ব্লেয়ার ও ব্রাউন ব্রিটিশ সেনাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন
ব্রিটেনের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল স্যার রিচার্ড ডোনান্ট অভিযোগ করেছেন, ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধে নিয়োজিত ব্রিটিশ সেনাসদস্যদের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার এবং তাঁর অর্থমন্ত্রী (পরে প্রধানমন্ত্রী) গর্ডন ব্রাউন প্রতারণা করেছিলেন। তাঁদের কারণেই ইরাক ও আফগানিস্তানে দায়িত্বরত ব্রিটিশ সেনাদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছিল। নিজের লেখা ‘লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’ বইয়ে ডোনান্ট এ অভিযোগ করেন। সানডে টেলিগ্রাফ গতকাল রোববার থেকে ধারাবাহিকভাবে বইটি প্রকাশ করতে শুরু করেছে।
রিচার্ড ডোনান্ট অভিযোগ করেন, যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেনাসদস্যদের প্রতিরক্ষা ব্যয় নিশ্চিত করার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী হিসেবে অযাচিতভাবে গর্ডন ব্রাউন হস্তক্ষেপ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের দেওয়া ঘোষণা সত্ত্বেও ব্রাউন হতাহত সেনাদের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ দিতে গড়িমসি করেছেন। ডোনান্ট বলেন, নিজের অধীনস্থ মন্ত্রীকে নির্দেশ পালনে বাধ্য করার মতো ‘নৈতিক মনোবল’ ব্লেয়ারের ছিল না।
২০০৯ সালের শেষ দিকে সেনাপ্রধানের পদ থেকে ডোনান্ট অবসর নেন। সামরিক দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর তিনি কনজারভেটিভ পার্টির প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন। তবে গত মাসে তিনি ঘোষণা করেন, কনজারভেটিভ পার্টি থেকে ডেভিড ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি ওই দলের উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দিয়েছেন।
ডোনান্ট বলেন, ২০০৩ সালে ইরাকের হাতে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে বলে যেসব তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হয়, তা যুদ্ধাভিযানে নেমে পড়ার মতো যথেষ্ট যুক্তিপূর্ণ ছিল না। এ ছাড়া যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, কার্যত তা শোচনয়ীভাবে ব্যর্থ হয়। তিনি বলেন, অন্য একটি দেশে ব্রিটেনের অভিযান বৈধ ছিল কি না, তা সময়ই বিচার করবে। তবে ব্রিটিশ সেনাদের অর্থ সরবরাহে সরকার রাজি থাকার পরও অর্থমন্ত্রী হিসেবে এ ব্যাপারে গর্ডন ব্রাউনের অস্বীকৃতি সেনাদের মধ্যে তীব্র হতাশার সৃষ্টি করেছে, এ ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত।
রিচার্ড ডোনান্ট অভিযোগ করেন, যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেনাসদস্যদের প্রতিরক্ষা ব্যয় নিশ্চিত করার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী হিসেবে অযাচিতভাবে গর্ডন ব্রাউন হস্তক্ষেপ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের দেওয়া ঘোষণা সত্ত্বেও ব্রাউন হতাহত সেনাদের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ দিতে গড়িমসি করেছেন। ডোনান্ট বলেন, নিজের অধীনস্থ মন্ত্রীকে নির্দেশ পালনে বাধ্য করার মতো ‘নৈতিক মনোবল’ ব্লেয়ারের ছিল না।
২০০৯ সালের শেষ দিকে সেনাপ্রধানের পদ থেকে ডোনান্ট অবসর নেন। সামরিক দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর তিনি কনজারভেটিভ পার্টির প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন। তবে গত মাসে তিনি ঘোষণা করেন, কনজারভেটিভ পার্টি থেকে ডেভিড ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি ওই দলের উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দিয়েছেন।
ডোনান্ট বলেন, ২০০৩ সালে ইরাকের হাতে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে বলে যেসব তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হয়, তা যুদ্ধাভিযানে নেমে পড়ার মতো যথেষ্ট যুক্তিপূর্ণ ছিল না। এ ছাড়া যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, কার্যত তা শোচনয়ীভাবে ব্যর্থ হয়। তিনি বলেন, অন্য একটি দেশে ব্রিটেনের অভিযান বৈধ ছিল কি না, তা সময়ই বিচার করবে। তবে ব্রিটিশ সেনাদের অর্থ সরবরাহে সরকার রাজি থাকার পরও অর্থমন্ত্রী হিসেবে এ ব্যাপারে গর্ডন ব্রাউনের অস্বীকৃতি সেনাদের মধ্যে তীব্র হতাশার সৃষ্টি করেছে, এ ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত।
No comments