একজন চন্দরপলের গল্প
ওয়ানডেতে আট হাজারেরও বেশি রান, টেস্টে নয় হাজার। এমন একজন ব্যাটসম্যান, তার পরও তাঁকে নিয়ে মাতামাতি হয় না। সব সময়ই প্রচারের আলো থেকে থাকেন অনেক দূরে। যশ-খ্যাতিতে যেন অস্বস্তি তাঁর! সাফল্যে তাঁর এক দশমাংশ হয়েও অনেকে যে রাতারাতি তারকা হয়ে উঠছেন, এ নিয়েও কোনো অভিযোগ নেই। শুধু জানেন, দলের ভীষণ বিপদে আরও একবার হাল ধরতে হবে তাঁকে। সত্যিই, হাতের ব্যাটটাকে তখন আর ব্যাট মনে হয় না। কখনোই দিশা না-হারানো সেই নাবিক শিবনারায়ণ চন্দরপল।
নিজের পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে এসেছেন। পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে এসেছেন জ্যাক ক্যালিসও। ক্যালিসকে নিয়ে প্রচারমাধ্যমের যতটা আগ্রহ, তার অর্ধেকটা কি চন্দরপলকে নিয়ে আছে? এসব নিয়ে মোটেও মাথা ঘামান না গায়ানার এই ৩৬ বছর বয়সী। জীবনের দর্শনটা তাঁর খুবই সরল। ক্রিকেটও খেলেন সরল দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। বিশ্বকাপে তাই তাঁর ভাবনাটাও যে তেমন হবে, তাতে আর বিস্ময়ের কী আছে।
‘অতীতকে অতীতের জায়গায় রাখুন। আপনাকে তাকাতে হবে সামনের দিকে। মনে করতে হবে, পরের ম্যাচটি সম্পূর্ণ নতুন একটা ম্যাচ। এরপর এগিয়ে যেতে হবে। আমি জানি, আমরা কী পেরেছি, কী পারিনি। সময় এসেছে যেটি পারিনি, সেটি করে দেখানোর’—ক্রিকইনফোকে নিজের বিশ্বকাপ লক্ষ্যের কথা জানিয়ে বলেছেন চন্দরপল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্ষয়িষ্ণু সময়ে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। ১৭ বছরের এই দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক উত্থান-পতন দেখেছেন। উত্থানের চেয়ে পতনের হারই ছিল যদিও বেশি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ গত ২৮ ওয়ানডেতে যেমন মাত্র ছয়টি ম্যাচ জিতেছে; চারটি জিম্বাবুয়ের, বাকি দুটি জয় এসেছে কানাডা আর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নেমে গেছে নয়ে, তাদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে।
চন্দরপল আশাবাদী মানুষ। সাম্প্রতিক ব্যর্থতায় তাই টলে যাচ্ছে না তাঁর আত্মবিশ্বাস, ‘আমাদের ভালো সুযোগ আছে। আমরা খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। শ্রীলঙ্কায় এর মধ্যে তো অনেক ম্যাচও খেলেছি। দলে এমন কিছু তরুণ আছে, যারা ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত। আমরা যদি প্রাথমিক পর্ব জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে যাই, সেখান থেকে ধাপে ধাপে এগোনোর পরিকল্পনা করতে হবে। আমি তো আশা করি, আমরা ফাইনালও জিতব।’
দুবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের জন্যই খেলবে। সেই গৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য প্রস্তুত চন্দরপলও। তবে তিনি তাকিয়ে আছেন তরুণদের দিকে। জানেন, বিপ্লবে রক্ত সবার আগে দেয় তরুণেরাই। পাশাপাশি বাড়তি তাগিদ অনুভব করছেন তিনিও। এটা যে তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। ‘অবশ্যই আমি চাইব বিশ্বকাপ জিততে। ব্যক্তিগতভাবে আমার লক্ষ্য থাকবে বিশ্বকাপ জেতাতে দলকে সাহায্য করা’—সরল চন্দরপলের সহজ দর্শন।
নিজের পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে এসেছেন। পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে এসেছেন জ্যাক ক্যালিসও। ক্যালিসকে নিয়ে প্রচারমাধ্যমের যতটা আগ্রহ, তার অর্ধেকটা কি চন্দরপলকে নিয়ে আছে? এসব নিয়ে মোটেও মাথা ঘামান না গায়ানার এই ৩৬ বছর বয়সী। জীবনের দর্শনটা তাঁর খুবই সরল। ক্রিকেটও খেলেন সরল দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। বিশ্বকাপে তাই তাঁর ভাবনাটাও যে তেমন হবে, তাতে আর বিস্ময়ের কী আছে।
‘অতীতকে অতীতের জায়গায় রাখুন। আপনাকে তাকাতে হবে সামনের দিকে। মনে করতে হবে, পরের ম্যাচটি সম্পূর্ণ নতুন একটা ম্যাচ। এরপর এগিয়ে যেতে হবে। আমি জানি, আমরা কী পেরেছি, কী পারিনি। সময় এসেছে যেটি পারিনি, সেটি করে দেখানোর’—ক্রিকইনফোকে নিজের বিশ্বকাপ লক্ষ্যের কথা জানিয়ে বলেছেন চন্দরপল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্ষয়িষ্ণু সময়ে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। ১৭ বছরের এই দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক উত্থান-পতন দেখেছেন। উত্থানের চেয়ে পতনের হারই ছিল যদিও বেশি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ গত ২৮ ওয়ানডেতে যেমন মাত্র ছয়টি ম্যাচ জিতেছে; চারটি জিম্বাবুয়ের, বাকি দুটি জয় এসেছে কানাডা আর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নেমে গেছে নয়ে, তাদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে।
চন্দরপল আশাবাদী মানুষ। সাম্প্রতিক ব্যর্থতায় তাই টলে যাচ্ছে না তাঁর আত্মবিশ্বাস, ‘আমাদের ভালো সুযোগ আছে। আমরা খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। শ্রীলঙ্কায় এর মধ্যে তো অনেক ম্যাচও খেলেছি। দলে এমন কিছু তরুণ আছে, যারা ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত। আমরা যদি প্রাথমিক পর্ব জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে যাই, সেখান থেকে ধাপে ধাপে এগোনোর পরিকল্পনা করতে হবে। আমি তো আশা করি, আমরা ফাইনালও জিতব।’
দুবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের জন্যই খেলবে। সেই গৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য প্রস্তুত চন্দরপলও। তবে তিনি তাকিয়ে আছেন তরুণদের দিকে। জানেন, বিপ্লবে রক্ত সবার আগে দেয় তরুণেরাই। পাশাপাশি বাড়তি তাগিদ অনুভব করছেন তিনিও। এটা যে তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। ‘অবশ্যই আমি চাইব বিশ্বকাপ জিততে। ব্যক্তিগতভাবে আমার লক্ষ্য থাকবে বিশ্বকাপ জেতাতে দলকে সাহায্য করা’—সরল চন্দরপলের সহজ দর্শন।
No comments