কলিংউডের ‘প্রিয় বাংলাদেশ’
টেস্ট ছেড়েছেন সদ্যই। ফর্ম ভালো যাচ্ছিল না। ওয়ানডেতেও যে ফর্ম যাচ্ছে, তাতে হয়তো এখান থেকেও অবসর নিতে বাধ্য হবেন। ক্যারিয়ারের এক কঠিন সময়ের মুখোমুখি পল কলিংউড এসে পৌঁছেছেন তাঁর প্রিয় বাংলাদেশে।
প্রিয় বাংলাদেশ! না, কলিংউডের কোনো আত্মীয়স্বজন এই বদ্বীপের ১৬ কোটি মানুষের ভিড়ে নেই। বাংলাদেশ আসলে তাঁর প্রিয় প্রতিপক্ষ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাঁর ব্যাটিং গড় যে ক্যারিয়ার গড়ের প্রায় দ্বিগুণ—৬৭.১৬!
আর সব ভুলে কলিংউড সব সময় মনে রাখেন ২০০৫ ট্রেন্টব্রিজের ম্যাচটি। আশরাফুলের ধুন্ধুমার ব্যাটিং ছাপিয়ে যে ম্যাচে নায়ক হয়ে গিয়েছিলেন কলিংউড। ব্যাট হাতে ৮৬ বলে ১১২ রান, বল হাতে ৩১ রানে ৬ উইকেট! ওয়ানডে ইতিহাসেরই ম্যাচে সেরা অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের রেকর্ড।
কাল শেরাটনে কথাটা তুলতেই ধন্যবাদ দিয়ে বসলেন ব্রিটিশ ভদ্রলোক। গতবারও বাংলাদেশ সফরে চট্টগ্রাম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে এত ভালো করার কারণটা কী?
বিগলিত কলিংউডের সরল জবাব, ‘হ্যাঁ, বাংলাদেশের বিপক্ষে আমার বেশ কয়েকটি ভালো পারফরম্যান্স আছে। কিন্তু এর পেছনে কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ নেই। এমন তো নয় আমি মাঠে নামার আগে চিন্তা করে নামি, বাংলাদেশকে পেয়েছি, আবার ভালো খেলব। আসলে হয়ে যায়।’
সেই হয়ে যাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার বলেই মানছেন ওয়ানডেতে ৫০৩১ রান আর মিডিয়াম পেসে তোলা ১১০ উইকেটের মালিক। গত ১৯ ওয়ানডেতে মাত্র একটি ফিফটি করা কলিংউড অবশ্য নিজের ভবিষ্যৎ ভাগ্যের হাতে সঁপে দিতে রাজি নন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গত ওয়ানডে সিরিজে তাঁকে নেমে যেতে হয়েছে সাতে। ক্যারিয়ারের শেষবিন্দুতেই কি দাঁড়িয়ে আছেন আগামী মে মাসে ৩৬-এ পা দিতে চলা কলিংউড?
‘ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে এখনো অনেক কিছু দেওয়ার আছে আমার। জাতীয় দলে খেলাটা আমি এখনো উপভোগ করছি’—অবসরের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতটা উড়িয়ে দিলেন ‘কলি’।
এখনো ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক তিনিই। তাঁর নেতৃত্বেই গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ইংল্যান্ড; যেটি আইসিসির প্রথম কোনো টুর্নামেন্টে ক্রিকেটের আবিষ্কর্তাদের শিরোপা জয়। বড় টুর্নামেন্টে শিরোপা জিততে হলে কী করা চাই, সেই পরামর্শ তো কাছের মানুুষটার কাছ থেকেই নিতে পারেন অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস।
কলিংউড অবশ্য মনে করছেন, বিশ্বকাপ জেতার টিপস তাঁর কাছ থেকে না নিলেও চলবে দলের ওয়ানডে অধিনায়কের, ‘স্ট্রাউস দারুণ করছে। ওয়ানডেতেও ভালো নেতৃত্ব দিচ্ছে। গত দুই বছরে আমরা সত্যি বেশ কয়েকটি ভালো সিরিজ খেলেছি। এ ধরনের বড় টুর্নামেন্টে আসলে প্রস্তুতি আর আত্মবিশ্বাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। তা আমাদের আছে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় দলের মানসিকতায় ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে বলেও জানালেন। ‘আমরাও পারি’ বিশ্বাসটা জন্মেছে, ‘এর আগে আমরা কোনো আইসিসি ইভেন্ট জিততে পারিনি, এটা অবশ্যই সবার মাথায় কাজ করত। আশা করা যায়, তা আর করবে না। এই দলের অনেকেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিল। তাই সবাই খুব আত্মবিশ্বাসী থাকবে।’
সবচেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসের তাজা বাতাস দরকার তাঁরই। জাত লড়াকু কলিংউড অবশ্য প্রস্তুত। মাত্রই জন্ম নেওয়া মেয়ের জন্যও তো একটা উপহার নিয়ে যেতে হবে দেশে!
প্রিয় বাংলাদেশ! না, কলিংউডের কোনো আত্মীয়স্বজন এই বদ্বীপের ১৬ কোটি মানুষের ভিড়ে নেই। বাংলাদেশ আসলে তাঁর প্রিয় প্রতিপক্ষ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাঁর ব্যাটিং গড় যে ক্যারিয়ার গড়ের প্রায় দ্বিগুণ—৬৭.১৬!
আর সব ভুলে কলিংউড সব সময় মনে রাখেন ২০০৫ ট্রেন্টব্রিজের ম্যাচটি। আশরাফুলের ধুন্ধুমার ব্যাটিং ছাপিয়ে যে ম্যাচে নায়ক হয়ে গিয়েছিলেন কলিংউড। ব্যাট হাতে ৮৬ বলে ১১২ রান, বল হাতে ৩১ রানে ৬ উইকেট! ওয়ানডে ইতিহাসেরই ম্যাচে সেরা অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের রেকর্ড।
কাল শেরাটনে কথাটা তুলতেই ধন্যবাদ দিয়ে বসলেন ব্রিটিশ ভদ্রলোক। গতবারও বাংলাদেশ সফরে চট্টগ্রাম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে এত ভালো করার কারণটা কী?
বিগলিত কলিংউডের সরল জবাব, ‘হ্যাঁ, বাংলাদেশের বিপক্ষে আমার বেশ কয়েকটি ভালো পারফরম্যান্স আছে। কিন্তু এর পেছনে কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ নেই। এমন তো নয় আমি মাঠে নামার আগে চিন্তা করে নামি, বাংলাদেশকে পেয়েছি, আবার ভালো খেলব। আসলে হয়ে যায়।’
সেই হয়ে যাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার বলেই মানছেন ওয়ানডেতে ৫০৩১ রান আর মিডিয়াম পেসে তোলা ১১০ উইকেটের মালিক। গত ১৯ ওয়ানডেতে মাত্র একটি ফিফটি করা কলিংউড অবশ্য নিজের ভবিষ্যৎ ভাগ্যের হাতে সঁপে দিতে রাজি নন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গত ওয়ানডে সিরিজে তাঁকে নেমে যেতে হয়েছে সাতে। ক্যারিয়ারের শেষবিন্দুতেই কি দাঁড়িয়ে আছেন আগামী মে মাসে ৩৬-এ পা দিতে চলা কলিংউড?
‘ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে এখনো অনেক কিছু দেওয়ার আছে আমার। জাতীয় দলে খেলাটা আমি এখনো উপভোগ করছি’—অবসরের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতটা উড়িয়ে দিলেন ‘কলি’।
এখনো ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক তিনিই। তাঁর নেতৃত্বেই গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ইংল্যান্ড; যেটি আইসিসির প্রথম কোনো টুর্নামেন্টে ক্রিকেটের আবিষ্কর্তাদের শিরোপা জয়। বড় টুর্নামেন্টে শিরোপা জিততে হলে কী করা চাই, সেই পরামর্শ তো কাছের মানুুষটার কাছ থেকেই নিতে পারেন অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস।
কলিংউড অবশ্য মনে করছেন, বিশ্বকাপ জেতার টিপস তাঁর কাছ থেকে না নিলেও চলবে দলের ওয়ানডে অধিনায়কের, ‘স্ট্রাউস দারুণ করছে। ওয়ানডেতেও ভালো নেতৃত্ব দিচ্ছে। গত দুই বছরে আমরা সত্যি বেশ কয়েকটি ভালো সিরিজ খেলেছি। এ ধরনের বড় টুর্নামেন্টে আসলে প্রস্তুতি আর আত্মবিশ্বাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। তা আমাদের আছে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় দলের মানসিকতায় ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে বলেও জানালেন। ‘আমরাও পারি’ বিশ্বাসটা জন্মেছে, ‘এর আগে আমরা কোনো আইসিসি ইভেন্ট জিততে পারিনি, এটা অবশ্যই সবার মাথায় কাজ করত। আশা করা যায়, তা আর করবে না। এই দলের অনেকেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিল। তাই সবাই খুব আত্মবিশ্বাসী থাকবে।’
সবচেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসের তাজা বাতাস দরকার তাঁরই। জাত লড়াকু কলিংউড অবশ্য প্রস্তুত। মাত্রই জন্ম নেওয়া মেয়ের জন্যও তো একটা উপহার নিয়ে যেতে হবে দেশে!
No comments