আলোচনা- 'তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে করণীয়' by মোহাম্মদ জমির
স্বাধীন প্রেস অ্যাক্টের মাধ্যমে ১৭৬৬ সালে সুইডেনে শুরু হয় তথ্যপ্রবাহে জনগণের প্রবেশাধিকারের বিষয়টি। জনপ্রশাসনের ইতিহাসে সেই প্রথমবারের মতো সরকার ও স্থানীয় কতর্ৃপক্ষের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সাধারণ মানুষের অবহিত হওয়ার নিশ্চয়তা বিধান করা হয়। এ প্রক্রিয়ার অর্থ হলো কতর্ৃপক্ষ যে সমস্ত নথিপত্র নিয়ন্ত্রণ করেন তা স্বাভাবিক নিয়মেই প্রকাশ করা। তা না হলে বিশেষ করে আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য বিফল হতে বাধ্য। তাই এই প্রেস অ্যাক্টে উলেস্নখ থাকে যে, সম্ভাব্য স্পর্শকাতর তথ্যগুলো অবশ্যই আলাদাভাবে সংরক্ষণ বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
এক্ষেত্রে তথ্য জানবার জন্য কেউ আগ্রহ প্রকাশ বা আবেদন করলে সংশিস্নষ্ট তথ্য সংগ্রাহক অস্বীকৃতিও জানাতে পারেন। তবে অবশ্যই তা হতে হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। যা দায়বদ্ধতার বিরুদ্ধে যেন না যায়। সুইডেনে স্বাধীন প্রেস অ্যাক্ট চালুর পর বিশ্বের ৯০টি দেশে এ অ্যাক্টের প্রয়োজনীয়তা অনুভব এবং সর্বশেষ তা সংবিধানে সনি্নবেশিত করা হয়েছে। সুইডেন ছাড়াও দুইটি দেশে অনুমোদন লাভের পর চতুর্থ দেশ হিসাবে ১৯৬৬ সালে এ অ্যাক্ট গৃহীত হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর ২০০০ সালে যুক্তরাজ্য এবং ২০০২ সালে পাকিস্তানে। ভারতেও ২০০৫ সালে ফ্রিডম অব ইনফরমেশন আইন নামে এটি গৃহীত হয়। চীন এ প্রক্রিয়ায় সামিল হয় ২০০৭ সালে। তাদের পরিবর্তিত নাম ওপেন গভর্নমেন্ট ইনফরমেশন রেগুলেশন্স। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি সুশীল সমাজের কমর্ী, ল' কমিশন ও সরকারের অন্যান্য শাখার সক্রিয় অংশগ্রহণের ধারণা হিসাবেই দেখা হয়েছে। ১৯৮৩ সালে প্রেস কমিশন প্রথমবারের মতো এ ধারণাকে তার বিধির আওতাভুক্ত করে। তবে ল' কমিশন এ বিষয়ে নথিপত্র তৈরি করে ২০০২ সালে। পাশাপাশি একই বিষয়ে বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার মানুষের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ২০ অক্টোবর রাইট টু ইনফরমেশন (আরটিআই) অর্ডিন্যান্স বা তথ্য অধিকার অধ্যাদেশ চূড়ান্ত রূপ নেয়, যা বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার কতর্ৃক অনুমোদন বা গৃহীত হয় একই বছর। বর্তমান ক্ষমতাসীন নির্বাচিত সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করার মানসে ২০০৯ সালের ২৯ মার্চ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনেই রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট পাস করে। একই বছরে ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি তাতে সম্মতি জ্ঞাপন করায় ঐ বছরের (২০০৯) ১ জুলাই আইন হিসাবে কার্যকর হয়। তারই ফলশ্রুতিতে প্রতিষ্ঠিত হয় ইনফরমেশন কমিশন বা তথ্য কমিশন। গৃহীত আইনটিতে আরোপিত শর্তে উলেস্নখ করা হয় যে, তথ্য কমিশন হবে একেবারেই একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, যার প্রধান কার্যালয় থাকবে ঢাকায়। তবে প্রয়োজনে দেশের যে কোন স্থানে প্রতিষ্ঠা করা যাবে শাখা অফিস।
এক্ষেত্রে তথ্য জানবার জন্য কেউ আগ্রহ প্রকাশ বা আবেদন করলে সংশিস্নষ্ট তথ্য সংগ্রাহক অস্বীকৃতিও জানাতে পারেন। তবে অবশ্যই তা হতে হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। যা দায়বদ্ধতার বিরুদ্ধে যেন না যায়। সুইডেনে স্বাধীন প্রেস অ্যাক্ট চালুর পর বিশ্বের ৯০টি দেশে এ অ্যাক্টের প্রয়োজনীয়তা অনুভব এবং সর্বশেষ তা সংবিধানে সনি্নবেশিত করা হয়েছে। সুইডেন ছাড়াও দুইটি দেশে অনুমোদন লাভের পর চতুর্থ দেশ হিসাবে ১৯৬৬ সালে এ অ্যাক্ট গৃহীত হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর ২০০০ সালে যুক্তরাজ্য এবং ২০০২ সালে পাকিস্তানে। ভারতেও ২০০৫ সালে ফ্রিডম অব ইনফরমেশন আইন নামে এটি গৃহীত হয়। চীন এ প্রক্রিয়ায় সামিল হয় ২০০৭ সালে। তাদের পরিবর্তিত নাম ওপেন গভর্নমেন্ট ইনফরমেশন রেগুলেশন্স। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি সুশীল সমাজের কমর্ী, ল' কমিশন ও সরকারের অন্যান্য শাখার সক্রিয় অংশগ্রহণের ধারণা হিসাবেই দেখা হয়েছে। ১৯৮৩ সালে প্রেস কমিশন প্রথমবারের মতো এ ধারণাকে তার বিধির আওতাভুক্ত করে। তবে ল' কমিশন এ বিষয়ে নথিপত্র তৈরি করে ২০০২ সালে। পাশাপাশি একই বিষয়ে বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার মানুষের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ২০ অক্টোবর রাইট টু ইনফরমেশন (আরটিআই) অর্ডিন্যান্স বা তথ্য অধিকার অধ্যাদেশ চূড়ান্ত রূপ নেয়, যা বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার কতর্ৃক অনুমোদন বা গৃহীত হয় একই বছর। বর্তমান ক্ষমতাসীন নির্বাচিত সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করার মানসে ২০০৯ সালের ২৯ মার্চ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনেই রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট পাস করে। একই বছরে ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি তাতে সম্মতি জ্ঞাপন করায় ঐ বছরের (২০০৯) ১ জুলাই আইন হিসাবে কার্যকর হয়। তারই ফলশ্রুতিতে প্রতিষ্ঠিত হয় ইনফরমেশন কমিশন বা তথ্য কমিশন। গৃহীত আইনটিতে আরোপিত শর্তে উলেস্নখ করা হয় যে, তথ্য কমিশন হবে একেবারেই একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, যার প্রধান কার্যালয় থাকবে ঢাকায়। তবে প্রয়োজনে দেশের যে কোন স্থানে প্রতিষ্ঠা করা যাবে শাখা অফিস।
আইটির পরিকাঠামোতে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। এর মধ্যে অনুচ্ছেদ ২-এ বলা হয়েছে তথ্য অধিকারের অর্থ হচ্ছে যে কোন কতর্ৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য লাভের অধিকার। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত ব্যাখ্যায় উলেস্নখ রয়েছে যে কোন নথিপত্র, বই, ডিজাইন, মানচিত্র, চুক্তিপত্র, উপাত্ত, লগবই, নির্দেশনামা, প্রজ্ঞাপন, দলিল, পত্র, প্রতিবেদন হিসাব বিবরণী, প্রকল্প প্রস্তাবনা, আলোকচিত্র অডিও, ভিডিও, নক্সা, চিত্রকর্ম, চলচ্চিত্র, ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় ধারণকৃত তথ্য সংক্রান্ত যে কোন যন্ত্রাংশ, মেশিন রিডেবল রেকর্ড, সংবিধানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যে কোন কপি, যে কোন ধরনের প্রামাণ্যচিত্র এবং যে কোন কতর্ৃপক্ষের অবকাঠামো ও দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড তথ্যের আওতাভুক্ত। একই অনুচ্ছেদে সংবিধান অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত সংস্থার রূপরেখাও বর্ণনা করা হয়েছে। যার মধ্যে পড়ে সরকারি অর্থে পরিচালিত যে কোন সরকারি অফিস অথবা বেসরকারি সংস্থা বা ইনস্টিটিউশন কিংবা সরকারি অথবা বিদেশি সাহায্য সংস্থার কাছ থেকে প্রাপ্ত অনুদান নির্ভর প্রতিষ্ঠান। মোদ্দাকথা, আলোচিত আইনটির উদ্দেশ্য হচ্ছে যথাসম্ভব তথ্যসম্ভারকে জনসমক্ষে ব্যাপকভিত্তিক উন্মোচন করা। আইনটির অনুচ্ছেদ ৭-এ তথ্যপ্রদানে কিছু সীমাবদ্ধতার কথা উলেস্নখ করা রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা অথবা বৈদেশিক নীতি সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে যদি নাকি তাতে করে কোন দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা, আঞ্চলিক জোট বা সংস্থার সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক বিনষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে সে ক্ষেত্রে এ সীমাবদ্ধতা প্রযোজ্য হবে। তাছাড়া ঐ অনুচ্ছেদের আলোকেই ব্যক্তি-জীবনের গোপনীয়তা, কোন ব্যক্তির নিরাপত্তা বা জীবন বিপন্ন হতে পারে এমন আশংকা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আস্থাশীল করে এমন ক্ষেত্রে এবং আদালতে বিচারাধীন বিষয় সম্পর্কে তথ্যপ্রদানে রয়েছে বিধি-নিষেধ। কেউ এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে সেটি হবে আদালত অবমাননা। একই অনুচ্ছেদে আরো বলা হয়েছে বাণিজ্যিক বিষয়ের গোপনীয়তা, এ সংক্রান্ত কপিরাইট কিংবা ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটের তথ্যসম্ভারে প্রবেশ সম্ভব হবে না। একই আইনের অনুচ্ছেদ ৯ (৪)-এ উলেস্নখ করা হয়েছে অনুচ্ছেদ ৮ (১) অনুযায়ী যদি অনুরোধ করা হয় তাহলে যে কোন ব্যক্তির জীবন, মৃতু্য, গ্রেফতার ও জেল থেকে খালাস হওয়া সম্পর্কে থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রাথমিক তথ্য সরবরাহ করতে পারবেন।
আমাদের মনে রাখতে হবে জনগণই ক্ষমতার উৎস। তাই তাদের তথ্যসম্ভারে প্রবেশাধিকারও রয়েছে। তবে গোটা প্রক্রিয়া হওয়া উচিত নীতিগত বাধ্য-বাধকতার মাধ্যমে। বস্তুত সে ধারণার পরিপ্রেক্ষিতেই সুশাসনের ভিত্তি স্থাপনের অংশ হিসাবে সরকারের কর্ম পরিধিকে প্রয়োজন অনুসারে নানা শাখায় বিভক্ত করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এসব প্রক্রিয়ায় থাকা দরকার স্বচ্ছতা, আর সেটা সম্ভব কেবল বিনা বাধায় তথ্য সরবরাহ এবং তথ্যসম্ভারে প্রবেশের সুযোগ লাভ। এ প্রক্রিয়াকে কার্যকর করার জন্য চাই রাজনৈতিক সদিচ্ছা। একথা সত্য, তথ্য অধিকার আইনের ৭ অনুচ্ছেদে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে এটা যে কেবল বাংলাদেশেরই চিত্র তা কিন্তু নয়। প্রত্যেকটি দেশে এ ধরনের আইনে একই সীমাবদ্ধতা বিদ্যমান, অর্থাৎ এটা স্বাভাবিক নিয়মেরই প্রকাশ। বাস্তবতা হচ্ছে, কোন কোন দেশে সীমাবদ্ধতা বা রক্ষণশীল মনোভাব আরো প্রকট। এমতাবস্থায়, তথ্য কমিশন মনে করে প্রয়োজনীয় তথ্যের বিস্তার সহজ করা সংস্থার নৈতিক দায়িত্ব। সে লক্ষ্যে ডিজিটাল পদ্ধতি তৈরির চেষ্টা করছে তথ্য কমিশন, যাতে করে তথ্যসম্ভারে প্রবেশে কারো কোন বেগ পেতে না হয়। সে প্রক্রিয়ায় আইনের পরিসরে থেকেই তথ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের ঊধর্্বতন কর্মকর্তাদের আগ্রহী করার পাশাপাশি কমিশনের ওয়েব পোর্টাল থাকবে সর্বোতভাবে সক্রিয়। এক্ষেত্রে আইনগত সময়সীমার মধ্যে কোন দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা বা তার তত্ত্বাবধানকারী তথ্যপ্রদানে ব্যর্থ হলে তথ্য কমিশনের কাছে আপিল করতে পারবেন। আইনের ২৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কমিশন যদি এই মর্মে নিশ্চিত হয় যে, প্রকৃত কারণ ছাড়াই কোন কর্মকর্তা আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রদানে বিরত থেকেছেন সেক্ষেত্রে আইন ভঙ্গকারী কর্মকর্তাকে জরিমানা অথবা তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করতে পারবে কমিশন।
আইনটি বাস্তবায়নে কৌশলগত নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। উলেস্নখযোগ্য দিকগুলো হলো তথ্য সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সংবেদনশীলতা ও আমলাদের পুরনো ধ্যান-ধারণা। এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে করতে হবে আরো জনবান্ধব। সবচেয়ে বড় বাধা তথ্যকে ডিজিটাল ফরমেটে সংরক্ষণের অভাব। পাশাপাশি যথাযথ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কোন কোন সময় প্রত্যাশিত তথ্য সরবরাহ কঠিন হয়ে পড়ে। এসব বাধা অতিক্রম করতে প্রয়োজনমত অথর্ ও প্রশিক্ষণের সুযোগ দরকার। কেবল তা হলেই তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে চাহিদা পূরণ সম্ভব। সেটা কঠিন কাজ। তবে তথ্য কমিশন ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হিসাবে তথ্য কমিশনের কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ৩২টি জেলায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। অবশ্য আগ্রহী বেশ কিছু এনজিও বিভিন্ন স্থানে আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ ব্যাপারে অবদান রেখে চলেছে। তার মধ্যে উলেস্নখযোগ্য বেসরকারি সংস্থাগুলো হলো মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, এমআরডিআই, নাগরিক উদ্যোগ, আর্টিকেল ১৯, আরআইবি, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ প্রভৃতি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিলম্ব হলেও গতিশীলতা এসেছে তথ্য কমিশন ও সুুশীল সমাজে। এ ব্যাপারে জনসচেতনতা বাড়াতে কিছু প্রক্রিয়া পরীক্ষাধীন রয়েছে। যার মধ্যে আছে মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল পাঠ্যবইয়ে সহজ ভাষায় তথ্য অধিকার আইনের সারাংশ তুলে ধরা, এ বিষয়গুলো মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এসএমএস আকারে প্রচার, ক্যাবল নেটওয়ার্কের পাশাপাশি টেরিস্ট্রিয়াল পদ্ধতিতে সম্প্রচারিত টেলিভিশন সংবাদের সময় স্ক্রল প্রদর্শন, আইনের ব্যাপক পরিসরের দিকগুলো প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশ (যা করা হয়েছে ভারতে),অডিও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া উভয় ক্ষেত্রে এক থেকে দুই মিনিট স্থায়ী নাটকীয় সংলাপ এবং আলোচনা ও টকশো সম্প্রচার।
স্বেচ্ছা প্রণোদিত তথ্য সরবরাহের কাজ মোটেই সহজ নয়। তবে তথ্য কমিশন মনে করে কোন কাজই অসম্ভব নয়। দেশের সর্বস্তরের মানুষের ইতিবাচক সহযোগিতা পেলে কমিশন টেকসই প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারবে। তার প্রভাবে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সুশাসন ও দুনর্ীতি কমানো সম্ভব হবে।
================================
রাজনৈতিক আলোচনা- 'গণতন্ত্রের স্বার্থে পারস্পারিক সম্মানবোধ' by ড. আবু এন. এম. ওয়াহিদ শিল্প-অর্থনীতি 'চরম দরিদ্রদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে' by জাহাঙ্গীর শাহ বিশেষ রচনা- মেডির মিরাকল by মাসুদ রহমান ভ্রমণ- 'ঘুরি দেশে দেশে' by মাহফুজ রহমান প্রকৃতি- 'বিশ্বব্যাংক দিচ্ছে হাঁক, দ্বিগুণ হবে বনের বাঘ' by খসরু চৌধুরী যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'সংসদীয় গণতন্ত্র, না ভানুমতির খেল' by সোহরাব হাসান গল্পালোচনা- 'এই দীনতা ক্ষমা করো প্রভু...' by মুস্তাফা জামান আব্বাসী ফিচার গল্প- ‘ইতালির রাস্তায় পুলিশ খুঁজতাম' by বাবুল আক্তার খবর- মৃত ভেবে মাছুমার নিথর দেহ ওরা ফেলে দেয় মহাসড়কে অদ্ভুত ফিচার- 'বাংলার বিস্ময়ঃ আশ্চর্য কুলাগিনা' by মেহরিন জাহান স্মরণ- 'ডা. মিলনকে যেন না ভুলি' by পলাশ আহসান রাজনৈতিক আলোচনা- 'যার যা কাজ' by আতাউস সামাদ নিবন্ধ- 'অবলা বলে কেন না-বলা থাকবে' by মোস্তফা হোসেইন ইতিহাস- সিপাহি বিদ্রোহঃ সে আগুন ছড়িয়ে গেল সবখানে আন্তর্জাতিক- 'কোরিয়া সীমান্তে তুলকালাম' by দাউদ ইসলাম আন্তর্জাতিক- 'চেচনিয়ার ‘যুদ্ধবাজ ইমাম’ by মিজান মল্লিক আন্তর্জাতিক- আমি স্বাধীনতা চাই না: রমজান কাদিরভ সাহিত্যালোচনা- 'মৃত্যুশতবার্ষিকীর তলস্তয়' by আন্দালিব রাশদী গল্পসল্প- 'দুঃখটাকে ভাগাভাগি করি' by মুহম্মদ জাফর ইকবাল গল্প- 'দাদার দোকানে শূন্য দশক' by সালাহউদ্দিন
দৈনিক ইত্তেফাক এর সৌজন্যে
লেখকঃ মোহাম্মদ জমির। সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত। বর্তমানে প্রধান তথ্য কমিশনার।
ভাষান্তর : জাকিরুল ইসলাম।
এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
রাজনৈতিক আলোচনা- 'গণতন্ত্রের স্বার্থে পারস্পারিক সম্মানবোধ' by ড. আবু এন. এম. ওয়াহিদ শিল্প-অর্থনীতি 'চরম দরিদ্রদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে' by জাহাঙ্গীর শাহ বিশেষ রচনা- মেডির মিরাকল by মাসুদ রহমান ভ্রমণ- 'ঘুরি দেশে দেশে' by মাহফুজ রহমান প্রকৃতি- 'বিশ্বব্যাংক দিচ্ছে হাঁক, দ্বিগুণ হবে বনের বাঘ' by খসরু চৌধুরী যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'সংসদীয় গণতন্ত্র, না ভানুমতির খেল' by সোহরাব হাসান গল্পালোচনা- 'এই দীনতা ক্ষমা করো প্রভু...' by মুস্তাফা জামান আব্বাসী ফিচার গল্প- ‘ইতালির রাস্তায় পুলিশ খুঁজতাম' by বাবুল আক্তার খবর- মৃত ভেবে মাছুমার নিথর দেহ ওরা ফেলে দেয় মহাসড়কে অদ্ভুত ফিচার- 'বাংলার বিস্ময়ঃ আশ্চর্য কুলাগিনা' by মেহরিন জাহান স্মরণ- 'ডা. মিলনকে যেন না ভুলি' by পলাশ আহসান রাজনৈতিক আলোচনা- 'যার যা কাজ' by আতাউস সামাদ নিবন্ধ- 'অবলা বলে কেন না-বলা থাকবে' by মোস্তফা হোসেইন ইতিহাস- সিপাহি বিদ্রোহঃ সে আগুন ছড়িয়ে গেল সবখানে আন্তর্জাতিক- 'কোরিয়া সীমান্তে তুলকালাম' by দাউদ ইসলাম আন্তর্জাতিক- 'চেচনিয়ার ‘যুদ্ধবাজ ইমাম’ by মিজান মল্লিক আন্তর্জাতিক- আমি স্বাধীনতা চাই না: রমজান কাদিরভ সাহিত্যালোচনা- 'মৃত্যুশতবার্ষিকীর তলস্তয়' by আন্দালিব রাশদী গল্পসল্প- 'দুঃখটাকে ভাগাভাগি করি' by মুহম্মদ জাফর ইকবাল গল্প- 'দাদার দোকানে শূন্য দশক' by সালাহউদ্দিন
দৈনিক ইত্তেফাক এর সৌজন্যে
লেখকঃ মোহাম্মদ জমির। সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত। বর্তমানে প্রধান তথ্য কমিশনার।
ভাষান্তর : জাকিরুল ইসলাম।
এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
No comments