শিক্ষানীতি ২০১০, পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি এবং জাতীয় স্বার্থ by মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী
সদ্যসমাপ্ত সংসদ অধিবেশনে গত ৭ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার বহু প্রতীক্ষিত শিক্ষানীতি ২০১০ পাস হয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি দ্বারা শিক্ষানীতির প্রতিবেদনের চূড়ান্ত খসড়া গত বছরই রচিত হয়েছিল। এটি ওয়েবসাইটে আলোচনা-পর্যালোচনার জন্য দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন ওই প্রতিবেদন নিয়ে বিস্তর সেমিনার করেছে, অনেকেই পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করেছে, বেতার-টিভিগুলোতে ওই শিক্ষানীতির খসড়া দলিলের ওপর যথেষ্ট টক শো হয়েছে,
শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন মহলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন, এমনকি যারা শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে অবস্থান করছেন, তাঁদের সঙ্গেও তিনি আলোচনা করেছেন। সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে অবশেষে শিক্ষানীতি জাতীয় সংসদে অনুমোদন লাভ করেছে। এর আগে ২০০০ সালে একটি শিক্ষানীতি জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু জোট সরকার সেই শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। জোট সরকারও আলাদা একটি প্রতিবেদন রচনা করেছিল। কিন্তু সেই প্রতিবেদন নিয়ে সরকারই বেশি দূর অগ্রসর হয়নি। বাংলাদেশে শিক্ষানীতি নিয়ে প্রচুর কথা হয়, কমিটি এবং প্রতিবেদনও তৈরি হয়। কিন্তু গ্রহণ করা নিয়েই মস্ত বড় সমস্যা দেখা যায়। বাস্তবায়ন সে কারণেই আকাশকুসুম কল্পনার মতো শোনা যায়। এবার আমরা আশা করব শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে সরকার দৃঢ় থাকবে। শিক্ষক-অভিভাবক তথা দেশের জনগণও সচেতন থাকবে। শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন থেকে বিচ্যুত হওয়ার অবকাশ আসলে কারো নেই_এ কথা সবাইকেই গভীরভাবে অনুধাবন করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন মহলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন, এমনকি যারা শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে অবস্থান করছেন, তাঁদের সঙ্গেও তিনি আলোচনা করেছেন। সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে অবশেষে শিক্ষানীতি জাতীয় সংসদে অনুমোদন লাভ করেছে। এর আগে ২০০০ সালে একটি শিক্ষানীতি জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু জোট সরকার সেই শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। জোট সরকারও আলাদা একটি প্রতিবেদন রচনা করেছিল। কিন্তু সেই প্রতিবেদন নিয়ে সরকারই বেশি দূর অগ্রসর হয়নি। বাংলাদেশে শিক্ষানীতি নিয়ে প্রচুর কথা হয়, কমিটি এবং প্রতিবেদনও তৈরি হয়। কিন্তু গ্রহণ করা নিয়েই মস্ত বড় সমস্যা দেখা যায়। বাস্তবায়ন সে কারণেই আকাশকুসুম কল্পনার মতো শোনা যায়। এবার আমরা আশা করব শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে সরকার দৃঢ় থাকবে। শিক্ষক-অভিভাবক তথা দেশের জনগণও সচেতন থাকবে। শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন থেকে বিচ্যুত হওয়ার অবকাশ আসলে কারো নেই_এ কথা সবাইকেই গভীরভাবে অনুধাবন করতে হবে।
দেশে শিক্ষানীতি না থাকার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জনগণ, স্বয়ং শিক্ষাব্যবস্থাই শিক্ষার মূল আদর্শ থেকে সরে গেছে, নানা দুর্নীতি, অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা বাসা বেঁধেছে, মানের চরম সংকটে পড়েছে দেশের বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নানা ধারা-উপধারার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। শিক্ষার নামে বাণিজ্যের বেসাতি মুখ্য হয়ে উঠেছে, বিভিন্ন অপশক্তি তাদের স্বার্থ ও উদ্দেশ্য চরিতার্থ করছে। ফলে আমাদের শিশু-কিশোর তথা ছাত্রছাত্রীদের মেধার বিকাশ যথার্থভাবে হতে পারছে না, দক্ষ জনশক্তি হিসেবে তারা গড়ে উঠতে পারছে না। এসবই সম্ভব হয়েছে দেশে কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষানীতি না থাকার কারণে। শিক্ষানীতি দেশে পরিকল্পিতভাবে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার দিকনির্দেশনা দেয়, ছাত্রছাত্রীদের মেধার যথাযথ বিকাশ সাধনের সহায়ক করণীয় বিষয়গুলো নির্দেশ করে, সেভাবেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হওয়ার দিকনির্দেশনা পায়। আধুনিক পৃথিবীর সব দেশই জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে দেশের জনগণকে শিক্ষিত করে তোলার নীতি অনুসরণ করেছে। সেভাবেই জনগণকে শতভাগ শিক্ষিত করেছে। আমাদেরও তেমন ভাবনা-চিন্তা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার শুরুতে ছিল। তেমন চিন্তা ছিল বলেই বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. কুদরত-এ-খুদার নেতৃত্বে একটি জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়েছিল। বাঙালি মেধার অনন্য অসাধারণ স্বাক্ষর হচ্ছে ওই কমিটির রচিত দলিল। সেই শিক্ষানীতি গ্রহণ করে আমরা যদি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রব্যবস্থার যাত্রা থেকে শিক্ষাব্যবস্থা গড়া শুরু করতে পারতাম, তাহলে এখন দেশের শিক্ষাব্যবস্থার চালচিত্র এমন হতো বলে মনে হয় না। এখন বাংলাদেশে কোটি কোটি ছাত্রছাত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে, অসংখ্য নানা মানের ও নামের প্রতিষ্ঠানও আছে, লাখ লাখ শিক্ষকও আছেন, প্রতিবছর বাজেটের সর্বোচ্চ বরাদ্দ শিক্ষা খাতে দেওয়ার কথাও শুনি, অভিভাবক মহল এর চেয়ে অনেক বেশি অর্থ খরচ করছে ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করার জন্য, অবস্থাপন্ন পরিবার তাদের সন্তানদের পেছনে দেশে-বিদেশে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত মানসম্পন্ন শিক্ষা দেশের বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার মতো শিক্ষা বাংলাদেশে বিদ্যমান বহু ধারার শিক্ষাব্যবস্থা থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আমরা বেশি দূর অগ্রসর হতে পারব না_এটি প্রায় নিশ্চিত।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে সরকার একটি শিক্ষানীতির আলোকে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে চাচ্ছে। দেশের শিক্ষাসচেতন মানুষ এটিকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে স্বীকার করতেই হবে, দেশে একটি শিক্ষানীতির আলোকে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠুক, তা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বেশ কিছু ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও শক্তি মোটেই চায় না। ড. খুদা কমিশনের বিরুদ্ধে একটি গোষ্ঠী তখন নানা ধরনের অপপ্রচার করেছিল। কিন্তু যারা বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষানীতির বিরোধী তারা যখন ক্ষমতায় ছিল বা থাকে, তারা দেশকে বাস্তবেই কোনো শিক্ষানীতি না দিয়ে শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি গঠন বা প্রতিবেদন রচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল বা থাকে। কিন্তু যখন কেউ যথার্থই শিক্ষানীতি প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নেয়, তখন তারা ধর্ম গেল বলে রব তুলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযানে নামে। এটি সুদূর বা নিকট অতীতের অভিজ্ঞতা। বর্তমান শিক্ষানীতি প্রণয়ন এবং গ্রহণের প্রক্রিয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সব স্তরের মানুষের মতামত গ্রহণ করার সময় দেখা গেছে একটি শক্তি রাজনৈতিকভাবে শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। বিভিন্ন সেমিনার, সভা-সমাবেশ, টিভি টক শো ও লেখালেখি করে কার্যত তারা শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে অবস্থান নেয়। তবে যেসব অভিযোগ শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে তারা করে থাকে তা অত্যন্ত গতানুগতিক, কোনো তথ্য-প্রমাণ এবং শিক্ষা বিজ্ঞানের ধারণা এতে নেই। যেসব ব্যক্তি শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন বা বলছেন, একটি দেশের জাতীয় শিক্ষানীতি সম্পর্কে তাদের তেমন কোনো মৌলিক জ্ঞান আছে বলে মনে হয়নি। বিরোধিতার নামে বিরোধিতা ছাড়া তেমন কিছু তাদের কাছ থেকে শোনা যায় না, পাওয়া যায় না। শিক্ষানীতির দলিলটিও তাদের খুব একটা পড়া আছে, তেমনটি আলোচনা শুনে মনে হয় না। এটি আমাদের দেশে একটি দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতা যে অনেকেই মূল দলিলপত্র না পড়ে, না বুঝেই সেমিনার, টক শোতে কথা বলেন, পাণ্ডিত্য প্রদর্শন করেন, বেশির ভাগ মানুষ কষ্ট করে দলিলপত্র না পড়ে 'আলোচকদের' মুখ থেকে কথা শুনতে চান, অথচ অনেক আলোচকই দলিলগুলো ভালো করে পড়েন না, তিনি বা তাঁরা শিক্ষা বিজ্ঞানের জ্ঞানতত্ত্ব সম্পর্কে মৌলিক কোনো ধারণাই রাখেন না, তিনি বা তাঁরা এ সম্পর্কে মতামত রাখার অথরিটিই নন। রাজনৈতিক মঞ্চে গলাবাজি করা যায়, টিভি টক শোতে কথা বলা যায়, খবরের কাগজেও তথ্য-প্রমাণবিহীনভাবে অনেক লেখালেখি করা যায়, কিন্তু জাতীয় শিক্ষানীতির মতো একটি গভীর জ্ঞানতাত্তি্বক বিষয়ে মতামত রাখা খুব সহজ ব্যাপার নয়। কিন্তু সেই পথে না গিয়ে দেশে একশ্রেণীর মানুষ রয়েছে যারা নানা বিবেচনা, স্বার্থ ও পরশ্রীকাতরতা থেকে একটি শিক্ষানীতির বিরোধিতা করে আসছে। তাদের সমালোচনা যদি তথ্য ও যুক্তিভিত্তিক হতো তাহলে অবশ্যই বিবেচনা করা যেত। কিন্তু তথ্য ও যুক্তির পথ বাদ দিয়ে যখন মিথ্যাচার করা হয়, ধর্ম গেল বলে রব তোলা হয়, নানা নামে পুস্তিকা প্রকাশ করে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ, ছাত্রছাত্রীদের বিভ্রান্ত করা হয়, এমনকি হরতাল ডেকে শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে মাঠে নামা হয়_তখন তা জাতির জন্য অমঙ্গলই বয়ে আনে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
আমরা লক্ষ করেছি, শিক্ষানীতি সংসদের সদ্য সমাপ্ত অধিবেশনে পাস হওয়ার আগেই 'ওলামা-মাশায়েখ' নাম ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী সোচ্চার হয়ে ওঠে। শিক্ষানীতি পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হরতাল ডেকে শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে ওই হরতালকে নৈতিকভাবে সমর্থন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে, জামায়াত প্রকাশ্যেই শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, বিএনপি-জামায়াত তথা চারদলীয় জোটের দলগুলো সংসদে অনুমোদিত শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ইতিমধ্যে শিক্ষানীতিকে ধর্মহীন দেখিয়ে ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন একাডেমী বা সংগঠনের নাম ব্যবহার করে বেশকিছু পুস্তিকা ছাপা হয়েছে। এগুলো বিভিন্ন জায়গায় গোপনে প্রচারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলো কিভাবে অপপ্রচারকে মোকাবিলা করবে, তা তারাই নির্ধারণ করবে। তবে সব স্তরেই শিক্ষকদের বেশকিছু সংগঠন রয়েছে। এসব শিক্ষক সমিতি ওয়েবসাইট থেকে শিক্ষানীতির কপি সংগ্রহ করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতরণ করার উদ্যোগ নিতে পারে। শিক্ষানীতিবিরোধী অপশক্তি যেসব লিফলেট বা পুস্তিকা প্রচারের জন্য বিতরণের উদ্যোগ নিচ্ছে, তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে মূল দলিলটিকে শিক্ষকদের ভালোভাবে পড়তে হবে। মিলিয়ে দেখতে হবে, নিজ নিজ এলাকার জনগণকে বুঝাতে হবে, স্পষ্ট ধারণা দিতে হবে, দেশের প্রতিটি অঞ্চলেই স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা রয়েছে, ওইসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যাঁরা অন্ধ দলীয় অবস্থানের কারণে অপপ্রচারে লিপ্ত হতে পারেন। কিন্তু মূল দলিল পড়া থাকলে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকলে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়ে কোনো শিক্ষকই জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারবেন না। বস্তুত দেশের সব স্তরের শিক্ষকদেরই জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ বাস্তবায়নে এখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসতে হবে, প্রয়োজনে জনগণের মধ্যে গিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। জাতীয় স্বার্থে শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন চাইলে সবাইকেই যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, বিরোধীদের সম্বল হচ্ছে মিথ্যাচার, অপপ্রচার, অজ্ঞানতা, অপরাজনীতি ও পরশ্রীকাতরতা। এর বিরুদ্ধে শক্তভাবে দাঁড়ানো শুধু রাজনৈতিক বা দলীয় নয়, জাতীয়ভাবে সবার নৈতিক দায়িত্ব। সেই দায়িত্বপালনে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।
================================
চীন-ভারত সম্পর্ক এবং এ অঞ্চলে তার প্রভাব নারী লাঞ্ছনার সর্বগ্রাস একজন এস এ জালাল ও মুক্তিযুদ্ধের তথ্যভাণ্ডার গল্প- স্বপ্নের মধ্যে কারাগারে গল্পিতিহাস- কাঁথা সিলাই হইসে, নিশ্চিন্ত ‘এখন প্রাধান্য পাচ্ছে রম্যলেখা' অকথিত যোদ্ধা কানকুনের জলবায়ু সম্মেলন, বাংলাদেশের মমতাজ বেগম এবং আমার কিছু কথা নাপাম বোমা যা পারেনি, চ্যালেঞ্জার ও আব্রাম্স্ ট্যাংক কি তা পারবে? ঠাকুর ঘরে কে রে...! ষড়যন্ত্র নয়, ক্ষুধা ও বঞ্চনাই আন্দোলনের ইন্ধন বাহাত্তরের সংবিধানের পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বাধা কোথায়? ড.ইউনূসের দুঃখবোধ এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা গীতাঞ্জলি ও চার্লস এন্ড্রুজ গল্প- তেঁতুল একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের পুস্তক প্রকাশনা গল্প- বট মানে গরুর ভুঁড়ি গল্প- কিশলয়ের জন্মমৃত্যু গল্প- মাকড়সা দুর্নীতি প্রতিরোধে আশার আলো জাগো যুববন্ধুরা, মুক্তির সংগ্রামে ঢাকা নগর ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন প্রয়োজন মারিও বার্গাস য়োসার নোবেল ভাষণ- পঠন ও কাহিনীর নান্দীপাঠ লন্ডন পুলিশ জলকামানও নিল না রাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জ ও যুদ্ধাপরাধী বিচারের দায়বদ্ধতা পোশাক শিল্পে অস্থিরতার উৎস-সন্ধান সূত্র বাতাসের শব্দ গোলাপি গল্প বজ্র অটুঁনি অথবাঃ উদ্ভট উটের পিঠে আইভরি কোস্ট আনল বয়ে কোন বারতা! ফেলানীর মৃত্যুতে পশ্চিমবঙ্গ- নিজ ভূমেই প্রশ্নবিদ্ধ ভারতের মানবিক চেহারা বাজার চলে কার নিয়ন্ত্রণে উঠতি বয়সের সংকট : অভিভাবকের দায়িত্ব বিকল্প ভাবনা বিকল্প সংস্কৃতি অন্ধত্ব ও আরোগ্য পরম্পরা খুলে যাক সম্ভাবনার দুয়ার কক্সবাজার সাফারি পার্কঃ প্রাণীর প্রাচুর্য আছে, নেই অর্থ, দক্ষতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের গুপ্ত জীবন ছাব্বিশটি মৃতদেহ ও একটি গ্রেপ্তার ৩৯ বছর পরও আমরা স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি সাইবারযুদ্ধের দামামা
দৈনিক কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী
ইতিহাসতত্ত্ববিদ, অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
চীন-ভারত সম্পর্ক এবং এ অঞ্চলে তার প্রভাব নারী লাঞ্ছনার সর্বগ্রাস একজন এস এ জালাল ও মুক্তিযুদ্ধের তথ্যভাণ্ডার গল্প- স্বপ্নের মধ্যে কারাগারে গল্পিতিহাস- কাঁথা সিলাই হইসে, নিশ্চিন্ত ‘এখন প্রাধান্য পাচ্ছে রম্যলেখা' অকথিত যোদ্ধা কানকুনের জলবায়ু সম্মেলন, বাংলাদেশের মমতাজ বেগম এবং আমার কিছু কথা নাপাম বোমা যা পারেনি, চ্যালেঞ্জার ও আব্রাম্স্ ট্যাংক কি তা পারবে? ঠাকুর ঘরে কে রে...! ষড়যন্ত্র নয়, ক্ষুধা ও বঞ্চনাই আন্দোলনের ইন্ধন বাহাত্তরের সংবিধানের পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বাধা কোথায়? ড.ইউনূসের দুঃখবোধ এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা গীতাঞ্জলি ও চার্লস এন্ড্রুজ গল্প- তেঁতুল একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের পুস্তক প্রকাশনা গল্প- বট মানে গরুর ভুঁড়ি গল্প- কিশলয়ের জন্মমৃত্যু গল্প- মাকড়সা দুর্নীতি প্রতিরোধে আশার আলো জাগো যুববন্ধুরা, মুক্তির সংগ্রামে ঢাকা নগর ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন প্রয়োজন মারিও বার্গাস য়োসার নোবেল ভাষণ- পঠন ও কাহিনীর নান্দীপাঠ লন্ডন পুলিশ জলকামানও নিল না রাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জ ও যুদ্ধাপরাধী বিচারের দায়বদ্ধতা পোশাক শিল্পে অস্থিরতার উৎস-সন্ধান সূত্র বাতাসের শব্দ গোলাপি গল্প বজ্র অটুঁনি অথবাঃ উদ্ভট উটের পিঠে আইভরি কোস্ট আনল বয়ে কোন বারতা! ফেলানীর মৃত্যুতে পশ্চিমবঙ্গ- নিজ ভূমেই প্রশ্নবিদ্ধ ভারতের মানবিক চেহারা বাজার চলে কার নিয়ন্ত্রণে উঠতি বয়সের সংকট : অভিভাবকের দায়িত্ব বিকল্প ভাবনা বিকল্প সংস্কৃতি অন্ধত্ব ও আরোগ্য পরম্পরা খুলে যাক সম্ভাবনার দুয়ার কক্সবাজার সাফারি পার্কঃ প্রাণীর প্রাচুর্য আছে, নেই অর্থ, দক্ষতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের গুপ্ত জীবন ছাব্বিশটি মৃতদেহ ও একটি গ্রেপ্তার ৩৯ বছর পরও আমরা স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি সাইবারযুদ্ধের দামামা
দৈনিক কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী
ইতিহাসতত্ত্ববিদ, অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
No comments