নুরুন্নবীকে রক্ষার তৎপরতা -আইনকে নিজস্ব পথে চলতে দিন
আওয়ামী লীগের ভোলা-৩ আসনের সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরীর পিস্তলের গুলিতে তাঁরই দলের কর্মী ইব্রাহিম নিহত হয়েছেন। নুরুন্নবী চৌধুরীর বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগের প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তারের যেসব অভিযোগের খবর প্রকাশিত হচ্ছে, তা একটি গণতান্ত্রিক ও আইনভিত্তিক রাষ্ট্রে কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইব্রাহিম হত্যা মামলায় নুরুন্নবী চৌধুরীকে যেন কোনো বাড়তি সুবিধা দেওয়া না হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নুরুন্নবীর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা দলের অগ্রগতি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইব্রাহিম হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া উচিত।
কিন্তু নুরুন্নবী চৌধুরীকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার সত্যিকারের কোনো উদ্যোগ নেই; উল্টো বরং তাঁকে এ অভিযোগ থেকে পার পাইয়ে দেওয়ার জন্য ক্ষমতাসীন দলের একটি শক্তিশালী মহল প্রবল প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নানা অন্যায়-অপরাধে অভিযুক্ত সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের আইনের ঊর্ধ্বে রাখার চেষ্টার যেসব দৃষ্টান্ত লক্ষ করা গেছে, ইব্রাহিম হত্যার ঘটনাটি সেগুলোর একটি মাত্র। ২০০১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মালিবাগে হরতালবিরোধী মিছিল থেকে গুলি করে বিরোধী দলের চারজনকে হত্যা করার মামলায়ও নুরুন্নবী চৌধুরী আসামি ছিলেন। যেমন ছিলেন আওয়ামী লীগের সে সময়ের সাংসদ এইচ বি এম ইকবাল। ওই মিছিলের কয়েকজন অস্ত্রধারীর ছবিও ছাপা হয়েছিল সে সময়ের পত্রপত্রিকায়। গত বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে ইকবাল ও নুরুন্নবীসহ ১৪ জন আসামিকে ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ডসহ নানা গুরুতর অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা শত শত মামলা থেকে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের তরফে এই প্রক্রিয়াটির অন্তর্নিহিত দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে আইনের শাসনের নীতিতে বিশ্বাস না করা, আইনকে শুধু নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করা, নিজেদের স্বার্থেই আইনকে অকেজো করে রাখা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ক্ষমতাসীন দলের যেসব নেতা ইব্রাহিম হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত চাইছেন বলে বলছেন, তাঁরা এটা বলছেন যতটা আইনের শাসনের নীতিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে, তার চেয়ে বেশি দলের ভাবমূর্তি রক্ষার লক্ষ্যে। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্পষ্ট করে বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা দলের অগ্রগতি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কিন্তু প্রকৃত সমস্যা হলো, আইনের শাসনের প্রতি আন্তরিক অঙ্গীকার না থাকলে দলীয় নেতা-কর্মীদের অন্যায়-অপরাধ ঠেকানোর কোনো কার্যকর পন্থা আসলে পাওয়া সম্ভব নয়। নিজের দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ উঠেছে, এটা দলের ভাবমূর্তি বা অগ্রগতির জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর। কিন্তু এটাই প্রধান বিবেচ্য বিষয় নয়, মূল বিবেচ্য হচ্ছে ন্যায়বিচার। অপরাধের অভিযোগ সত্য না মিথ্যা, তা প্রমাণের জন্য আদালত রয়েছেন; অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আদালতে দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করুন। কিন্তু তা না করে অপরাধীকে যদি আদালতের দোরগোড়া পর্যন্তই নেওয়া না হয়, আইনকে যদি তাঁদের স্পর্শই করতে না দেওয়া হয়, তাহলে ন্যায়বিচার হয় না; তাতে দলের বা সরকারের ভাবমূর্তির ক্ষতিপূরণও ঘটে না।
সরকারকে এটা বিশ্বাস করতে হবে যে দেশ পরিচালনায় সফল হতে হলে, সুশাসন দিয়ে জনসাধারণের আস্থা ও ভালোবাসা পেতে চাইলে অন্যায়-অপরাধের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগের কোনো বিকল্প নেই। আমরা দেখতে চাই, নুরুন্নবী চৌধুরী, এইচ বি এম ইকবালসহ ক্ষমতাসীন দলের যেসব নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে মামলা রয়েছে, তাঁরা কেউ আইন প্রয়োগ থেকে নিষ্কৃতি পাচ্ছেন না, বরং আইনানুগভাবে মামলায় লড়ে আদালতে দাঁড়িয়ে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করছেন।
স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইব্রাহিম হত্যা মামলায় নুরুন্নবী চৌধুরীকে যেন কোনো বাড়তি সুবিধা দেওয়া না হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নুরুন্নবীর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা দলের অগ্রগতি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইব্রাহিম হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া উচিত।
কিন্তু নুরুন্নবী চৌধুরীকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার সত্যিকারের কোনো উদ্যোগ নেই; উল্টো বরং তাঁকে এ অভিযোগ থেকে পার পাইয়ে দেওয়ার জন্য ক্ষমতাসীন দলের একটি শক্তিশালী মহল প্রবল প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নানা অন্যায়-অপরাধে অভিযুক্ত সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের আইনের ঊর্ধ্বে রাখার চেষ্টার যেসব দৃষ্টান্ত লক্ষ করা গেছে, ইব্রাহিম হত্যার ঘটনাটি সেগুলোর একটি মাত্র। ২০০১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মালিবাগে হরতালবিরোধী মিছিল থেকে গুলি করে বিরোধী দলের চারজনকে হত্যা করার মামলায়ও নুরুন্নবী চৌধুরী আসামি ছিলেন। যেমন ছিলেন আওয়ামী লীগের সে সময়ের সাংসদ এইচ বি এম ইকবাল। ওই মিছিলের কয়েকজন অস্ত্রধারীর ছবিও ছাপা হয়েছিল সে সময়ের পত্রপত্রিকায়। গত বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে ইকবাল ও নুরুন্নবীসহ ১৪ জন আসামিকে ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ডসহ নানা গুরুতর অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা শত শত মামলা থেকে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের তরফে এই প্রক্রিয়াটির অন্তর্নিহিত দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে আইনের শাসনের নীতিতে বিশ্বাস না করা, আইনকে শুধু নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করা, নিজেদের স্বার্থেই আইনকে অকেজো করে রাখা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ক্ষমতাসীন দলের যেসব নেতা ইব্রাহিম হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত চাইছেন বলে বলছেন, তাঁরা এটা বলছেন যতটা আইনের শাসনের নীতিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে, তার চেয়ে বেশি দলের ভাবমূর্তি রক্ষার লক্ষ্যে। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্পষ্ট করে বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা দলের অগ্রগতি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কিন্তু প্রকৃত সমস্যা হলো, আইনের শাসনের প্রতি আন্তরিক অঙ্গীকার না থাকলে দলীয় নেতা-কর্মীদের অন্যায়-অপরাধ ঠেকানোর কোনো কার্যকর পন্থা আসলে পাওয়া সম্ভব নয়। নিজের দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ উঠেছে, এটা দলের ভাবমূর্তি বা অগ্রগতির জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর। কিন্তু এটাই প্রধান বিবেচ্য বিষয় নয়, মূল বিবেচ্য হচ্ছে ন্যায়বিচার। অপরাধের অভিযোগ সত্য না মিথ্যা, তা প্রমাণের জন্য আদালত রয়েছেন; অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আদালতে দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করুন। কিন্তু তা না করে অপরাধীকে যদি আদালতের দোরগোড়া পর্যন্তই নেওয়া না হয়, আইনকে যদি তাঁদের স্পর্শই করতে না দেওয়া হয়, তাহলে ন্যায়বিচার হয় না; তাতে দলের বা সরকারের ভাবমূর্তির ক্ষতিপূরণও ঘটে না।
সরকারকে এটা বিশ্বাস করতে হবে যে দেশ পরিচালনায় সফল হতে হলে, সুশাসন দিয়ে জনসাধারণের আস্থা ও ভালোবাসা পেতে চাইলে অন্যায়-অপরাধের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগের কোনো বিকল্প নেই। আমরা দেখতে চাই, নুরুন্নবী চৌধুরী, এইচ বি এম ইকবালসহ ক্ষমতাসীন দলের যেসব নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে মামলা রয়েছে, তাঁরা কেউ আইন প্রয়োগ থেকে নিষ্কৃতি পাচ্ছেন না, বরং আইনানুগভাবে মামলায় লড়ে আদালতে দাঁড়িয়ে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করছেন।
No comments