ইরানেও ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভের আগুন, গ্রেপ্তার শতাধিক
মিসরের পর এবার বিদ্রোহ শুরু হয়েছে ইরানে। গত সোমবার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাজধানী তেহরানসহ বেশ কয়েকটি শহরে মিছিল বের করে। তেহরানে বিক্ষোভে পুলিশ বাধা দিলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এত একজন নিহত হয়। এ ছাড়া পুলিশের নয়জন সদস্যসহ আহত হয়েছে বেশ কিছু লোক। গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক ব্যক্তিকে।
ইরানের বিক্ষোভকারীদের প্রতি জোর সমর্থন ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে ইরানের পার্লামেন্টে মির হুসাইন মুসাভি, মেহেদি কারৌবিসহ বিরোধী দলের নেতাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আইনপ্রণেতারা। তাঁরা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েল বিরোধী দলের নেতাদের ব্যবহার করে এই বিক্ষোভের ঘটনা ঘটিয়েছে। স্পিকার আলী লারিজানি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ইরানের শত্রুদের দ্বারা বিপথগামী হয়ে ওই দুই নেতা জনগণকে খেপিয়ে তুলছেন। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘ওই দুই নেতা কীভাবে আমেরিকার ফাঁদে পা দিল?’
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন, মার্কিন প্রশাসন খুব স্পষ্টভাবে এবং সরাসরি বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করছে। তিনি বলেন, মিসরে অধিকার আদায়ে যা ঘটেছে, সেই একই অধিকার ইরানিদেরও রয়েছে।”
দেশটির আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানায়, গতকাল সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ মিসরের অভ্যুত্থানের প্রতি সংহতি জানাতে তেহরানের আজাদি স্কয়ারে জড়ো হয়। এটি একপর্যায়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পরিণত হয়। পরে বিক্ষোভ ইরানের ইস্পাহান, মাসহাদ, সিরাজ শহরসহ অন্যান্য স্থানেও ছড়িয়ে পড়ে।
ফার্স আরও জানায়, তেহরানে মিছিলকারীদের কেউ কেউ ‘স্বৈরাচারের মৃত্যু হোক’ বলে স্লোগান দেয়। তেহরান, ইস্পাহান, মাসহাদ ও সিরাজ শহরে জনসমাবেশ ও মিছিলের ওপর নিষেধজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিরোধী দলের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তাবাহিনী শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া মির হুসাইন মৌসাভিসহ শীর্ষস্থানীয় বিরোধী নেতাদের গৃহবন্দী করা হয়েছে।
দেশটির উপপুলিশপ্রধান আহমদ রেজা রাদান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলের নির্দেশে এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি একজনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় নয়জন নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন।
এর আগে মিসর ও তিউনিসিয়ায় বিদ্রোহের সমর্থনে ইরানের বিরোধীদলীয় নেতা মির হুসাইন মুসাভি ও অপর বিরোধী নেতা মেহেদি কারৌবি সমাবেশ করতে চেয়েছিলেন। এ জন্য সরকারের কাছে তাঁরা অনুমতিও চান। কিন্তু সরকার তাঁদের আবেদন নাকচ করে দেয়।
বাসিজ কমান্ডার রেজা নাঘদি বলেন, পশ্চিমের চরেরা তিউনিসিয়া ও মিসরের মতো ইরানেও বিদ্রোহের আগুন লাগাতে চায়। বিক্ষোভের আশঙ্কায় বিরোধীদলীয় নেতাদের এখন গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, মিসর ও তিউনিসিয়ার জনগণের প্রতি শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমর্থন ব্যক্ত করার অধিকার ইরানিদের রয়েছে।
ইরানের বিক্ষোভকারীদের প্রতি জোর সমর্থন ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে ইরানের পার্লামেন্টে মির হুসাইন মুসাভি, মেহেদি কারৌবিসহ বিরোধী দলের নেতাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আইনপ্রণেতারা। তাঁরা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েল বিরোধী দলের নেতাদের ব্যবহার করে এই বিক্ষোভের ঘটনা ঘটিয়েছে। স্পিকার আলী লারিজানি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ইরানের শত্রুদের দ্বারা বিপথগামী হয়ে ওই দুই নেতা জনগণকে খেপিয়ে তুলছেন। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘ওই দুই নেতা কীভাবে আমেরিকার ফাঁদে পা দিল?’
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন, মার্কিন প্রশাসন খুব স্পষ্টভাবে এবং সরাসরি বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করছে। তিনি বলেন, মিসরে অধিকার আদায়ে যা ঘটেছে, সেই একই অধিকার ইরানিদেরও রয়েছে।”
দেশটির আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানায়, গতকাল সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ মিসরের অভ্যুত্থানের প্রতি সংহতি জানাতে তেহরানের আজাদি স্কয়ারে জড়ো হয়। এটি একপর্যায়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পরিণত হয়। পরে বিক্ষোভ ইরানের ইস্পাহান, মাসহাদ, সিরাজ শহরসহ অন্যান্য স্থানেও ছড়িয়ে পড়ে।
ফার্স আরও জানায়, তেহরানে মিছিলকারীদের কেউ কেউ ‘স্বৈরাচারের মৃত্যু হোক’ বলে স্লোগান দেয়। তেহরান, ইস্পাহান, মাসহাদ ও সিরাজ শহরে জনসমাবেশ ও মিছিলের ওপর নিষেধজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিরোধী দলের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তাবাহিনী শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া মির হুসাইন মৌসাভিসহ শীর্ষস্থানীয় বিরোধী নেতাদের গৃহবন্দী করা হয়েছে।
দেশটির উপপুলিশপ্রধান আহমদ রেজা রাদান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলের নির্দেশে এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি একজনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় নয়জন নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন।
এর আগে মিসর ও তিউনিসিয়ায় বিদ্রোহের সমর্থনে ইরানের বিরোধীদলীয় নেতা মির হুসাইন মুসাভি ও অপর বিরোধী নেতা মেহেদি কারৌবি সমাবেশ করতে চেয়েছিলেন। এ জন্য সরকারের কাছে তাঁরা অনুমতিও চান। কিন্তু সরকার তাঁদের আবেদন নাকচ করে দেয়।
বাসিজ কমান্ডার রেজা নাঘদি বলেন, পশ্চিমের চরেরা তিউনিসিয়া ও মিসরের মতো ইরানেও বিদ্রোহের আগুন লাগাতে চায়। বিক্ষোভের আশঙ্কায় বিরোধীদলীয় নেতাদের এখন গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, মিসর ও তিউনিসিয়ার জনগণের প্রতি শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমর্থন ব্যক্ত করার অধিকার ইরানিদের রয়েছে।
No comments