুমি তাঁর ৭৯ বছর বয়সী মায়ের লাশ খুঁজে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। চোখ মুছতে মুছতে তিনি বলেন, ‘ভেবেছিলাম মা হয়তো বেঁচে গেছে। কিন্তু...’
তবে এর মধ্যেও উদ্ধারকারীরা জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যদি কাউকে জীবিত উদ্ধার করা যায়। ভূমিকম্পের চার দিন পর গতকাল মঙ্গলবার ওতসুচি শহরে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ৭০ বছর বয়সী এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা।
No comments