কংগ্রেস: একেক নেতার কণ্ঠে একেক সুর
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ১২৫ বছরের ইতিহাসে দলটির মধ্যে কখনোই সেভাবে শৃৃঙ্খলা ছিল না। কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই-এম) ও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মতো সুসংগঠিত দলও তারা নয়। যখন-তখন যা ইচ্ছে তাই বলার ক্ষেত্রে খুবই পটু দলটির নেতারা। কাজেই নেপথ্যের অনেক শক্তিশালী নেতার মদদপুষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ইস্যুতে যে ভিন্ন ভিন্ন মত দেবেন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের ব্যবহূত শব্দ ‘গেরুয়া সন্ত্রাস’, শিক্ষা বিল, কমনওয়েলথ গেমস ও মাওবাদীদের বিষয়ে সরকারি নীতি নিয়ে সম্প্রতি ভিন্ন ভিন্ন মত দিচ্ছেন কংগ্রেস নেতারা। এর আগে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তি নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল কংগ্রেস। দলীয় সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেছিলেন, কমিউনিস্টদের ওই চুক্তির বিরোধিতা করার যুক্তি আছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং পুরোপুরি চুক্তির পক্ষেই ছিলেন।
অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়েও কংগ্রেসের মধ্যে দুটি ধারা আছে। ১৯৯১ সালে কংগ্রেসই এই সংস্কার কর্মসূচি শুরু করেছিল। বস্তুত, এই সংস্কার কর্মসূচির কারণেই ১৯৯৬ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলের অনেক সদস্য পরাজিত হয়েছিলেন।
এখন কংগ্রেসের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘গেরুয়া সন্ত্রাস’ (হিন্দু জাতীয়তাবাদ প্রচারের লক্ষ্যে সন্ত্রাস) কথাটি নিয়ে। বিজেপি এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, গেরুয়া রংটি ভারতের আধ্যাত্মিকতাকেই তুলে ধরে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিং বিজেপির সঙ্গে একমত। তবে দিগ্বিজয় পরে তাঁর অবস্থান কিছুটা নমনীয় করে বলেন, সন্ত্রাসকে কোনো সম্প্রদায়, জাতি, ধর্ম ও বর্ণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত করা ঠিক নয়।
কয়েক দিন আগে দিগ্বিজয় সিং পত্রিকায় একটি নিবন্ধে মাওবাদীদের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদাম্বরমের কঠোর অবস্থানের সমালোচনা করেন। জবাবে চিদাম্বরম বলেন, ‘যদি কেউ মনে করেন যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনে তিনি আরও বেশি সক্ষম, তাহলে এই পদ গ্রহণে তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি।’
বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, কংগ্রেসের মধ্যে মতপার্থক্যের কারণ প্রথমত, দলটি সমন্বিত কোনো নীতি গ্রহণ করতে পারছে না। দ্বিতীয়ত, উপদলীয় বিভেদ বেড়ে গেছে।
এদিকে কংগ্রেসকে যখন অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সামলাতে হচ্ছে, বিজেপি তখন চেষ্টা চালাচ্ছে নিজেদের অবস্থান পুনরুদ্ধারের। দলীয় কৌশলের অংশ হিসেবে কমনওয়েলথ গেমসে সরকারের প্রস্তুতির ঘাটতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সমালোচনা করেছেন বিজেপির নেতা নরেন্দ্র মোদী। মোদীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে কংগ্রেসের এমপি মনি শঙ্কর আয়ার বলেছেন, গেমস যদি সফল হয়, তাহলে তিনি খুবই কষ্ট পাবেন।
শিক্ষা বিল ছাড়াও নির্যাতন প্রতিরোধ বিল ও প্রস্তাবিত শত্রু সম্পত্তি আইন সংশোধনসহ অনেকগুলো বিল স্থগিত রাখতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। এতে সরকারের সমালোচনা করে বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি বলেছেন, সরকার খেই হারিয়ে ফেলছে।
বিজেপির সমর্থন নিয়ে সরকার এ পর্যন্ত একটি কাজই সফলভাবে করতে পেরেছে, তা হলো পরমাণু দায় বিল পাস। যদিও এটা খুব বেশি অপ্রত্যাশিত ছিল না।
এত কিছুর পরও প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কিন্তু একেবারে চুপচাপ। প্রধানমন্ত্রীর এই নীরবতার সমালোচনা করে সিপিআই-এমের নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও ভোপাল ট্র্যাজেডির মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে বক্তব্য দেননি। কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও অনেক ইস্যুতে চুপ থাকেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের ব্যবহূত শব্দ ‘গেরুয়া সন্ত্রাস’, শিক্ষা বিল, কমনওয়েলথ গেমস ও মাওবাদীদের বিষয়ে সরকারি নীতি নিয়ে সম্প্রতি ভিন্ন ভিন্ন মত দিচ্ছেন কংগ্রেস নেতারা। এর আগে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তি নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল কংগ্রেস। দলীয় সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেছিলেন, কমিউনিস্টদের ওই চুক্তির বিরোধিতা করার যুক্তি আছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং পুরোপুরি চুক্তির পক্ষেই ছিলেন।
অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়েও কংগ্রেসের মধ্যে দুটি ধারা আছে। ১৯৯১ সালে কংগ্রেসই এই সংস্কার কর্মসূচি শুরু করেছিল। বস্তুত, এই সংস্কার কর্মসূচির কারণেই ১৯৯৬ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলের অনেক সদস্য পরাজিত হয়েছিলেন।
এখন কংগ্রেসের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘গেরুয়া সন্ত্রাস’ (হিন্দু জাতীয়তাবাদ প্রচারের লক্ষ্যে সন্ত্রাস) কথাটি নিয়ে। বিজেপি এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, গেরুয়া রংটি ভারতের আধ্যাত্মিকতাকেই তুলে ধরে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিং বিজেপির সঙ্গে একমত। তবে দিগ্বিজয় পরে তাঁর অবস্থান কিছুটা নমনীয় করে বলেন, সন্ত্রাসকে কোনো সম্প্রদায়, জাতি, ধর্ম ও বর্ণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত করা ঠিক নয়।
কয়েক দিন আগে দিগ্বিজয় সিং পত্রিকায় একটি নিবন্ধে মাওবাদীদের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদাম্বরমের কঠোর অবস্থানের সমালোচনা করেন। জবাবে চিদাম্বরম বলেন, ‘যদি কেউ মনে করেন যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনে তিনি আরও বেশি সক্ষম, তাহলে এই পদ গ্রহণে তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি।’
বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, কংগ্রেসের মধ্যে মতপার্থক্যের কারণ প্রথমত, দলটি সমন্বিত কোনো নীতি গ্রহণ করতে পারছে না। দ্বিতীয়ত, উপদলীয় বিভেদ বেড়ে গেছে।
এদিকে কংগ্রেসকে যখন অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সামলাতে হচ্ছে, বিজেপি তখন চেষ্টা চালাচ্ছে নিজেদের অবস্থান পুনরুদ্ধারের। দলীয় কৌশলের অংশ হিসেবে কমনওয়েলথ গেমসে সরকারের প্রস্তুতির ঘাটতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সমালোচনা করেছেন বিজেপির নেতা নরেন্দ্র মোদী। মোদীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে কংগ্রেসের এমপি মনি শঙ্কর আয়ার বলেছেন, গেমস যদি সফল হয়, তাহলে তিনি খুবই কষ্ট পাবেন।
শিক্ষা বিল ছাড়াও নির্যাতন প্রতিরোধ বিল ও প্রস্তাবিত শত্রু সম্পত্তি আইন সংশোধনসহ অনেকগুলো বিল স্থগিত রাখতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। এতে সরকারের সমালোচনা করে বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি বলেছেন, সরকার খেই হারিয়ে ফেলছে।
বিজেপির সমর্থন নিয়ে সরকার এ পর্যন্ত একটি কাজই সফলভাবে করতে পেরেছে, তা হলো পরমাণু দায় বিল পাস। যদিও এটা খুব বেশি অপ্রত্যাশিত ছিল না।
এত কিছুর পরও প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কিন্তু একেবারে চুপচাপ। প্রধানমন্ত্রীর এই নীরবতার সমালোচনা করে সিপিআই-এমের নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও ভোপাল ট্র্যাজেডির মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে বক্তব্য দেননি। কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও অনেক ইস্যুতে চুপ থাকেন।
No comments