মাঝমাঠ যখন ব্যবধান গড়ে দেয় by গোলাম সারোয়ার টিপু
বল পজেশন রেখে টুকটুক করে আক্রমণে যাওয়া বনাম গতির ওপর ভর করে দ্রুত ঢুকে পড়া—এমন একটা ছবি আঁকা হয়ে যাচ্ছে মনে। আর্জেন্টিনা-জার্মানির কোয়ার্টার ফাইনাল এর চেয়ে ব্যতিক্রম কিছু দেবে কি না দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
পরশু দুই দল দ্বিতীয় রাউন্ডের বাধাটা এত সহজে পার হবে ভাবিনি। বিশেষ করে জার্মানির সামনে ইংল্যান্ডের খড়কুটোর মতো উড়ে যাওয়া খানিক অবিশ্বাস্য। কেন ইংল্যান্ডের এই পতন?
মাঝমাঠ—মাঝমাঠই আসলে অনেকটা ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। জেরার্ড, ল্যাম্পার্ডদের নিয়ে ইংল্যান্ডের মাঝমাঠটা কাগজে-কলমে বেশ শক্তিশালী। কিন্তু মাঠে জার্মানির মাঝমাঠ ছিল সক্রিয় এবং আক্রমণ গড়ায় কার্যকর। মূলত এই জায়গায় মার খেয়েছে ইংল্যান্ড। জার্মানির মাঝমাঠ অনেক বেশি পরিশ্রম করেছে, যার প্রতিফলন ৪-১ স্কোরলাইনে।
অ্যাটাকিং থার্ডে জার্মানি ছিল ধারালো, ইংল্যান্ড তেমন নয়। রানিং এবং ‘কমন’ বলে জয় জার্মানির। সর্বোপরি জার্মান মানসিকতারও জয়। ওফ, অসাধারণ! মানসিকতার দিক থেকে ইংল্যান্ডকে পরিষ্কার পেছনে ফেলেছে জোয়াকিম লোর দল।
গতি আর শক্তির ওপর দ্রুত বল চালানো, সুযোগের ব্যবহার, ব্যক্তিগত নৈপুণ্য, ম্যান টু ম্যান এবং জোনাল মার্কিং—তারুণ্যের দল জার্মানি এই বিভাগগুলোতে স্পষ্টই এগিয়ে থাকার ফল পেয়েছে। ক্লোসা, মুলারদের গোল করার ক্ষুধার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অসাধারণ সব ফিনিশিং, গোলের বানে ভেসে যাওয়াই তো স্বাভাবিক ছিল ইংল্যান্ডের!
ইংল্যান্ডের ১১ জন খেলোয়াড়ই যেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা হয়ে থাকল! এই দলের পক্ষে তো আসলে কিছু করা প্রায় অসম্ভব। তার ওপর রক্ষণভাগ যদি একের পর এক ভুল করে যায়, তাহলে শোধরানোর সুযোগ কোথায়!
ল্যাম্পার্ডের ওই শটটা ক্রসবারে লেগে নিচে পড়ার পর গোললাইন অতিক্রম করেছে, ওটা গোল। সহকারী রেফারির দৃষ্টি কীভাবে তা এড়িয়ে গেল, বোধগম্য নয়। তবে ওই গোল হলেও খেলার ফল কী হতো, আলোচনা করে এখন আর লাভ নেই। ২-১ থেকে ফল তো হলো ৪-১!
ভূপৃষ্ঠ থেকে একটু উঁচুতে খেলা হওয়ায় বলের বাউন্স এবং গতি ছিল বেশি। তা হোক, দু দলই খেলাটা শুরু করল লম্বা পাসে। জার্মানি যতটা নিখুঁতভাবে পাসিং করে গেল, ইংল্যান্ড তা পারল না। চাপের কারণেই কিনা দ্বিতীয়ার্থে প্রচুর মিস পাস করল ইংল্যান্ড। ওয়েইন রুনি গোটা ম্যাচে একটি কি দুটি শট নিয়ে তাও বাইরে মারল। তাকে নিয়ে এত মাতামাতি ইংলিশ মিডিয়ার! ইংলিশরা পারেও।
আর্জেন্টিনার আগের ম্যাচগুলোর পর বলেছি, তারা প্রতি ম্যাচেই উন্নতি করছে। আজও একই কথাই বলতে হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে গোল পাচ্ছে, খেলায় ছন্দ এবং ধার দুটোই, মাঝেমধ্যে লাতিন ঝলক—এই আর্জেন্টিনার পক্ষে বিশ্বকাপ জেতা অসম্ভব কিছু মনে হচ্ছে না আর।
মেসিকে অন্যদিনের মতো উজ্জ্বল লাগেনি। সারাক্ষণ কড়া পাহারায় থাকলে এমন হতেই পারে। তার পরও নিজের কাজটা ঠিকই করে গেছে। প্রথম গোলটা মেসি তৈরি করে দিয়েছে, তবে গোলদাতা তেভেজ ছিল ছিল পরিষ্কার অফসাইডে। আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ তুলনামূলক এদিন জমাট ছিল বেশি। মেক্সিকানরা গোলে শট নিয়েছে বটে, কিন্তু তা দূর থেকেই।
পরশু দুই দল দ্বিতীয় রাউন্ডের বাধাটা এত সহজে পার হবে ভাবিনি। বিশেষ করে জার্মানির সামনে ইংল্যান্ডের খড়কুটোর মতো উড়ে যাওয়া খানিক অবিশ্বাস্য। কেন ইংল্যান্ডের এই পতন?
মাঝমাঠ—মাঝমাঠই আসলে অনেকটা ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। জেরার্ড, ল্যাম্পার্ডদের নিয়ে ইংল্যান্ডের মাঝমাঠটা কাগজে-কলমে বেশ শক্তিশালী। কিন্তু মাঠে জার্মানির মাঝমাঠ ছিল সক্রিয় এবং আক্রমণ গড়ায় কার্যকর। মূলত এই জায়গায় মার খেয়েছে ইংল্যান্ড। জার্মানির মাঝমাঠ অনেক বেশি পরিশ্রম করেছে, যার প্রতিফলন ৪-১ স্কোরলাইনে।
অ্যাটাকিং থার্ডে জার্মানি ছিল ধারালো, ইংল্যান্ড তেমন নয়। রানিং এবং ‘কমন’ বলে জয় জার্মানির। সর্বোপরি জার্মান মানসিকতারও জয়। ওফ, অসাধারণ! মানসিকতার দিক থেকে ইংল্যান্ডকে পরিষ্কার পেছনে ফেলেছে জোয়াকিম লোর দল।
গতি আর শক্তির ওপর দ্রুত বল চালানো, সুযোগের ব্যবহার, ব্যক্তিগত নৈপুণ্য, ম্যান টু ম্যান এবং জোনাল মার্কিং—তারুণ্যের দল জার্মানি এই বিভাগগুলোতে স্পষ্টই এগিয়ে থাকার ফল পেয়েছে। ক্লোসা, মুলারদের গোল করার ক্ষুধার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অসাধারণ সব ফিনিশিং, গোলের বানে ভেসে যাওয়াই তো স্বাভাবিক ছিল ইংল্যান্ডের!
ইংল্যান্ডের ১১ জন খেলোয়াড়ই যেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা হয়ে থাকল! এই দলের পক্ষে তো আসলে কিছু করা প্রায় অসম্ভব। তার ওপর রক্ষণভাগ যদি একের পর এক ভুল করে যায়, তাহলে শোধরানোর সুযোগ কোথায়!
ল্যাম্পার্ডের ওই শটটা ক্রসবারে লেগে নিচে পড়ার পর গোললাইন অতিক্রম করেছে, ওটা গোল। সহকারী রেফারির দৃষ্টি কীভাবে তা এড়িয়ে গেল, বোধগম্য নয়। তবে ওই গোল হলেও খেলার ফল কী হতো, আলোচনা করে এখন আর লাভ নেই। ২-১ থেকে ফল তো হলো ৪-১!
ভূপৃষ্ঠ থেকে একটু উঁচুতে খেলা হওয়ায় বলের বাউন্স এবং গতি ছিল বেশি। তা হোক, দু দলই খেলাটা শুরু করল লম্বা পাসে। জার্মানি যতটা নিখুঁতভাবে পাসিং করে গেল, ইংল্যান্ড তা পারল না। চাপের কারণেই কিনা দ্বিতীয়ার্থে প্রচুর মিস পাস করল ইংল্যান্ড। ওয়েইন রুনি গোটা ম্যাচে একটি কি দুটি শট নিয়ে তাও বাইরে মারল। তাকে নিয়ে এত মাতামাতি ইংলিশ মিডিয়ার! ইংলিশরা পারেও।
আর্জেন্টিনার আগের ম্যাচগুলোর পর বলেছি, তারা প্রতি ম্যাচেই উন্নতি করছে। আজও একই কথাই বলতে হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে গোল পাচ্ছে, খেলায় ছন্দ এবং ধার দুটোই, মাঝেমধ্যে লাতিন ঝলক—এই আর্জেন্টিনার পক্ষে বিশ্বকাপ জেতা অসম্ভব কিছু মনে হচ্ছে না আর।
মেসিকে অন্যদিনের মতো উজ্জ্বল লাগেনি। সারাক্ষণ কড়া পাহারায় থাকলে এমন হতেই পারে। তার পরও নিজের কাজটা ঠিকই করে গেছে। প্রথম গোলটা মেসি তৈরি করে দিয়েছে, তবে গোলদাতা তেভেজ ছিল ছিল পরিষ্কার অফসাইডে। আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ তুলনামূলক এদিন জমাট ছিল বেশি। মেক্সিকানরা গোলে শট নিয়েছে বটে, কিন্তু তা দূর থেকেই।
No comments