সরকার উৎখাতের পরিকল্পনায় বাহরাইনে ২৩ শিয়া অভিযুক্ত
বাহরাইনের আইনজীবীরা সুন্নি-নিয়ন্ত্রিত সরকার উৎখাত পরিকল্পনার অভিযোগে বিরোধী দলের ২৩ শিয়াকর্মীকে অভিযুক্ত করেছেন। মধ্য-আগস্টে গ্রেপ্তার হওয়া ওই কর্মীরা একটি ‘স্পর্শকাতর সন্ত্রাসীচক্রের’ সদস্য হিসেবে ‘সহিংসতা ও নাশকতামূলক তৎপরতা’ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করে আসছিলেন। এক কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।
আইনজীবীদের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে শিয়াধর্মীয় প্রখ্যাত নেতা ও মানবাধিকার কর্মীও আছেন।
বাহরাইনের পাবলিক প্রসিকিউশন কর্মকর্তা আবদুল রহমান আল সাইদ এক বিবৃতিতে বলেন, স্পর্শকাতর সন্ত্রাসীচক্রের এই সদস্যরা সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করছিলেন। সহিংসতা ও নাশকতামূলক তৎপরতার মাধ্যমে তাঁরা বাহরাইনের জাতীয় নিরাপত্তা দুর্বল করতে চেয়েছিলেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িত ছিলেন। সহিংসতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করা ও উসকানি দেওয়া, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার ও সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা ছিল অন্যতম।
উপসাগরীয় অঞ্চলের ছোট্ট এই দেশটিতে ২৩ অক্টোবর পার্লামেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে শিয়াদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। রাতের বেলা নিরাপত্তা বাহিনী ও শিয়া বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ, টায়ার জ্বালিয়ে দেওয়া, পেট্রল বোমা নিক্ষেপের ঘটনা প্রায় প্রতিদিনের চিত্র। বাহরাইনের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়ারা দীর্ঘদিন থেকে বৈষম্যের শিকার বলে অভিযোগ করে আসছে। সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
উপসাগরীয় আরব অঞ্চলের দেশ কুয়েত ছাড়া একমাত্র বাহরাইনে নির্বাচিত পার্লামেন্ট আছে।
আরব উপদ্বীপের সব রাষ্ট্রের মধ্যে এই দেশেই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ৬৫ শতাংশ শিয়া বাস করে। কিন্তু ক্ষমতায় আছেন সুন্নিরা।
কূটনীতিকেরা বলছেন, নির্বাচনের আগে বিরোধী দলকে চাপে রাখতে শিয়াকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য বিশ্লেষকেরা একে প্রায় এক দশক আগে বাহরাইনের বাদশাহর গৃহীত সংস্কার কর্মসূচি বন্ধের ইঙ্গিত বলে উল্লেখ করেছেন। ওই কর্মসূচির ফলে শিয়া সহিংসতা কমে গিয়েছিল।
গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে হক মুভমেন্ট ফর লিবার্টি অ্যান্ড ডেমোক্রেসির প্রধান আবদ আল-জলিল সিঙ্গেসকে আগস্ট মাসে গ্রেপ্তার করা হয়।
আইনজীবীদের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে শিয়াধর্মীয় প্রখ্যাত নেতা ও মানবাধিকার কর্মীও আছেন।
বাহরাইনের পাবলিক প্রসিকিউশন কর্মকর্তা আবদুল রহমান আল সাইদ এক বিবৃতিতে বলেন, স্পর্শকাতর সন্ত্রাসীচক্রের এই সদস্যরা সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করছিলেন। সহিংসতা ও নাশকতামূলক তৎপরতার মাধ্যমে তাঁরা বাহরাইনের জাতীয় নিরাপত্তা দুর্বল করতে চেয়েছিলেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িত ছিলেন। সহিংসতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করা ও উসকানি দেওয়া, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার ও সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা ছিল অন্যতম।
উপসাগরীয় অঞ্চলের ছোট্ট এই দেশটিতে ২৩ অক্টোবর পার্লামেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে শিয়াদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। রাতের বেলা নিরাপত্তা বাহিনী ও শিয়া বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ, টায়ার জ্বালিয়ে দেওয়া, পেট্রল বোমা নিক্ষেপের ঘটনা প্রায় প্রতিদিনের চিত্র। বাহরাইনের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়ারা দীর্ঘদিন থেকে বৈষম্যের শিকার বলে অভিযোগ করে আসছে। সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
উপসাগরীয় আরব অঞ্চলের দেশ কুয়েত ছাড়া একমাত্র বাহরাইনে নির্বাচিত পার্লামেন্ট আছে।
আরব উপদ্বীপের সব রাষ্ট্রের মধ্যে এই দেশেই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ৬৫ শতাংশ শিয়া বাস করে। কিন্তু ক্ষমতায় আছেন সুন্নিরা।
কূটনীতিকেরা বলছেন, নির্বাচনের আগে বিরোধী দলকে চাপে রাখতে শিয়াকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য বিশ্লেষকেরা একে প্রায় এক দশক আগে বাহরাইনের বাদশাহর গৃহীত সংস্কার কর্মসূচি বন্ধের ইঙ্গিত বলে উল্লেখ করেছেন। ওই কর্মসূচির ফলে শিয়া সহিংসতা কমে গিয়েছিল।
গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে হক মুভমেন্ট ফর লিবার্টি অ্যান্ড ডেমোক্রেসির প্রধান আবদ আল-জলিল সিঙ্গেসকে আগস্ট মাসে গ্রেপ্তার করা হয়।
No comments