সোনার মূল্য বুঝছেন আশরাফুল
এত দিন সাফ গেমসে বাংলাদেশ দলের সোনা জয়ের খবর শুনতাম। কিন্তু এই সোনাটা কী বুঝতাম না। কীভাবে সোনা জেতে, কীভাবে একজন খেলোয়াড় দেশকে অনেক উঁচুতে নিয়ে যান এসব আমার জানার বাইরেই ছিল। এই গেমসে এসে জানতে পেরেছি সোনা জিনিসটা কী। কীভাবে এটা জিততে হয়। এটার মূল্য কতটুকু।’
মোহাম্মদ আশরাফুলের মুখে কথাটা শুনে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ক্রিকেটার আশরাফুল ক্রিকেট নিয়েই বেড়ে উঠেছেন। ব্যাট-বলের সঙ্গে সখ্য গড়ে নিজের যোগ্যতায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়কও হয়েছেন। ব্যাটসম্যান আশরাফুলকে তো ক্রিকেট-বিশ্বই চেনে-জানে।
সেই আশরাফুলের হাত ধরে এশিয়ান গেমসের মতো বড় আসরে প্রথম সোনা জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করে তুলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শেষ পর্যন্ত সোনা জিতলে ইতিহাস হয়ে যাবেন আশরাফুল নিজেও এবং সম্ভাব্য সেই মাহেন্দ্রক্ষণের আগে ‘গেমসের সোনা’ জিনিসটা নিয়ে তাঁর একটা ধারণা হলো।
শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট-বলে বিধ্বস্ত করে ৫ উইকেটের সহজ জয়। এশিয়ান গেমস ক্রিকেটের ফাইনালে উঠে গেছে বাংলাদেশ। সতীর্থদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত আশরাফুল বললেন, ‘এশিয়ান গেমসের মতো আসরে সোনা জয় দেশের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। এখানে এসে দেখলাম সোনাজয়ীদের অনেক সম্মান, অনেক গর্বও। একটা সোনা জিতলে পদক-তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান নিচ থেকে কিছুটা ওপরের দিকে আসবে। কাজেই একটা সোনার অনেক মূল্য।’
আশরাফুলের ডানে দাঁড়িয়ে শাহাদাত, নাঈমরা কথা বলছেন। পাশে শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড়েরাও। ম্যানেজার রণজিৎ ফার্নান্ডোসহ শ্রীলঙ্কার দু-তিনজন কর্মকর্তাও সেখানে উপস্থিত। সবারই মুখ কালো। ওদিকে স্বেচ্ছাসেবীদের কড়া মার্কিং, বেশিক্ষণ কথা বলা যাবে না। ‘ওয়ান মিনিট প্লিজ’ লেখা ছোট্ট প্লাকার্ড ধরে খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী। কিন্তু ফাইনালে ওঠা বাংলাদেশ দলের কথা তো এক মিনিটে শেষ হয় না!
আশরাফুল বলে যান, ‘ফাইনালে আফগানিস্তানকে হারানো সহজ হবে না। ওদের ব্যাটিং দেখিনি, তবে বোলিং-ফিল্ডিং দেখে ভালো দল মনে হয়েছে। পাকিস্তানকে তো যোগ্যতা দিয়েই হারিয়েছে! আমাদের সতর্ক হয়ে খেলতে হবে। শারীরিকভাবে ওরা বেশ শক্তিশালী এবং টিম স্পিরিট ভালো।’
পরক্ষণে আশার কথাও শোনান বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আফগানিস্তানকে নিয়ে চিন্তা করছি না। আজ যেমন সব বিভাগেই ভালো খেললাম, এই খেলাটা খেলতে পারলে আমরাই জিতব।’ বিশ্বাসটা সতীর্থদের মধ্যেও দেখা গেল। ৩ উইকেট পাওয়া পেসার শাহাদাতের কথা, ‘ভালো ক্রিকেট খেললে ইনশাআল্লাহ আমরা গোল্ড নিয়েই দেশে যাব।’
মেয়েরা পারেনি। ছেলেরা কি পারবে? কোচ সারোয়ার ইমরান না পারার কোনো কারণই দেখছেন না, ‘নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেললে অবশ্যই আমরা জিতব।’ বাংলাদেশ কোচ খানিক গর্বিত এই ভেবে, ‘ইন্দো-বাংলা গেমসে বাংলাদেশ গোল্ড জিতেছে আমার কোচিংয়ে। এসএ গেমসেও তাই। এশিয়ান গেমসে সোনা জেতা হবে আমার জন্য বিরাট ব্যাপার।’
সোনাজয়ী দল হিসেবে বাংলাদেশকে দেখার অপেক্ষায় আমিনুল ইসলাম। স্টেডিয়াম ছেড়ে যাওয়ার আগে দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান ও সাবেক অধিনায়ক বলে গেলেন, ‘বাংলাদেশ দল খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছে। এটাই দরকার ছিল।’
১৯৭৮ সাল থেকে এশিয়ার সর্বোচ্চ ক্রীড়ামঞ্চে গতবার পর্যন্ত লাল-সবুজের অর্জন ৩টি করে রুপা ও ব্রোঞ্জ (কাবাডিতে ৩ রুপা, ২ ব্রোঞ্জ। একটি ব্রোঞ্জ বক্সার মোশররফ হোসেন জিতছেন ৮৬ এশিয়াডে)। এবার এক রুপা-ব্রোঞ্জের সঙ্গে সোনা যোগ হলে প্রাপ্তির খাতাটা আগের তুলনায় ভারীই হবে।
মোহাম্মদ আশরাফুলের মুখে কথাটা শুনে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ক্রিকেটার আশরাফুল ক্রিকেট নিয়েই বেড়ে উঠেছেন। ব্যাট-বলের সঙ্গে সখ্য গড়ে নিজের যোগ্যতায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়কও হয়েছেন। ব্যাটসম্যান আশরাফুলকে তো ক্রিকেট-বিশ্বই চেনে-জানে।
সেই আশরাফুলের হাত ধরে এশিয়ান গেমসের মতো বড় আসরে প্রথম সোনা জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করে তুলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শেষ পর্যন্ত সোনা জিতলে ইতিহাস হয়ে যাবেন আশরাফুল নিজেও এবং সম্ভাব্য সেই মাহেন্দ্রক্ষণের আগে ‘গেমসের সোনা’ জিনিসটা নিয়ে তাঁর একটা ধারণা হলো।
শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট-বলে বিধ্বস্ত করে ৫ উইকেটের সহজ জয়। এশিয়ান গেমস ক্রিকেটের ফাইনালে উঠে গেছে বাংলাদেশ। সতীর্থদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত আশরাফুল বললেন, ‘এশিয়ান গেমসের মতো আসরে সোনা জয় দেশের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। এখানে এসে দেখলাম সোনাজয়ীদের অনেক সম্মান, অনেক গর্বও। একটা সোনা জিতলে পদক-তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান নিচ থেকে কিছুটা ওপরের দিকে আসবে। কাজেই একটা সোনার অনেক মূল্য।’
আশরাফুলের ডানে দাঁড়িয়ে শাহাদাত, নাঈমরা কথা বলছেন। পাশে শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড়েরাও। ম্যানেজার রণজিৎ ফার্নান্ডোসহ শ্রীলঙ্কার দু-তিনজন কর্মকর্তাও সেখানে উপস্থিত। সবারই মুখ কালো। ওদিকে স্বেচ্ছাসেবীদের কড়া মার্কিং, বেশিক্ষণ কথা বলা যাবে না। ‘ওয়ান মিনিট প্লিজ’ লেখা ছোট্ট প্লাকার্ড ধরে খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী। কিন্তু ফাইনালে ওঠা বাংলাদেশ দলের কথা তো এক মিনিটে শেষ হয় না!
আশরাফুল বলে যান, ‘ফাইনালে আফগানিস্তানকে হারানো সহজ হবে না। ওদের ব্যাটিং দেখিনি, তবে বোলিং-ফিল্ডিং দেখে ভালো দল মনে হয়েছে। পাকিস্তানকে তো যোগ্যতা দিয়েই হারিয়েছে! আমাদের সতর্ক হয়ে খেলতে হবে। শারীরিকভাবে ওরা বেশ শক্তিশালী এবং টিম স্পিরিট ভালো।’
পরক্ষণে আশার কথাও শোনান বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আফগানিস্তানকে নিয়ে চিন্তা করছি না। আজ যেমন সব বিভাগেই ভালো খেললাম, এই খেলাটা খেলতে পারলে আমরাই জিতব।’ বিশ্বাসটা সতীর্থদের মধ্যেও দেখা গেল। ৩ উইকেট পাওয়া পেসার শাহাদাতের কথা, ‘ভালো ক্রিকেট খেললে ইনশাআল্লাহ আমরা গোল্ড নিয়েই দেশে যাব।’
মেয়েরা পারেনি। ছেলেরা কি পারবে? কোচ সারোয়ার ইমরান না পারার কোনো কারণই দেখছেন না, ‘নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেললে অবশ্যই আমরা জিতব।’ বাংলাদেশ কোচ খানিক গর্বিত এই ভেবে, ‘ইন্দো-বাংলা গেমসে বাংলাদেশ গোল্ড জিতেছে আমার কোচিংয়ে। এসএ গেমসেও তাই। এশিয়ান গেমসে সোনা জেতা হবে আমার জন্য বিরাট ব্যাপার।’
সোনাজয়ী দল হিসেবে বাংলাদেশকে দেখার অপেক্ষায় আমিনুল ইসলাম। স্টেডিয়াম ছেড়ে যাওয়ার আগে দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান ও সাবেক অধিনায়ক বলে গেলেন, ‘বাংলাদেশ দল খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছে। এটাই দরকার ছিল।’
১৯৭৮ সাল থেকে এশিয়ার সর্বোচ্চ ক্রীড়ামঞ্চে গতবার পর্যন্ত লাল-সবুজের অর্জন ৩টি করে রুপা ও ব্রোঞ্জ (কাবাডিতে ৩ রুপা, ২ ব্রোঞ্জ। একটি ব্রোঞ্জ বক্সার মোশররফ হোসেন জিতছেন ৮৬ এশিয়াডে)। এবার এক রুপা-ব্রোঞ্জের সঙ্গে সোনা যোগ হলে প্রাপ্তির খাতাটা আগের তুলনায় ভারীই হবে।
No comments