উ. কোরিয়ার ফের হামলার হুমকি সীমান্তে শক্তি বাড়াবে দ. কোরিয়া
দুই কোরিয়ার মধ্যে গোলাবিনিময় এবং যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার নৌমহড়ায় অংশ নিতে মার্কিন রণতরী ‘ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন’ পীত সাগরের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পর কোরীয় উপদ্বীপে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে উত্তর কোরিয়া গতকাল বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, পিয়ংইয়ং আবারও হামলা চালাতে প্রস্তুত। উত্তর কোরিয়ার এই হুমকির পরপরই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট সীমান্তবর্তী এলাকায় শক্তি বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার হামলা যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে পারেননি এমন সমালোচনার মুখে দক্ষিণকোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম তায়ে-ইয়ং গতকাল পদত্যাগ করেছেন। প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং বাক তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণকরেছেন।
গতকাল এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়া বলেছে, সাম্প্রতিক গোলাবিনিময়ের ঘটনার দায়দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্র কখনোই এড়াতে পারে না। যুদ্ধবাজ দক্ষিণ কোরিয়ার পুতুল সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় না হলে এবং আবারও নির্দয়ভাবে সামরিক উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালালে তার পরিণতি মোটেও ভালো হবে না। পিয়ংইয়ংয়ের সেনারাও কোনো রকমের দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়াই দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় হামলা চালিয়ে এর কঠোর জবাব দেবে।
ওয়াশিংটন বলেছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরোধের মাধ্যমে তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, সীমান্তবর্তী এলাকা ছাড়াও পীত সাগরের পাঁচটি দ্বীপে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করবে সিউল। উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলায় বাজেটও বাড়ানো হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়ার মিত্র বলে পরিচিত চীনকে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে। জবাবে চীন উভয় পক্ষকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছে। রাশিয়া সফররত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও বলেছেন, চীন যেকোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের ঘোর বিরোধী। তিনি বলেন, কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বেইজিং অঙ্গীকারবদ্ধ।
দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র হং সাং-পিও জানান, গোলাবিনিময়ের ঘটনায় নিরাপত্তা ও সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ঝুঁকি নিয়ে প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং-বাক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে ফের উসকানিমূলক তৎপরতার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই আমাদের সেনাবাহিনীকেও অপ্রস্তুত অবস্থায় রাখাটা সমীচীন হবে না। আমার আশঙ্কা, উত্তর কোরিয়া যেকোনো সময় আবারও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালাতে পারে।’
হং সাং-পিও জানান, ইয়নপিয়ং দ্বীপে সেনা মোতায়েন বাড়িয়ে সামরিক শক্তি জোরদার করবে দক্ষিণ কোরিয়া। এ ছাড়া আরও চারটি দ্বীপে শক্তি বৃদ্ধি করা হবে। তবে দ্বীপগুলোতে ঠিক কতসংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তিনি বলেননি। বর্তমানে এসব দ্বীপে চার হাজারের মতো সেনা রয়েছে। সিউল সেনা বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে তার আগেকার নীতি থেকে সরে এল। ২০০৬ সালে দ্বীপগুলোতে সামরিক শক্তি কমানোর আহ্বান জানিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষাপ্রধান ইয়নপিয়ং দ্বীপ পরিদর্শন করেছেন। গত মঙ্গলবার এই দ্বীপেই গোলাবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। দ্বীপটি দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিয়ন বন্দর থেকে ৮০ কিলোমিটার এবং উত্তর কোরিয়ার উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মাত্র ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
ইয়নপিয়ং দ্বীপে গোলাবিনিময়ের ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার দুজন মেরিন সেনাসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন বেসামরিক ব্যক্তি। দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, উত্তর কোরিয়া প্রথমে উসকানিমূলকভাবে গোলা ছুড়েছে। পরে তারাও গোলা ছুড়ে এর জবাব দেয়। দুই পক্ষের ছোড়া গোলার আঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দ্বীপটি।
কর্মকর্তারা জানান, ইয়নপিয়ং দ্বীপের শত শত বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়ে মূল ভূখণ্ডে পাড়ি জামিয়েছে। তবে এখনো কিছু লোক সেখানে অবস্থান করছে। তারা ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। তীব্র শীতের এই মৌসুমে রাত হলে তারা ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যায়।
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চার দিনব্যাপী যৌথ নৌ-সামরিক মহড়া আগামী রোববার শুরু হচ্ছে।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার হামলা যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে পারেননি এমন সমালোচনার মুখে দক্ষিণকোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম তায়ে-ইয়ং গতকাল পদত্যাগ করেছেন। প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং বাক তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণকরেছেন।
গতকাল এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়া বলেছে, সাম্প্রতিক গোলাবিনিময়ের ঘটনার দায়দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্র কখনোই এড়াতে পারে না। যুদ্ধবাজ দক্ষিণ কোরিয়ার পুতুল সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় না হলে এবং আবারও নির্দয়ভাবে সামরিক উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালালে তার পরিণতি মোটেও ভালো হবে না। পিয়ংইয়ংয়ের সেনারাও কোনো রকমের দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়াই দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় হামলা চালিয়ে এর কঠোর জবাব দেবে।
ওয়াশিংটন বলেছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরোধের মাধ্যমে তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, সীমান্তবর্তী এলাকা ছাড়াও পীত সাগরের পাঁচটি দ্বীপে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করবে সিউল। উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলায় বাজেটও বাড়ানো হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়ার মিত্র বলে পরিচিত চীনকে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে। জবাবে চীন উভয় পক্ষকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছে। রাশিয়া সফররত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও বলেছেন, চীন যেকোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের ঘোর বিরোধী। তিনি বলেন, কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বেইজিং অঙ্গীকারবদ্ধ।
দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র হং সাং-পিও জানান, গোলাবিনিময়ের ঘটনায় নিরাপত্তা ও সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ঝুঁকি নিয়ে প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং-বাক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে ফের উসকানিমূলক তৎপরতার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই আমাদের সেনাবাহিনীকেও অপ্রস্তুত অবস্থায় রাখাটা সমীচীন হবে না। আমার আশঙ্কা, উত্তর কোরিয়া যেকোনো সময় আবারও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালাতে পারে।’
হং সাং-পিও জানান, ইয়নপিয়ং দ্বীপে সেনা মোতায়েন বাড়িয়ে সামরিক শক্তি জোরদার করবে দক্ষিণ কোরিয়া। এ ছাড়া আরও চারটি দ্বীপে শক্তি বৃদ্ধি করা হবে। তবে দ্বীপগুলোতে ঠিক কতসংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তিনি বলেননি। বর্তমানে এসব দ্বীপে চার হাজারের মতো সেনা রয়েছে। সিউল সেনা বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে তার আগেকার নীতি থেকে সরে এল। ২০০৬ সালে দ্বীপগুলোতে সামরিক শক্তি কমানোর আহ্বান জানিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষাপ্রধান ইয়নপিয়ং দ্বীপ পরিদর্শন করেছেন। গত মঙ্গলবার এই দ্বীপেই গোলাবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। দ্বীপটি দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিয়ন বন্দর থেকে ৮০ কিলোমিটার এবং উত্তর কোরিয়ার উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মাত্র ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
ইয়নপিয়ং দ্বীপে গোলাবিনিময়ের ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার দুজন মেরিন সেনাসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন বেসামরিক ব্যক্তি। দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, উত্তর কোরিয়া প্রথমে উসকানিমূলকভাবে গোলা ছুড়েছে। পরে তারাও গোলা ছুড়ে এর জবাব দেয়। দুই পক্ষের ছোড়া গোলার আঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দ্বীপটি।
কর্মকর্তারা জানান, ইয়নপিয়ং দ্বীপের শত শত বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়ে মূল ভূখণ্ডে পাড়ি জামিয়েছে। তবে এখনো কিছু লোক সেখানে অবস্থান করছে। তারা ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। তীব্র শীতের এই মৌসুমে রাত হলে তারা ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যায়।
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চার দিনব্যাপী যৌথ নৌ-সামরিক মহড়া আগামী রোববার শুরু হচ্ছে।
No comments